শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

শীত হোক বা গ্রীষ্ম বারোমাস শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেকেই যোগা করে থাকেন। যোগা যেমন শরীর, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে তেমন মন শান্ত রাখতেও সাহায্য করে যোগা। সারাদিনে যোগা করার পর যোগনিদ্রা করলে ৫ ঘণ্টার বিশ্রাম হয়ে যায় মাত্র ২০ মিনিটেই। হ্যাঁ, এটাই সত্যি।
নিজেকে ঘুমন্ত ও জাগ্রত অবস্থার মাঝামাঝি নিয়ে যান। ২০ মিনিটের এই যৌগিক ক্রিয়া আপনার ৫ ঘণ্টা ঘুমের সমতুল হবে। এতে নতুনভাবে জন্ম হবে আপনার। মন হবে শান্ত। তাই যোগা করার পর সুদর্শন ক্রিয়া ও যোগনিদ্রা করুন। এই ক্রিয়া কেন করবেন? এতে আপনার কী উপকার হবে? যোগনিদ্রাই বা কেন করবেন? বিস্তারিত জানুন।
আরও পড়ুন:

মুভি রিভিউ: মামুটির মাল্টিস্টারার ছবি ‘সিবিআই ৫: দ্য ব্রেন’ গতানুগতিক থ্রিলার

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— রামবাণ ও পানি তাঙ্কি

 

সুদর্শন ক্রিয়া কেন করবেন?

শরীর, মন এবং আত্মাকে সুস্থ এবং সমন্বিত করতে এই ক্রিয়া করুন। এতে আপনার মন হবে শান্ত। আর এই শ্বাসক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থাকবে সুস্থ। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই ক্রিয়া করতে পারেন। আবার মধ্যাহ্নভোজের দু’ঘণ্টা পরও করতে পারেন এই ক্রিয়া।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৯: শাসক বেকায়দায় পড়লেই প্রতিপক্ষকে সন্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়, যদিও রাজনীতিতে সে সব মানা হয় না

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৬২: সত্যজিৎ রায় রুপটান শিল্পীকে বলেছিলেন, উত্তমকুমারের কোনও মেকআপ করার

 

এই ক্রিয়া করলে আপনার কী উপকার হবে?

যোগাসনের পর এই এই শক্তিসঞ্চারী শ্বাস প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আপনার শরীর, মন ও আত্মা সুস্থ ও শান্ত হয়ে ওঠে এবং আমাদের ভিতরে রোজকার যে অবদমিত ভার ও উদ্বেগ থাকে তা সহজেই নির্মূল হয়ে যায়। মনকে শান্ত রাখে এই ক্রিয়া। শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক স্তরে নতুন সজীবতা নিয়ে আসে এই সুদর্শন ক্রিয়া।

আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮৪: ঝোপে-ঝাড়ে হায়েনা

 

যোগনিদ্রা করবেন কেন?

অবসাদ কাটাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে, স্মৃতিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে যোগনিদ্রা। ঘুমের সময় পঞ্চ ইন্দ্রিয় নিজেদের গুটিয়ে নেয়। ব্রেনে কোনও ইনপুট দেয় না। সেই কারণে ঘুমের সময় আমরা চোখে কিছু দেখতে পাই না, নাকে গন্ধ পাই না, কানে কিছু শুনতেও পাই না। এই যোগনিদ্রা করার সময়ও ব্রেনে থিটাওয়েব চলে। যা একমাত্র গভীর ঘুমের সময়ই সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, যোগনিদ্রা কিন্তু ঘুমিয়ে পড়া নয়। শরীর-মন সুস্থ ও সতেজ রাখতে ঘুমের থেকেও বেশি কার্যকরী হয় যোগনিদ্রা। তাই যোগাসনের পর সুদর্শন ক্রিয়া ও যোগনিদ্রা করলে শরীর ও মন দুইই ভালো থাকে।


Skip to content