রূপচর্চার ঠিক নিয়ম জানা না থাকলে অনেকেই কিছু কিছু ভুল করে বসেন। এমন কিছু জিনিস ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করেন, যা একদমই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। মাথায় রাখতে হবে, সব প্রাকৃতিক উপাদানই যে ত্বকের জন্য ভালো হবে এমন কোনও কথা নেই। ফলে আপনি মুখে বা হাতে কী কী মাখছেন, তা নিয়ন অবশ্যই ধারণা থাকা প্রয়োজন। তেমন দরকার হলে ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ায়ই বুদ্ধিমানের কথা। বিজ্ঞাপন দেখে বা অন্যকে দেখে ভুলে মুখে এমন কিছু মেখে ফেলবেন না, যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
কী কী ভুলেও মাখবেন না?
পাতিলেবুর রস
● বিভিন্ন কারণে অনেকেরই মুখের কালো দাগছোপ পড়ে। তাঁরা সেই সব কালো দাগছোপ তুলতে পাতিলেবুর রস সরাসরি মুখে মেখে ফেলেন। এতে কিন্তু ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে বাধ্য। পাতিলেবুর রসের থাকা অ্যাসিড ত্বকে প্রদাহ তৈরি করে। ফলে পাতিলেবুর রস মাখলে কালো দাগছোপ বা দাগ উঠে যাওয়ার পরিবর্তে আরও গাঢ় হয়ে বসবে। তবে ফেসপ্যাকে পাতিলেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে, যদিও অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে ত্বকে ফোস্কা পড়ে যেতে পারে।
গরম জলে মুখ ধোয়া যাবে না
● শীতকালে উষ্ণ গরম জলে মুখ ধোয়াই যেতে পারে। তবে অন্য সময় গরম জল দিয়ে কখনওই মুখে দেবেন না। এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মনে রাখতে হাবে, দিনের পর দিন গরম জলে মুখ ধুলে কিন্তু ত্বক লাবণ্য হারিয়ে যাবে। ত্বক আরও রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যাবে। আর যদি গরম জল ব্যবহার করতেই হয়, তবে তা ঠান্ডা জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঈষদুষ্ণ জলেই মুখ ধুতে হবে।
মাজন ব্যবহার করা যাবে নয়
● কেউ কেউ ব্রণ বা ফুসকুড়ি হলে সেই জায়গায় দাঁত মাজার মাজন লাগিয়ে রাখেন। অনেকে ফোড়া হলে তা যাতে দ্রুত ফেটে যায়, সে জন্যও
অনেকে মাজন লাগান। এই অভ্যাস কিন্তু একদমই সঠিক নয়। মনে রাখতে হবে, ত্বকে মাজন লাগালে মেলানিনের ক্ষরণ বেড়ে যাবে। শেষমেশ যে জায়গায় মাজন লাগিয়ে রাখছেন সেখানটা পুড়ে কালো হয়ে যাবে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ সানস্ক্রিন বা ময়েশ্চারাইজার
● মুখে ব্যবহারের জন্য যা-ই কিনুন না কেন অবশ্যই তার লেবেলটা ভালো করে পড়ে নেবেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ ময়েশ্চারাইজার হোক বা সানস্ক্রিন কখনওই ত্বকে লাগানো যাবে না। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কিছু ত্বকে লাগালেই সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বেকিং সোডা
● বেকিং সোডা। ত্বকে বেকিং সোডা লাগালে নাকি মৃত কোষ দূর হবে, এই ধারণা একেবারেই ভুল। উল্টে মুখে সরাসরি বেকিং সোডা মাখলে ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর ত্বক খসখসে ও শুকনো হয়ে যাবে।