শততম উৎক্ষেপণের নজির ইসরোর।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র মুকুটে নয়া পালক! নতুন বছরের গোড়াতেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে ১০০তম উৎক্ষেপণের নজির গড়ল ইসরো।
২৯ জানুয়ারি বুধবার ভোর ৬টা ২৩ মিনিট নাগাদ কৃত্রিম উপগ্রহ এনভিএস-২-কে নিয়ে জিএসএলভি এফ-১৫ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ হয়। এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করল এই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বা জিএসএলভি এফ-১৫ দেশীয় ক্রায়োজেনিক্স প্রযুক্তিতে তৈরি। একটি একটি ত্রিস্তরীয় রকেট। এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এনভিএস-০২-কে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রজাতন্ত্র
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৯: কী ছিল চিঠিতে, উত্তর লিখতে গিয়ে উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের হাত কেঁপেছিল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই শ্রীহরিকোটা থেকেই ১৯৭৯ সালের ১০ অগস্ট প্রথম এসএলভি-৩ রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। যদিও প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য এসএলভি-৩ রকেট বঙ্গোপসাগরে ভেঙে পড়েছিল। এর পর ৪৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এসএলভি-৩ রকেট উৎক্ষেপণের ব্যর্থতার পর এই ৪৫ বছরে সাফল্যের বহু নজির গড়েছে ইসরো। চন্দ্রযান, মঙ্গলযান, আদিত্য এল-১ উৎক্ষেপণ, গগনযানের প্রস্তুতি— একাধিক ক্ষেত্রে ইতিহাস গড়েছে এই গবেষণা সংস্থা! এবার ইসরোর সাফল্যের তালিকায় জুড়ল আরও এক সফল অভিযান। ইসরোর শততম অভিযান।
আরও পড়ুন:
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৫: সুন্দরবনের পাখি — মাছরাঙা
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৮: প্রতিভা দেবী—ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী
অভিযানের আগে রীতি মেনে ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন মঙ্গলবার অন্ধ্রের তিরুপতির তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন। নারায়ণের সঙ্গে ছিলেন ইসরোর অন্য শীর্ষ আধিকারিকেরাও। বুধবার ভোরে সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্রের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ এনভিএস-২-এর উৎক্ষেপণ হয়। এনভিএস-০২ স্যাটেলাইটটির ওজন কমবেশি ২২৫০ কিলোগ্রাম। মাত্র ১৯ মিনিটেই সাফল্য এসেছে। কারণ এই ১৯ মিনিটেই এনভিএস-২-কে জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিট (জিটিও) বা স্থায়ী কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে জিএসএলভি এফ-১৫।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৪: শিকারী ও ‘শিকার’
মাই নেম ইজ গওহর জান—ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে অঘোষিত বিপ্লব এনেছিলেন এই শিল্পী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এর আগেও একাধিক বার জিএসএলভি এফ-১৫ উৎক্ষেপণ করেছে। যদিও এতে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতা বেশি এসেছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত মোট ১৬টি উৎক্ষেপণের মধ্যে ছ’টি অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। শতকরা হিসাবে বিচার করলে যা প্রায় ৩৭ ভাগ!