শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

শীতকালের রুক্ষ শুষ্ক আবহাওয়ায় আমাদের অনেকের চুলে প্রায় প্রাণহীন হয়ে পড়ে। এই রুক্ষ চুলের যত্নে কেউ সপ্তাহে দুদিন করে বিভিন্ন রকমের হেয়ার অয়েল মাথায মাসাজ করেন। আবার প্রাণহীন এই চুলের যত্নে মাস্কও নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে শীতের মরসুমে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলা চুলের যত্নে আরও এক প্রকার উপায় কিন্তু মাথায় রাখতে পারেন। সেটি হল হেয়ার বাটার। এখনকার দিনে অনলাইনে বা যে কোন কসমেটিক দোকানে খোঁজ করলে বিভিন্ন সংস্থার বাটারের সন্ধান মিলবে। কিন্তু জানেন কি, জিনিসটি আসলে কী? কেমন ভাবেই বা তা মাখতে হয়?
প্রাকৃতিক উপকরণের দাঁড়া তৈরি করা হয় এই হেয়ার বাটার। বিভিন্ন ধরনের বাটার, যেমন কোকো বাটার, শিয়া বাটার, ম্যাঙ্গো বাটার এবং তেলের মিশ্রণে তৈরি প্রসাধনীটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে অত্যন্ত উপকারী। শুধু রুক্ষ চুলে আর্দ্রতা ফেরানোই নয়, মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগানো, জট পড়া চুল সুন্দর, মসৃণ করার মত সমস্যার সমাধান করতে সঙ্গে রাখতে পারেন হেয়ার বাটার।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৯৮: কপোত-কপোতী

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৮২: মা সারদার ভক্ত যোগেন মায়ের কথা

আমরা সকলেই জানি যে হেয়ার মাস্ক বা হেয়ার কন্ডিশনার শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু হেয়ার বাটার শুকনো এবং ভেজা— যে কোনও চুলেই আপনি মাখতে পারেন। মূলত চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকে ধরে রাখাই এর কাজ। কেশসজ্জার আগে চুল নরম করতে, ডগা ফাটা, নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা ফেরাতেও এই হেয়ার বাটারের জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৯৯: আলোকলতা তিলোত্তমারা যুগে যুগে পুরুষের উজ্জীবনী শক্তির আধার

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১৬: হে পূর্ণ, তব চরণের কাছে

 

বাড়িতেও তৈরি করা যায় হেয়ার বাটার?

বাজারে বিভিন্ন সংস্থার হেয়ার বাটার কিনতে পাওয়া যায় ঠিকই, তবে আপনি ইচ্ছা করলে বাড়িতেও তা বানিয়ে নিতে পারেন।
 

কী কী উপকরণ লাগবে?

দেড় কাপ শিয়া বা কোকো বাটার
২ টেবিল চামচ হেম্প সিড অয়েল
২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল
৫-৬ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল (ল্যাভেন্ডার, রোজ়মেরি)

আরও পড়ুন:

বল বীর, চির উন্নত মম শির!

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৮: শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলেন দ্বারকানাথ

 

কীভাবে বানাবেন

সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নেওয়ার আগে দেখে নেওয়া দরকার কোকো বা শিয়া বাটার ঘরের তাপমাত্রায় রয়েছে কি না। তারপর প্রত্যেকটি উপকরণকে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ক্রিমের মতো হয়ে গেলে পরিষ্কার কাচের শিশিতে সংরক্ষণ করে রেখে দিন। তবে এই মিশ্রণটিকে কখনোই ফ্রিজে রাখবেন না।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১২: ক্যাথরিন ম্যান্সফিল্ড ও মিডলটন মারে, এক ভালোবাসাহীন বিবাহ

 

কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুল ধুয়ে হেয়ার বাটার মাথার ত্বক থেকে চুলে লাগিয়ে হালকা হাতে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। এরপর এই মিশ্রণটিআধ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে চুল ধুয়ে নিন।
স্নানের পর ক্রিমের মতো চুলে হেয়ার বাটার মাখতে পারেন। এক্ষেত্রে ধোয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
আবার শুকনো চুলে বা ভিজে চুলে হেয়ার বাটার লাগিয়ে আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।

তবে একথা মনে রাখতে হবে যে হেয়ার বাটার সব সময় শ্যাম্পু করার পর পরিষ্কার চুলে ব্যবহার করতে হবে। বাটার মাখার আগে চুল ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।


Skip to content