শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

আপনি কি রঙিন ফুলে বাড়ি সাজাতে ভালোবাসেন? স্বপ্ন দেখেন বাড়ির প্রবেশদ্বার থেকে বারান্দা পর্যন্ত ভরে থাকবে সুন্দর সব লতানে গাছে। ফুটে থাকবে ধোকা থোকা ফুল। সুন্দর ফুল নামী-দামি ঘর সাজানোর জিনিসকেও নিমেষে টেক্কা দিতে পারে। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না তো লতানে কোন গাছে সাজিয়ে তুলবেন শখের বারান্দা কিংবা বাড়িতে ঢোকার গেট? তিন ফুলের গাছের রইল হদিশ।
 

মর্নিং গ্লোরি

নীল, বেগনি, সাদা ফুলে বারান্দা ভরিয়ে তুলতে চান? তা হলে সেরা পছন্দের তালিকায় থাকুক মর্নিং গ্লোরি। লতানে গাছটিতে যখন ফুল ফুটবে তখন বাড়ির রূপই বদলে যাবে। তবে এই গাছ বেড়ে ওঠার জন্য অন্তত ছ’ঘণ্টা সূর্যালোকের প্রয়োজন। কিন্তু এই গাছে খুব বেশি জল দেবার দরকার হয় না। তবে নজর রাখতে হবে যদি মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে যায় তবে অবশ্যই জল দিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাও যেন ভালো হয়।

আরও পড়ুন:

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১২: দর্দরজাতক

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৭: ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মহর্ষি পেলেন চরম দুঃসংবাদ

 

ট্রাম্পেট ভাইন

এই গাছটিতে কমলা, লালচে রঙের ফুল হয়। রোদ, জল, হাওয়ায় দিব্যি মানিয়েও নিতে পারে। মাঝেমধ্যে এক-দু’দিন জল দিতে ভুল হলেও চিন্তা নেই। কারণ, কম জলেও এই গাছ ভালোই মানিয়ে নিতে পারে। ফুল ফুটলে মৃদু সুগন্ধ বেরোয় এই গাছটি থেকে। তাই ফুলের রূপ-গন্ধের জন্য প্রজাপতি থেকে পাখিদের সহজেই আনাগোনা দেখা যায় আপনার বাড়ির বারান্দাতে। তাই বারান্দা সাজাতে হলে নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন এই গাছটি।

আরও পড়ুন:

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪৬: ‘রাজর্ষি’ অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছেন ‘বিসর্জন’ নাটক

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮২: সুন্দরবনের পাখি—টিয়া

 

অপরাজিতা

আগেকার দিনের প্রতিটি বাড়ির বাগানেই নীলচে ফুলটি দেখা যেত। তবে ইদানিং কালে ফ্ল্যাট বাড়ির কনসেপ্টে বাগানের পরিসর কমেছে, কমেছে গাছপালাও। তাই আপনার ফ্ল্যাটের বারান্দা সাজিয়ে তুলতে অপরাজিতাও বেছে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে জায়গায় গাছটি লাগাবেন সেখানে যেনপর্যাপ্ত রোদ আসে। ৬-৮ ঘণ্টা রোদ এই গাছের জন্য খুবই প্রয়োজন। গাছের গোড়ায় জল জমতে দেয়া যাবে না। যখন টবের মাটি বা গোড়া শুকনো মনে হবে তখন টবে জল দিতে হবে। এই গাছের ক্ষেত্রে দোআঁশ মাটির সঙ্গে কম্পোস্ট, বালি মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করলে প্রথম থেকেই গাছটি ভাল ভাবে বেড়ে উঠবে। মাঝে মধ্যে সব্জির খোসা, সর্ষের খোল পচিয়ে সারও দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।


Skip to content