শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

আমাদের ছুটির দিন মানেই জলখাবারে লুচি-পরোটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থাকে। অন্য দিনগুলিতে আমরা ডিম সেদ্ধ, ফল, ডিম সেদ্ধ, টোস্ট প্রভৃতি খেয়েই যে যার কর্মক্ষেত্রে চলে যাই। এর মধ্যে কখনও কখনও খাদ্যতালিকায় বদলে এলেও ডিম সেদ্ধ প্রায় রোজ দিন থাকেই। কারণ ডিম হল প্রোটিনের অন্যতম একটি সেরা উৎস। এটা বলা যেতে পারে যে, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে ডিম খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই।
তাই বলে কি প্রতিদিন ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর? রোজ দিন ডিম খেলে কি পেটের গোলমালও হতে পারে? যদিও এ প্রসঙ্গে একাধিক গবেষণা এবং চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন ডিম খাওয়ার কোনও ক্ষতিকর প্রভাব নেই। তাই বলে যত খুশি খেলে হবে না। এর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আছে। প্রতিদিন ৪-৫টি ডিম খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, রোজ দিন ১-২টি ডিম অনায়াসে খাওয়াই যায়। এর বেশি ডিম খেলে কিডনির উপর প্রভাব পড়তে পারে। তবে রোজ দিন ১টি করে ডিম খেলেও কী কোনও সুফল পাওয়া যায়?
আরও পড়ুন:

দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং..., পর্ব-৩২: কালপুরুষ

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৮: নির্দোষ প্রাণীহত্যা কী সমর্থনযোগ্য?

 

নির্দিষ্ট পরিমাণে ডিম খেলে কী কী উপকার মিলবে?

 

দৃষ্টিশক্তি

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের জ্যোতি তত কমতে থাকে। ক্রমশ ক্ষীণ হতে শুরু করে আমাদের দৃষ্টিশক্তিও। তবে ডিম এই সমস্যাগুলি আটকাতে সাহায্য করে। এখন থেকেই যদি নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণে ডিম খাওয়া যায়, তা হলে বয়স বাড়লেও চশমা পরে কাটাতে হবে না। বয়সজনিত চোখের সমস্যা থেকে দূরে থাকতেও ডিমে থাকা লুটেইন এবং জেক্সানাথিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৪: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গিরা শাক ও যদু পালং

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৬:কোনও একটি দাবিতে বিরোধীরা জোট বাঁধুক কখনও চায় না শাসক

 

ওজন কমাতে

ডিম খাওয়ার সবথেকে বড় উপকারিতা হল রোগা হওয়া। আমাদের ওজন কমাতে যতটা পরিমাণ প্রোটিন দেহে যাওয়া জরুরি, একমাত্র ডিম খেলেই তা সম্ভব। আবার ডিমে থাকা প্রোটিন আমাদের হজমশক্তিরও উন্নতি করে। আর হজম যদি ঠিক ঠাক ভাবে হয় তাহলে ওজন কমানো সহজ অনেকটা হয়ে যায়। তাই রোগা হওয়ার ডায়েটে থাকুক ডিমও।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৮: যেথা আমি যাই নাকো / তুমি প্রকাশিত থাকো

 

হার্টের যত্নে

যেহেতু ডিমের সঙ্গে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, তাই অনেকে ডিম খাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকেন। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, ডিম আমাদের হার্টের খেয়ালও রাখে। ডিমে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানাথিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে সত্যিই কার্যকরী।


Skip to content