প্রয়াত শ্যাম বেনেগাল। ছবি: সংগৃহীত।
চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত হয়েছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। মৃত্যুকালে পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধে ৬টা বেজে ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। পাশাপাশি তাঁর কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাও ছিল। পরিচালকের কন্যা পিয়া বেনেগাল মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকলেও তিনি একাধিক প্রোজেক্টে কাজ করছিলেন। তবে এ বার তাঁর জীবনযুদ্ধ থামল। ভারতীয় সিনেমার জগতে প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব ছিলেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। তাঁর প্রয়াণে বিনোদন জগত শোকস্তব্ধ। পরিচালক মুম্বইয়ের ওখার্ড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত হার মানলেন রোগের কাছে।
আরও পড়ুন:
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৯: সুন্দরবনের পাখি: টুনটুনি
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৮: স্বীকারোক্তি
শ্যাম বেনেগালের জন্মদিন ছিল গত ১৪ ডিসেম্বর। ৯০ বছর পূর্ণ করেছিলেন পরিচালক। তিনি জন্মদিন পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কাটিয়েছিলেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা কুলভূষণ খরবন্দা, নাসিরুদ্দিন শাহ, দিব্যা দত্ত, শাবানা আজমি, রজিত কাপুর, অতুল তিওয়ারি, শশী কাপুরের পুত্র কুণাল কাপুর প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪২: রবীন্দ্রনাথকে ‘ভারত ভাস্কর’ উপাধি দিয়েছিলেন রাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৪: আশ্রমের আনন্দময় পিকনিক
দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন শ্যাম বেনেগাল। এছাড়াও ১৮টি ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড অর্থাৎ জাতীয় পুরস্কার পেয়ছিলেন তিনি। পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ, এই দুই সম্মানেই ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে ‘অঙ্কুর’ ছবি দিয়ে অভিষেক হয় এই পরিচালকের। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছিলেন অন্তত নাগ এবং শাবানা আজমি। গিরিশ কারনাড, শাবানা আজমি, অমরীশ পুরী, স্মিতা পাটিলের মত আভিনেতারা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন শ্যাম বেনেগাল। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায় শ্যাম বেনেগালের তৃতীয় ছবি ‘নিশান্ত’। Palme d’Or- এর নমিনেশন থেকে 1976 Cannes Film Festival- এর রেড কার্পেটে জায়গা পাকা করা, সবেতেই উঠে এসেছিল এই সিনেমার নাম।