ওজন নিয়ন্ত্রণ হোক বা হজমের গোলমাল— ঘরোয়া টোটকা হিসেবে জিরে ভেজানো পানীয় ভালো কাজ দেয়। আবার অনেক সময়ে একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেলে পরের দিন পর্যন্ত পেটভার থাকে। তখন আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে এক গ্লাস জিরে ভেজানো জল খেয়ে নিই। কেউ কেউ আবার গোটা জিরে মুখে দিয়ে, একটু উষ্ণ জল খেয়ে নেয়। তবে পুষ্টিবিদদের একাংশ বলছেন, রোজ দিন দিনের শুরুতে তো অবশ্যই, পাশাপাশি রাতে খাবার খাওয়ার পর অর্থাৎ শোয়ার আগে জিরে ভাজানো এই পানীয় খেলে লাভ অনেক বেশি হয়।
রাতে জিরে ভাজানো জল খেলে কী কী উপকার হবে?
ত্বকের স্বাস্থ্য
● শরীরে জলের ঘাটতিতে অনেক সময় ত্বকেও নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। জানলে ভালো, জিরেতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই দুই উপাদান ত্বকের নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সবথেকে ভালো হয়, যদি রাতে শোয়ার আগে জিরে ভেজানো পানীয়ে চুমুক দেওয়া যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে
● ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না তা অনেকাংশে নির্ভর করে বিপাকহারের উপর। কারণ বিপাকহার ভালো হলে সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর জন্য জিরে ভেজানো জল বেশ উপকারী। রাতে খাবার খাওয়ার পরেও এই পানীয় খেলে উপকার মিলবে। জিরের জলে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আমাদের বিপাকহারের মান বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ে
● অনেকেই দিনের শুরুতে জিরে ভেজানো জলপান করেন। এই পানীয় আমাদের হজমশক্তি বাড়িয়ে তুলতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভালো কাজ করে। আবার পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, হজমশক্তি ভালো করতে জিরে ভেজানো এই পানীয় রাতেও খেতে হবে।
টক্সিন বের করে দেয়
● দিনের শুরুতে জিরে ভেজানো জল খেলে শরীরে জমা টক্সিন বেরিয়ে যায়। আবার, এই পানীয় রাতে পান করলে শরীরে আর্দ্রতাজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
● জিরে ভাজানো এই পানীয় আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা এবং কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে রাতেও জিরে ভাজানো পানীয় খেলে ভালো উপকার হবে।