ছবি : লেখক
২০২২-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে পরীক্ষা সূচি অনুসারে হবে, আশা করা যায়। আমাদের সকলকে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে এবং এই জড়তার পরিবেশ কাটিয়ে নতুন ভাবনা শুরু করতে হবে। সব ঠিক হয়ে যাবে এই বিশ্বাস থাকা দরকার।
তোমরা জানো অন্য সব বিষয়ের মতো, জীববিদ্যার সিলেবাসে গতবারের মতো কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিছু অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে কিছুটা ‘রিডিউসড’ সিলেবাসে এবারের পরীক্ষা হবে। মাঠ বড় হলে খেলার কিছু সুবিধা হয়। ছোট মাঠে সেই সুবিধা থাকে না। ব্যাপারটা এখানেও তাই। সিলেবাস কম মানে খুঁটিয়ে পড়তে হবে। পাঠ্যবিষয়ের অনেক অনালোকিত জায়গাও প্রশ্নের আলোয় নতুন করে জেগে উঠতে পারে। কাজেই, সেকথা মাথায় রেখে পাঠ্যবই ভালো করে পড়বার প্রয়োজন বেড়েছে। সাজেস্টিভ পঠনের গুরুত্ব কমেছে। তাছাড়া, পরীক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক ছাড়াও সর্বভারতীয় নানা পরীক্ষায় বসবার প্রস্তুতি নেয় একই সঙ্গে। সেখানে সিলেবাসের কোনও কাটছাঁট থাকে না। ফলে প্রস্তুতির জন্য সবটাই পড়তে হয়। কাজেই আমাদের আজকের আলোচনা যদিও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রিক, তথাপি সেই আলোচনায় সামগ্রিক সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটটিও থাকা দরকার বলে মনে হয়।
উচ্চমাধ্যমিক জীববিদ্যায় দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবিষয় পাঁচটি একক বা ইউনিট নিয়ে তৈরি। প্রতিটি এককেই কিছু অংশ থাকে যেখান থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেমন, প্রথম এককের তিনটি অধ্যায় হল সপুষ্পক গাছের যৌন জনন থেকে ফুলের গঠন, পরাগযোগ, দ্বিনিষেক, পার্থেনোকার্পি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জনন অধ্যায় থেকে— জননতন্ত্র, গ্যামেটোজেনেসিস, নিষেক, অমরা বা প্ল্যাসেন্টা গঠন ছবিসহ তৈরি করে নিতে হবে। জননগত স্বাস্থ্য অধ্যায় থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ, যৌনরোগের সংক্রমণ অংশগুলি উল্লেখযোগ্য। দ্বিতীয় এককের মূল বিষয় জিনবিদ্যা ও বিবর্তন। মেন্ডেলিয়ান উত্তরাধিকার থেকে পরবর্তীকালের জিনবিদ্যার আলোচনা এখানে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে পড়তে হবে। মেন্ডেল যা বলেছিলেন ও যা পরে আবিষ্কৃত হয়েছে, সবটাই এখানে আলোচিত হয়েছে। পরের অধ্যায়, বংশগত বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকারের আণবিক ভিত্তি। এখানে ডিএনএ থেকে ডিএনএ ফিংগারপ্রিন্টিং পর্যন্ত আলোচনা বিস্তৃত। এটি সার্বিকভাবে তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই অধ্যায়টি অত্যন্ত জরুরি। পরের অধ্যায়, বিবর্তন। এর নানাবিধ প্রমাণ, মানে বিবর্তন যে হয়েছে বা হচ্ছে তার প্রমাণ, ডারউইনের তত্ত্ব ও তার প্রভাব এবং আধুনিক বিবর্তন তত্ত্ব যেখানে হার্ডি ওয়েনবার্গ থিয়োরি অবধি পরিব্যাপ্ত, সেই অবধি আলোচনা এখানে করা হয়েছে। এগুলির ধারণা স্পষ্ট থাকা দরকার। ছোট ছোট নানা প্রশ্ন এখান থেকে আসতে পারে।
তৃতীয় বিভাগে ‘মানুষের উপকারে জীববিদ্যা’ বিষয়ক আলোচনায় স্বাস্থ্য ও রোগ এবং মানুষ ও জীবাণু দুটি অধ্যায়ে নানাবিধ রোগ, তার কারণ, নিরাময়ের উপায় ও চিকিৎসা থেকে বহুরকম প্রশ্ন আসতে পারে। চতুর্থ একক জৈবপ্রযুক্তি। নীতি, পদ্ধতি, প্লাজমিডের ভূমিকা, ইনসুলিন, ও টীকা প্রস্তুতি এবং জৈবনিরাপত্তা, জিএমও বিষয়ে আলোচনা এখানে আলোচনা করা হয়েছে। পঞ্চম ও শেষ একক বাস্তুতন্ত্র, পরিবেশ ও জনসংখ্যা। এখানে প্রতিটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাস্তুতন্ত্রের গঠন, পরিবেশের সংকট ও ক্রমবর্ধমান জনস্ফীতি। এর কারণ ও প্রতিরোধ জরুরি।
উচ্চমাধ্যমিক প্রশ্নপত্রে ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। ১৪টি এমসিকিউ’র জন্য প্রতিটি অধ্যায় থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যায় নমুনা প্রশ্ন অভ্যাস করতে হবে। পুরনো প্রশ্নপত্র থেকেও অভ্যাস করা যেতে পারে। এক দু’ কথায় উত্তরের জন্য বাছাই নমুনা প্রশ্ন দেখে রাখতে পারো। অপেক্ষাকৃত বড় উত্তরের জন্য প্রশ্ন কিন্তু সুনির্দিষ্ট। তার বাইরে প্রশ্ন খুব বেশি আসে না। এলেও বিকল্প প্রশ্ন থাকায় কিছু বেয়াড়া প্রশ্ন এড়ানোর সুযোগ থাকে। ফলে, যেকোনও অধ্যায় পড়ে নেওয়ার পর তার থেকে বড় প্রশ্ন বাছাই করে তার উত্তর তৈরি করতে পারো। জনন, জৈব প্রযুক্তি অধ্যায় থেকে উত্তরের সঙ্গে ডায়াগ্রাম তৈরি করে রাখবে। শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়ের গঠন, গ্যামেটোজেনেসিস (শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর জন্ম-গঠন) ছবি ও রেখাচিত্রে তৈরি করে রাখবে। মেন্সট্রুয়াল চক্রের ধারাবাহিক পর্যায়ের ধারণা থাকা দরকার। মলিকিউলার জেনেটিক্স অধ্যায়ে, প্রতিলিপিকরণ (রেপ্লিকেশন), ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশন খুঁটিয়ে পড়তে হবে, এবং উত্তরের জন্য সংক্ষেপে লিখে তৈরি করতে হবে। ডিএনএ যে জিনবস্তু, এই বিষয়ের পরীক্ষাগুলি তৈরি করে রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের আরএনএ’র গঠন ও কাজ জানতে হবে এখানে। স্বাস্থ্য ও রোগ অধ্যায়ে জীবাণুর চরিত্রগত শ্রেণিবিভাগ করে নিয়ে তাদের আলোচনা করলে মনে রাখতে সুবিধা হতে পারে। যেমন, প্রোটোজোয়ান জীবাণু, ছত্রাক, ব্যাকটিরিয়া ভাইরাস ইত্যাদি। হার্ডি ওয়েনবার্গ নীতির ওপর জিন ফ্লো, জেনেটিক ড্রিফট’র ভূমিকা বা ফাউন্ডার এফেক্ট নিয়ে আলোচনা দেখে রাখতে পারো। এছাড়া হার্ডিওয়েনবার্গ নীতির ওপর জিন ও অ্যালিল ফ্রিকোয়েন্সির ছোট ছোট সমস্যা সমাধান দেখে রাখা ভালো। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ, শক্তি উৎপাদনের বিকল্প ব্যবস্থা, জৈবনিয়ন্ত্রণ ও জৈবসার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে ছোট ও বড় প্রশ্ন আসতে পারে।
এবার আসি সরাসরি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথায়। দীর্ঘ সময়ের অনভ্যাসে সময় ধরে পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা অনেকের চলে যেতেই পারে। এটা খুব প্রাসঙ্গিক ও স্বাভাবিক ঘটনা। কাজেই এখন, সেই ব্যবস্থায় ফিরে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হলে তার অনুশীলন দরকার। কিবোর্ড টাইপিং হাতে লেখার অভ্যাস নষ্ট করেছে। মাত্রাতিরিক্ত গুগল করে জেনে নেওয়ার অভ্যাস ব্যক্তিগত অনুসন্ধান চর্চার ক্ষতি করে। ফলে নিজের ভাবনা ও চর্চার পথে আমাদের ফিরতে হবে। প্রশ্নোত্তর লেখা ও পড়ার অভ্যাস চালু করতে হবে। এই কথাগুলি শুধু জীববিদ্যা নয়, সব বিষয়ের ক্ষেত্রেই কাজে লাগে। তোমাদের সামনে বিদ্যাচর্চার অবাধ সমুদ্র। নিজেদের গড়ে তুলতে, ভবিষ্যৎ জীবনকে সুসংহত করতে অনুশীলনের বিকল্প কিছু হয়না। প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক, সেটা মানুষের সক্ষমতার চাইতে পারদর্শী হতে পারে না। এই বিশ্বাস রেখে বিজ্ঞান পড়তে হবে। হাতে কিছুটা সময় আছে, কাজগুলি গুছিয়ে নিলে পরীক্ষা ভালো হবে, ফল ভালো হবে। সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাও। তোমাদের সকলের জন্য আমার শুভেচ্ছা থাকল।
তোমরা জানো অন্য সব বিষয়ের মতো, জীববিদ্যার সিলেবাসে গতবারের মতো কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিছু অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে কিছুটা ‘রিডিউসড’ সিলেবাসে এবারের পরীক্ষা হবে। মাঠ বড় হলে খেলার কিছু সুবিধা হয়। ছোট মাঠে সেই সুবিধা থাকে না। ব্যাপারটা এখানেও তাই। সিলেবাস কম মানে খুঁটিয়ে পড়তে হবে। পাঠ্যবিষয়ের অনেক অনালোকিত জায়গাও প্রশ্নের আলোয় নতুন করে জেগে উঠতে পারে। কাজেই, সেকথা মাথায় রেখে পাঠ্যবই ভালো করে পড়বার প্রয়োজন বেড়েছে। সাজেস্টিভ পঠনের গুরুত্ব কমেছে। তাছাড়া, পরীক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক ছাড়াও সর্বভারতীয় নানা পরীক্ষায় বসবার প্রস্তুতি নেয় একই সঙ্গে। সেখানে সিলেবাসের কোনও কাটছাঁট থাকে না। ফলে প্রস্তুতির জন্য সবটাই পড়তে হয়। কাজেই আমাদের আজকের আলোচনা যদিও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রিক, তথাপি সেই আলোচনায় সামগ্রিক সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটটিও থাকা দরকার বলে মনে হয়।
উচ্চমাধ্যমিক জীববিদ্যায় দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবিষয় পাঁচটি একক বা ইউনিট নিয়ে তৈরি। প্রতিটি এককেই কিছু অংশ থাকে যেখান থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেমন, প্রথম এককের তিনটি অধ্যায় হল সপুষ্পক গাছের যৌন জনন থেকে ফুলের গঠন, পরাগযোগ, দ্বিনিষেক, পার্থেনোকার্পি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জনন অধ্যায় থেকে— জননতন্ত্র, গ্যামেটোজেনেসিস, নিষেক, অমরা বা প্ল্যাসেন্টা গঠন ছবিসহ তৈরি করে নিতে হবে। জননগত স্বাস্থ্য অধ্যায় থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ, যৌনরোগের সংক্রমণ অংশগুলি উল্লেখযোগ্য। দ্বিতীয় এককের মূল বিষয় জিনবিদ্যা ও বিবর্তন। মেন্ডেলিয়ান উত্তরাধিকার থেকে পরবর্তীকালের জিনবিদ্যার আলোচনা এখানে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে পড়তে হবে। মেন্ডেল যা বলেছিলেন ও যা পরে আবিষ্কৃত হয়েছে, সবটাই এখানে আলোচিত হয়েছে। পরের অধ্যায়, বংশগত বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকারের আণবিক ভিত্তি। এখানে ডিএনএ থেকে ডিএনএ ফিংগারপ্রিন্টিং পর্যন্ত আলোচনা বিস্তৃত। এটি সার্বিকভাবে তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই অধ্যায়টি অত্যন্ত জরুরি। পরের অধ্যায়, বিবর্তন। এর নানাবিধ প্রমাণ, মানে বিবর্তন যে হয়েছে বা হচ্ছে তার প্রমাণ, ডারউইনের তত্ত্ব ও তার প্রভাব এবং আধুনিক বিবর্তন তত্ত্ব যেখানে হার্ডি ওয়েনবার্গ থিয়োরি অবধি পরিব্যাপ্ত, সেই অবধি আলোচনা এখানে করা হয়েছে। এগুলির ধারণা স্পষ্ট থাকা দরকার। ছোট ছোট নানা প্রশ্ন এখান থেকে আসতে পারে।
তৃতীয় বিভাগে ‘মানুষের উপকারে জীববিদ্যা’ বিষয়ক আলোচনায় স্বাস্থ্য ও রোগ এবং মানুষ ও জীবাণু দুটি অধ্যায়ে নানাবিধ রোগ, তার কারণ, নিরাময়ের উপায় ও চিকিৎসা থেকে বহুরকম প্রশ্ন আসতে পারে। চতুর্থ একক জৈবপ্রযুক্তি। নীতি, পদ্ধতি, প্লাজমিডের ভূমিকা, ইনসুলিন, ও টীকা প্রস্তুতি এবং জৈবনিরাপত্তা, জিএমও বিষয়ে আলোচনা এখানে আলোচনা করা হয়েছে। পঞ্চম ও শেষ একক বাস্তুতন্ত্র, পরিবেশ ও জনসংখ্যা। এখানে প্রতিটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাস্তুতন্ত্রের গঠন, পরিবেশের সংকট ও ক্রমবর্ধমান জনস্ফীতি। এর কারণ ও প্রতিরোধ জরুরি।
উচ্চমাধ্যমিক প্রশ্নপত্রে ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। ১৪টি এমসিকিউ’র জন্য প্রতিটি অধ্যায় থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যায় নমুনা প্রশ্ন অভ্যাস করতে হবে। পুরনো প্রশ্নপত্র থেকেও অভ্যাস করা যেতে পারে। এক দু’ কথায় উত্তরের জন্য বাছাই নমুনা প্রশ্ন দেখে রাখতে পারো। অপেক্ষাকৃত বড় উত্তরের জন্য প্রশ্ন কিন্তু সুনির্দিষ্ট। তার বাইরে প্রশ্ন খুব বেশি আসে না। এলেও বিকল্প প্রশ্ন থাকায় কিছু বেয়াড়া প্রশ্ন এড়ানোর সুযোগ থাকে। ফলে, যেকোনও অধ্যায় পড়ে নেওয়ার পর তার থেকে বড় প্রশ্ন বাছাই করে তার উত্তর তৈরি করতে পারো। জনন, জৈব প্রযুক্তি অধ্যায় থেকে উত্তরের সঙ্গে ডায়াগ্রাম তৈরি করে রাখবে। শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়ের গঠন, গ্যামেটোজেনেসিস (শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর জন্ম-গঠন) ছবি ও রেখাচিত্রে তৈরি করে রাখবে। মেন্সট্রুয়াল চক্রের ধারাবাহিক পর্যায়ের ধারণা থাকা দরকার। মলিকিউলার জেনেটিক্স অধ্যায়ে, প্রতিলিপিকরণ (রেপ্লিকেশন), ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশন খুঁটিয়ে পড়তে হবে, এবং উত্তরের জন্য সংক্ষেপে লিখে তৈরি করতে হবে। ডিএনএ যে জিনবস্তু, এই বিষয়ের পরীক্ষাগুলি তৈরি করে রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের আরএনএ’র গঠন ও কাজ জানতে হবে এখানে। স্বাস্থ্য ও রোগ অধ্যায়ে জীবাণুর চরিত্রগত শ্রেণিবিভাগ করে নিয়ে তাদের আলোচনা করলে মনে রাখতে সুবিধা হতে পারে। যেমন, প্রোটোজোয়ান জীবাণু, ছত্রাক, ব্যাকটিরিয়া ভাইরাস ইত্যাদি। হার্ডি ওয়েনবার্গ নীতির ওপর জিন ফ্লো, জেনেটিক ড্রিফট’র ভূমিকা বা ফাউন্ডার এফেক্ট নিয়ে আলোচনা দেখে রাখতে পারো। এছাড়া হার্ডিওয়েনবার্গ নীতির ওপর জিন ও অ্যালিল ফ্রিকোয়েন্সির ছোট ছোট সমস্যা সমাধান দেখে রাখা ভালো। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ, শক্তি উৎপাদনের বিকল্প ব্যবস্থা, জৈবনিয়ন্ত্রণ ও জৈবসার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে ছোট ও বড় প্রশ্ন আসতে পারে।
এবার আসি সরাসরি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথায়। দীর্ঘ সময়ের অনভ্যাসে সময় ধরে পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা অনেকের চলে যেতেই পারে। এটা খুব প্রাসঙ্গিক ও স্বাভাবিক ঘটনা। কাজেই এখন, সেই ব্যবস্থায় ফিরে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হলে তার অনুশীলন দরকার। কিবোর্ড টাইপিং হাতে লেখার অভ্যাস নষ্ট করেছে। মাত্রাতিরিক্ত গুগল করে জেনে নেওয়ার অভ্যাস ব্যক্তিগত অনুসন্ধান চর্চার ক্ষতি করে। ফলে নিজের ভাবনা ও চর্চার পথে আমাদের ফিরতে হবে। প্রশ্নোত্তর লেখা ও পড়ার অভ্যাস চালু করতে হবে। এই কথাগুলি শুধু জীববিদ্যা নয়, সব বিষয়ের ক্ষেত্রেই কাজে লাগে। তোমাদের সামনে বিদ্যাচর্চার অবাধ সমুদ্র। নিজেদের গড়ে তুলতে, ভবিষ্যৎ জীবনকে সুসংহত করতে অনুশীলনের বিকল্প কিছু হয়না। প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক, সেটা মানুষের সক্ষমতার চাইতে পারদর্শী হতে পারে না। এই বিশ্বাস রেখে বিজ্ঞান পড়তে হবে। হাতে কিছুটা সময় আছে, কাজগুলি গুছিয়ে নিলে পরীক্ষা ভালো হবে, ফল ভালো হবে। সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাও। তোমাদের সকলের জন্য আমার শুভেচ্ছা থাকল।