শ্রীকান্ত ছবির একটি বিশেষ দৃশ্যে রাজকুমার ও জ্যোতিকা।
শ্রীকান্ত
“বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি”…এ কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। এই প্রতিবেদনের পাঠক-পাঠিকাদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই জানতেন চিনতেন। কিন্তু ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া অসাধারণ একটি ছবি ‘শ্রীকান্ত’ দেখার আগে পর্যন্ত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কৃতী ছাত্র দৃষ্টিহীন শিল্পপতি বোলান্ট ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকান্ত বোল্লার নামধাম বা কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না।
মঞ্চে শ্রীকান্ত বলেছিলেন, যেদিন তিনি সকল সাধারণ প্রতিযোগীর সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচারে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হবেন, সেদিন তিনি পুরস্কার নেবেন। এই অসাধারণ দৃশ্যে শ্রীকান্ত বোল্লা সেই অনুষ্ঠানের দর্শক এবং এই গোটা সমাজকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও শারীরিক অক্ষমতাকে দয়া দেখাবেন না। একজন দৃষ্টিহীন মানুষকে ট্রাফিক সিগন্যাল পার করে দেওয়াটাই যথেষ্ট সহানুভূতির কাজ নয়। পারলে তার পাশে দাঁড়ান। ব্যক্তি জীবনে ছোটবেলা থেকে দেশের এক সার্থক শিল্পপতি হয়ে ওঠার পথে শ্রীকান্তর সঙ্গে ছিলেন তাঁর শিক্ষিকা দেবিকা, তাঁর বিজনেস পার্টনার ইনভেস্টার বন্ধু রবি মন্থ বা প্রেমিকা এবং পরে স্ত্রী বীর স্বাতী।
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৩: টলস্টয় ও সোফিয়া—সে কি কেবলই যাতনাময়…/৩
মুভি রিভিউ: মির্জাপুর সিজন ৩: সেই চমকে আর ধার নেই
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৫: সঙ্গীত অনুরাগিণী মা সারদা
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বন লেবু ও টাগরি বানি
গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার পর শ্রীকে হায়দরাবাদের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই শিক্ষিকা দেবিকার সাহচর্য মিলে। তারপর শুরু হয় আশ্চর্য মেধাবী শ্রীকান্তের লড়াই আর শিক্ষিকা দেবিকার সহৃদয় সহায়তা।
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৬: স্রোতস্বিনী পদ্মায় লাফিয়ে কবির কটকি চটি-উদ্ধার
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বন লেবু ও টাগরি বানি
দৃষ্টিহীন জেনেও ডাক্তারির ছাত্র স্বাতীর অনুরাগ বা পরবর্তী জীবনের ব্যবসার প্রাথমিক ইনভেস্টার হিসেবে প্রভু মন্থ-এর নিঃশর্ত সহায়তা সবটাই দুরন্ত নাটকীয়। আর সেই নিখুঁত চিত্রকাহিনিকে মননে উপলব্ধি করার জন্য ছবিটি দেখতে হবে।
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-২: অসীম রোদন জগৎ প্লাবিয়া দুলিছে যেন?
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৯: ফেরেন্তস পুসকাস: দুটি দেশের হয়েই বিশ্বকাপ খেলেছেন
চলচ্চিত্র সান্ধ্ কী আঁখ বা জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ স্ক্যাম ২০০৩-এর নির্দেশক তুষার হীরানন্দানি’র কেরিয়ারে শ্রীকান্ত একটি মাইলস্টোন ছবি হয়ে থাকবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তুষার তাঁর কুড়ি বছরের ফিল্মি কেরিয়ারের ২৮টি ছবির মধ্যে ২৬টির একক বা যৌথ রচয়িতা আর মাত্র দুটি ছবির নির্দেশক। আশ্চর্যভাবে যে ছবি দুটিতে তিনি নির্দেশক সেই দুটি কিন্তু তুষারের নিজের লেখা নয়।
কিছু কিছু ছবি আমাদের জীবনের স্বাভাবিক দৈনন্দিন হতাশার সরিয়ে আবার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়, শ্রীকান্ত ঠিক তেমনি একটি ছবি।