শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

বাজারে বিভিন্ন রঙের ফল এবং সব্জির মধ্যে আমাদের সবথেকে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে যেকোনও লাল রঙের ফল। যেমন বেল পেপার বা বেদানা। শুধু দেখতে ভালোই না, এসি সব লাল রঙের সব্জি বা ফলের স্বাস্থ্যগুণ অনেক বেশি। পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, লাল রঙের সব্জি বা ফলে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদান মারণ ক্যানসারের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই সব ফল বা সব্জিতে থাকা ‘লাইকোপেন’, ‘অ্যান্থোকায়নিনস’ এবং ‘ক্যারোটিনয়েড’ এর মতো উপাদানও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ‘লাইকোপেন’, ‘অ্যান্থোকায়নিনস’ এবং ‘ক্যারোটিনয়েড’ এর মতো উপাদান মতো উপাদান ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তবে শুধু বেদানা, বেল পেপার নয়, সেই তালিকায় রয়েছে এমন পাঁচ ফল এবং সব্জি। সেগুলি কী কী?
 

ক্যানসার রোখার ক্ষমতা রয়েছে এই ৫ ফল এবং সব্জিতে

 

বেদানা

বেদানায় আছে ‘পলিফেনল’ নামক উপাদান। এই উপাদানটি ক্যানসার প্রতিরোধক। এ নিয়ে ‘ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয় এই বেদানা। স্তন এবং মলাশয়ের মতো ক্যানসারে আক্রান্তের ঝুঁকিও কমে নিয়মিত বেদানা খেলে।

আরও পড়ুন:

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৮: যেথা আমি যাই নাকো / তুমি প্রকাশিত থাকো

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৮: নির্দোষ প্রাণীহত্যা কী সমর্থনযোগ্য?

 

লাল আঙুর

লাল আঙুরের খোসাও খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ‘রেসভেরাট্রল’ নামে এক ধরনের উপাদান। ‘রেসভেরাট্রল’ নামক এই উপাদানটি আসলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এ প্রসঙ্গে ‘ক্লিনিক্যাল অঙ্কলজি’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই ‘রেসভেরাট্রল’ উপাদানটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখে দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৪: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গিরা শাক ও যদু পালং

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৬:কোনও একটি দাবিতে বিরোধীরা জোট বাঁধুক কখনও চায় না শাসক

 

লাল বেল পেপার

লাল বেল পেপার ভিটামিন এ, বি, সি, ই, ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, লাল বেল পেপার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই সব্জিতে থাকা উপাদান ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ‘ক্যারোটিনয়েড’ নামক স্তন এবং ফুসফুস ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৮: যেথা আমি যাই নাকো / তুমি প্রকাশিত থাকো

 

টম্যাটো

টম্যাটোতে রয়েছে ‘লাইকোপেন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এ নিয়ে ‘ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউট’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই ‘লাইকোপেন’ ক্যানসার প্রতিরোধক হিসাবে বড় ভূমিকা নেয়।

আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

দশভুজা, পর্ব-৩৬: মৃণালিনী— রবি ঠাকুরের স্ত্রী-র লেখকসত্তা

 

বিট

বিট রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। ফলে এই সব্জিটি কিন্তু ক্যানসার প্রতিরোধক হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। মলাশয়, পাকস্থলী এবং ফুসফুসের ক্যানসার রুখে দিতে পারে বিট।


Skip to content