বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

সৌম্যেন্দ্রনাথ ছিলেন ঠাকুরবাড়ির এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। তিনি মহর্ষির পৌত্র সুধীন্দ্রনাথ ও চারুবালার সন্তান। তাঁর এই নামটি মহর্ষি নিজে রেখেছিলেন। অসাধারণ ছিল সৌম্যেন্দ্রনাথের গানের গলা। বালকবয়সেই গানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর গাওয়া গানের প্রশংসা ওই বালকবয়সেই ছাপা হয়েছে ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে দ্বৈতকণ্ঠে গান গেয়েছেন। তখন কতই বা বয়স সৌম্যেন্দ্রনাথের! ‘বালক’-ই বলা যায়। প্রকারান্তরে কবির কাছে এ তাঁর সংগীতের স্বীকৃতি।
যৌবনে আকৃষ্ট হয়েছিলেন কমিউনিস্ট মতবাদের প্রতি। সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। তাঁরই উদ্যোগে, গোপনে ঠাকুরবাড়িতে বোমাও বাঁধা হয়েছে। প্রথমদিকে তিনি গান্ধীজির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমর্থক ছিলেন। পরে বুঝেছিলেন, এভাবে হবে না, এ পথ তাঁর নয়।শুরু হয়েছিল নতুনতর পথের অন্বেষণ।

সে তো পরের কালের কথা। প্রথমদিকে সৌম্যেন্দ্রনাথ প্রবলভাবে মহাত্মা গান্ধীর অনুসারী ছিলেন। কলকাতা শহরে তখন প্রতিদিনই আইনভঙ্গ হচ্ছে, স্কুল-কলেজ বন্ধ। রাস্তাঘাটে মানুষ একত্রিত হলেই পুলিশ সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। পুলিশ যত অত্যাচার করছে, সাধারণ মানুষ ততই তেড়েফুঁড়ে যাচ্ছে। দলে দলে আরও আরও মানুষ জড়ো হচ্ছে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৯: কী ছিল চিঠিতে, উত্তর লিখতে গিয়ে উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের হাত কেঁপেছিল

উপন্যাস: আকাশ এখনও মেঘলা, পর্ব-২: আকাশ এখনও মেঘলা

মানুষের এই জাগরণে সৌম্যেন্দ্রনাথ নিজেও সক্রিয়ভাবে সামিল হতে চেয়েছেন। সেই সময় ধর্মতলার কাছে, ওয়েলিংটনের কংগ্রেস-অফিস থেকে অসহযোগ আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করা হত। শহরের বিভিন্নস্থানে প্রয়োজন মতো তারা আইন অমান্য করত। সৌম্যেন্দ্রনাথ আবেগতাড়িত হয়ে কংগ্রেস-অফিসে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। নাম লিখেছিলেন স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকায়। তখনই কংগ্রেস-অফিসে ঠিক হচ্ছিল পরের দিনের কর্মসূচি। বিকেলে আইন অমান্যের যে কর্মসূচি তার সঙ্গে সৌম্যেন্দ্রনাথকে যুক্ত করে নেওয়া হয়। এই স্বীকৃতি তরুণমনে আলোড়ন তোলে। সৌম্যেন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘ওয়েলিংটন স্কোয়ার থেকে হন্ হন্ করে বাড়ি ফিরছি। মাটিতে যেন পা পড়ছে না, আবেগের ঝড়ো হাওয়া আমাকে যেন ঠেলে নিয়ে চলেছে।’

শিশু সৌম্যেন্দ্রনাথ, মায়ের কোলে।

এক অদ্ভুত ভালোলাগা। কিছু একটা করতে পারার আনন্দ। হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন। পিতা সুধীন্দ্রনাথ তখন বাড়ি ছিলেন না। লেখালেখির মানুষ, রবীন্দ্রনাথ খুব স্নেহ করতেন তাঁকে। বাবার প্রতি এই স্নেহ থেকেই হয়তো তাঁর ছেলের প্রতিও ছিল অপরিসীম আনুগত্য-ভালোবাসা। সুধীন্দ্রনাথ ফেরার পর সৌম্যেন্দ্রনাথ সব কথা খুলে বললেন তাঁকে। আইনঅমান্য দলের স্বেচ্ছাসেবক হয়েছেন তিনি। দেশের কাজে নাম লিখিয়েছেন। এসব বলতে বলতে তাঁর চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

সুধীন্দ্রনাথ শুনে যে খুশি হলেন, তা নয়। কেমন যেন বিষণ্ণ হয়ে চুপচাপ শুয়ে রইলেন। রাতের খাবারও খেলেন না, গভীর রাতে ছেলের কাছে এসে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করলেন। আইন অমান্য করতে গিয়ে বিপদ হতে পারে, পিতৃদেব যে ভয় পেয়েছেন, তা বুঝতে সৌম্যেন্দ্রনাথের অসুবিধা হয় না। ভেতরের ইচ্ছে, সেই ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখা সহজ কাজ নয়। সৌম্যেন্দ্রনাথ তাঁর ‘যাত্রী’ বইতে লিখেছেন, ‘হল না আমার আইন অমান্য করা, হল না আমার আন্দোলনের ফুটন্ত ঢেউয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। বুকের মধ্যে পাগল-করা ঢেউয়ের মাতামাতি চেপে রেখে দাঁড়িয়ে রইলুম আমি তীরে।’
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৫: সুন্দরবনের পাখি — মাছরাঙা

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০১: সরষের মধ্যে ভূত

গান্ধীজি সে সময় গঠনমূলক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য ডাক দিয়েছেন। তরুণসমাজ উদ্বুদ্ধ হল। উদ্বুদ্ধ হলেন সৌম্যেন্দ্রনাথও। কলকাতা ছেড়ে গেলেন প্রত্যন্ত এক গ্রামে। গ্রামের নাম বনপাশ। কেমন সে গ্রাম, সৌম্যেন্দ্রনাথের বর্ণনায় পিছিয়ে থাকা গ্রামটি ছবির মতো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাঁর লেখায় আছে, ‘গ্ৰামের বাইরে ধূ ধূ করছে মাঠ। কঙ্কালের মতো হাড়-বের-করা শুকনো ডাঙা। সেই ডাঙার এক প্রান্তে আমার কুঁড়েঘর। একটি ঘরে আলু রাখা আছে বোঝাই করে। অন্য ঘরে থাকি আমি।’ এ তো চরম কৃচ্ছ্রসাধন। মানুষের জীবনধারার মানোন্নয়নের কথা ভেবে সৌম্যেন্দ্রনাথ সব সহ্য করেছেন নীরবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

সৌম্যেন্দ্রনাথ যেখানে থাকতেন, ঠিক তার পেছনেই ছিল সাঁওতালপল্লি। সন্ধে হলেই ভেসে আসত মহুয়ার গন্ধ। সেই সঙ্গে মাদলের শব্দ। সামনে বড় মাঠ। সেই মাঠ পেরোলে অন্য একটি গ্রাম। সৌমেন্দ্রনাথ এ গ্ৰামে গিয়ে, সে গ্রামে গিয়ে শোনাতেন চরকার কথা, গান্ধীজির আদর্শের কথা। সারাক্ষণই ভাবতেন, কী করে এই মানুষগুলোকে ভালো রাখা যায়। একবেলা রান্না করতেন, দুবেলা খেতেন। কোনো কোনো দিন মুড়িচিঁড়ে খেয়ে দিন কাটিয়ে দিতেন।

ওদিকে খুব ম্যালেরিয়া হত। সকলেই কেমন যেন রোগাভোগা। বিবর্ণ,রুক্ষ। দেখে মনে হত ক্লান্তিতে, অবসাদে ঝিমোচ্ছে যেন। চরকা চালাতে, তুলো চাষ করতে উৎসাহিত করতেন সৌম্যেন্দ্রনাথ। চারিদিকে অভাব, দারিদ্র। গ্রাম সম্পর্কে যে ধারণা ছিল তাঁর, সে ধারণা নিতান্তই কল্পনা। বাস্তব বড়ো রূঢ়।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৪: শিকারী ও ‘শিকার’

যে গান যায়নি ভোলা— প্রাক জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য…/১

কাছেই ছিল আরও একটি সাঁওতাল গ্রাম। সে গ্রামেও সন্ধের দিকে নিয়ম করে যেতেন সৌম্যেন্দ্রনাথ। সাঁওতালদের সঙ্গে বেশ ভাবসাব হয়ে গিয়েছিল। আকাশছোঁয়া বটগাছের তলায় বসে ওদের সঙ্গে গল্প করতেন। ওদের সহজ-সরল নিরাভরণ জীবন সৌম্যেন্দ্রনাথকে আকৃষ্ট করেছিল।

গ্রামটি ছিল ম্যালেরিয়াপ্রবণ। সৌম্যেন্দ্রনাথের হঠাৎ করে জ্বর আসে। কাঁপুনি, সেই সঙ্গে প্রবল জ্বর। দুদিন মাটিতে পাতা মাদুরেই শুয়ে রইলেন। ওঠার মতো শক্তি ছিল না। এভাবে দুদিন পড়ে থাকার পর গ্রামের লোকজন জানতে পারে, সৌম্যেন্দ্রনাথ অসুস্থ। তারাই গোরুর গাড়িতে স্টেশনে পৌঁছে দেয়। কোথায় যাবেন তিনি, কলকাতা তো অনেক দূর!

সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

ওই অসুস্থ শরীরেই শেষে ট্রেন ধরে চলে গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। শান্তিনিকেতনে ‘বড়মা’ আছেন। সৌম্যেন্দ্রনাথ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে আগেই উপলব্ধি করেছিলেন, তাঁর কাছে গেলে ভরসা পাওয়া যায়। বড়মা দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্রবধূ দ্বিপেন্দ্রনাথের স্ত্রী। দ্বিপেন্দ্রনাথ মারা যাওয়ার পর হেমলতা দেবী শান্তিনিকেতনেই স্থায়ীভাবে থাকতেন। বড়মার সেবায়, শুশ্রূষায় সৌম্যেন্দ্রনাথ দ্রুত ভালো হয়ে উঠলেন। ভালো হওয়ার পরই কলকাতার জন্য আকূলতা। সৌম্যেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন ত্যাগ করে ফিরে গিয়েছিলেন চেনা শহরে।

কলকাতায় ফিরেও ম্যালেরিয়ার দুর্বলতা কাটে না, শরীরে জোর নেই, শুয়ে বসেই সময় কাটাতে ইচ্ছে করে। তারই মধ্যে মনে হয়, মানুষ কষ্টে আছে, তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। ক-টা দিন যেতে না যেতেই আবারও বেরিয়ে পড়েন। উত্তরবঙ্গে তখন বন্যা। শত শত গ্রাম ডুবে গিয়েছে। চারিদিকে হাহাকার।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০০: সন্দেহের তীরবিদ্ধ ভরতদের আজও খুঁজে পাওয়া যায়

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১৩: রাগ অনুরাগের বন্ধন, ডিএইচ লরেন্স ও ফ্রিডা

মানুষের বিপন্নতা বরাবরই সৌম্যেন্দ্রনাথকে বিব্রত করত। সমস্ত বাধা প্রতিবন্ধকতা অগ্রাহ্য করে বেরিয়ে পড়তেন, বিপন্ন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। সাহায্য করতেন। উত্তরবঙ্গের এই বন্যাপীড়িত মানুষজনকে সাহায্য করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠনের ডাক দিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র। সেই ডাকে সৌম্যেন্দ্রনাথ ও তাঁর পিসেমশায় নগেন্দ্রনাথ দু’জনে বেরিয়ে পড়েছিলেন উত্তরবঙ্গের পথে।

নগেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের ছোটমেয়ে মীরার স্বামী। মীরার সঙ্গে নগেন্দ্রনাথের সম্পর্ক মধুর ছিল না। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য তাঁকে পছন্দ করতেন। বইয়ের ভূমিকাও লিখে দিয়েছেন। নগেন্দ্রনাথ দিনের পর দিন সাঁওতাল পাড়ায় গিয়ে সাঁওতালি লোককথা সংগ্রহ করেছেন। বাংলা ভাষার প্রথম পূজাবার্ষিকী ‘পার্বণী’ তাঁরই উদ্যোগে ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেই নগেন্দ্রনাথকে নিয়ে উত্তরবঙ্গের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরলেন সৌম্যেন্দ্রনাথ। পৌঁছে দিলেন ত্রাণসামগ্রী। চারিদিকে অথৈ জল, বাড়িঘর মাঠঘাট সবই জলের তলায়। মাঝে মাঝে কিছু উঁচু জমি। সেই উঁচু জমিগুলো দেখে সৌম্যন্দ্রনাথের মনে হয়েছিল, ‘কচ্ছপের পিঠের মত জলের ভিতর থেকে মাথা তুলে আছে।’

শিশু সৌম্যেন্দ্রনাথ ও দিনেন্দ্রনাথ।

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবক-বাহিনীর সঙ্গে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এভাবে ঘোরা সহজ ছিল না। সমস্যা ছিল, প্রতিবন্ধকতা ছিল পদে পদে। সৌম্যেন্দ্রনাথ সেসব তুচ্ছজ্ঞান করে পিসেমশায়কে নিয়ে ঘুরলেন। জলে জোঁক ছিল, সাপ ছিল। কম জলে নেমে কখনো ডিঙিনৌকো ঠেলতে হয়েছে। জলে নামা মাত্র সাপের স্পর্শ মিলেছে। তারাও বিপন্ন, তাই বুঝি আরেক বিপন্নর গায়ে কামড় বসায়নি। গাছের গুঁড়িতেও অগুন্তি সাপ। গোরুবাছুর ভেসে চলেছে। সৌম্যেন্দ্রনাথ মানুষজনের হাতে তুলে দিয়েছেন পরার কাপড়, খাদ্য, ওষুধপত্র। সেসব হাতে পেয়ে আঁধার ঘনানো থমথমে মুখেও বিদ্যুতের ঝিলিক খেলে গেছে। সেই মুহূর্তে বিপন্ন মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে ঠাকুরবাড়ির সৌম্যেন্দ্রনাথের, রবীন্দ্রনাথের জামাই নগেন্দ্রনাথের এক মুহূর্তের জন্য হলেও ভালো লেগেছে। ঠাকুরবাড়ির মানুষজন এইভাবে বিপন্ন মানুষের পাশে থাকতেন। এমন অজস্র ঘটনার কথা বলা যেতে পারে। উচ্চতার শিখরে তাঁদের অবস্থান যতই ভাবা হোক না কেন, তাঁরা বরাবরই মানুষের পাশে ছিলেন। শুধু লেখায় নয়, বাস্তব জীবনেও।
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content