রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

অসহনীয় গরমের সঙ্গে অতিরিক্ত দূষণের জেরে নাজেহাল হয়ে আমজনতা। এর প্রভাব পড়ছে ত্বকের উপরও। তাই ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের ত্বকের উপরিভাগে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। ছিদ্রগুলি ত্বকের শ্বাসপ্রশ্বাসে সাহায্য করে। এছাড়াও এরা মুখের আর্দ্রভাব ধরে রাখে। সর্বপরি ত্বককে ঠান্ডা রাখে। ছিদ্রগুলি এতই ছোট যে, খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু অনেক সময়েই অনেকের কপাল, নাক ও গালের রোমকূপ বড় হয়ে গর্তের মতো দেখতে লাগে। কারও কারও আবার ত্বক শিথিল হয়ে পড়ে। ফলে বয়স্ক দেখায়। ত্বকের ছিদ্র বড় হলে তাতে ধুলোময়লাও জমে।
অনেক সময় অতিরিক্ত ধূমপান বা হরমোনের সমস্যা থাকলে বা বংশগত কারণেও রোমকূপ বড় হয়। ত্বক অপরিচ্ছন্ন রাখলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে ত্বক সব সময় তৈলাক্ত থাকে। তখন ব্রণ, র্যা শের সমস্যাও বাড়ে। তাই রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে, যাতে সমস্যা কিছুটা এড়িয়ে যাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৪: সরলাদেবী—নির্ভীক এক সরস্বতী

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬০: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— দুধি লতা ও পঞ্চরতি লতা

 

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার

সম পরিমাণে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি তুলোয় করে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। তার পর কিছুক্ষণ শুকোতে দিন। এটি নিয়মিত টোনার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের রন্ধ্রগুলি ক্রমশ ছোট হতে শুরু করে দেবে।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৪: রাজা দশরথ, রাম, লক্ষ্মণ, সীতা সকলেই কি এক একটি জীবনবোধের প্রতীক?

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৩: রাজনীতিতে উন্নতির জন্য নিন্দা বা প্রশংসা ব্যক্তিগত পরিসরে করাই শ্রেয়, সভায় নয়

 

কলার খোসা

এ ক্ষেত্রে কলার খোসাও খুবই উপকারী। এই কলার খোসা আলতো হাতে মুখে ঘষুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ক্রিম লাগান। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ত্বকের সমস্যা অনেক কমে যাবে। পাশাপাশি ব্রণর হাত থেকেও মুক্তি পাবেন এবং বড় রোমকূপের সমস্যা দূর হবে।
 

অ্যালো ভেরা জেল

সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাজা অ্যালো ভেরা জেল ত্বকে লাগান। বাজারের অ্যালো ভেরা জেলের পরিবর্তে বাড়ির গাছের রস লাগাতে পারলে ফল বেশি পাওয়া যায়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি ছিদ্রের আকারও ছোট করে দেয়। দশ মিনিট রেখে আপনি জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক টানটান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৬: আমার দুঃখদিনের রক্তকমল তোমার করুণ পায়ে

 

ডিম, ওটমিল ও লেবু

ডিমের সাদা অংশ, ওটমিলের গুঁড়ো, আর সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তার পর ময়শ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বকের টানটান ভাব আবার ফিরে আসবে।
 

টক দই

পরিমাণ মতো টক দইয়ের সঙ্গে বেসন আর এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগান। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছু দিনের মধ্যে ছিদ্র ছোট হয়ে যাবে এবং ত্বকের হারানো জেল্লাও ফিরে আসবে। এর ফলে ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।


Skip to content