‘কবি আষাঢ় মাসে কলকাতায় এলেন। আমার ভাই গিয়েছিলেন দেখা করতে। কবি বললেন, ‘বীরেন্দ্রকিশোর, তোমার দিদি ইস্কুল-কলেজে পড়েননি, কিন্তু তাঁর লেখা দেখে তা বোঝা যায় না।’…আমাকে একবার দেখতে চাইলেন। আমার ছেলে, বাড়ির অন্য সকলের প্রতিকূলতায় পাছে বিঘ্ন ঘটে এ জন্য অন্য সকলের অগোচরে… আমাকে নিয়ে জোড়াসাঁকোয় যান, সেই প্রথম দর্শন। সেই মুহূর্ত থেকেই আমার জীবনে একটি স্মরণীয় পরিবর্তন আসে।… মনে হয়েছিল, আমি তীর্থস্নান করে উঠলাম।’
নিজের হৃদয়ানুভূতির কথা এ ভাবেই প্রকাশ করেছিলেন হেমন্তবালা দেবী। তাঁর মনের কোণে আলোর পিদিম জ্বেলে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সে আলো নিভে যায়নি। গড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। অভিজাত হয়েও রক্ষণশীল, এমনই এক জমিদার পরিবারের কন্যা তিনি। হেমন্তবালার পিতা ছিলেন ময়মনসিংহের দানবীর সংস্কৃতিমনস্ক সঙ্গীতপ্রিয় জমিদার ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি। বধূ হিসেবে যে পরিবারে গিয়েছিলেন, নাটোরের সে পরিবারটিও ছিল চিন্তায় চেতনায় রক্ষণশীল। আভিজাত্য-বৈভব কম ছিল না তাঁদের। হেমন্তবালা বিয়ের আগে তো বটেই, বিয়ের পরেও মানসিক যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়েছেন। দম-বন্ধ করা সেই জীবনের বাইরে এসে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। সংসার-জীবনের সীমাবদ্ধতা হেমন্তবালাকে ক্লান্ত করেছিল। ধর্মজীবনে চিন্তার প্রসারণ ঘটে, এমনই মনে হয়েছিল তাঁর, তাই আঁকড়ে ধরেছিলেন।
নিজের হৃদয়ানুভূতির কথা এ ভাবেই প্রকাশ করেছিলেন হেমন্তবালা দেবী। তাঁর মনের কোণে আলোর পিদিম জ্বেলে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সে আলো নিভে যায়নি। গড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। অভিজাত হয়েও রক্ষণশীল, এমনই এক জমিদার পরিবারের কন্যা তিনি। হেমন্তবালার পিতা ছিলেন ময়মনসিংহের দানবীর সংস্কৃতিমনস্ক সঙ্গীতপ্রিয় জমিদার ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি। বধূ হিসেবে যে পরিবারে গিয়েছিলেন, নাটোরের সে পরিবারটিও ছিল চিন্তায় চেতনায় রক্ষণশীল। আভিজাত্য-বৈভব কম ছিল না তাঁদের। হেমন্তবালা বিয়ের আগে তো বটেই, বিয়ের পরেও মানসিক যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়েছেন। দম-বন্ধ করা সেই জীবনের বাইরে এসে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। সংসার-জীবনের সীমাবদ্ধতা হেমন্তবালাকে ক্লান্ত করেছিল। ধর্মজীবনে চিন্তার প্রসারণ ঘটে, এমনই মনে হয়েছিল তাঁর, তাই আঁকড়ে ধরেছিলেন।