শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

 

মিত্রভেদ

সেই কথায় আছে না? চোরের মায়ের বড় গলা! পাপবুদ্ধির অবস্থাটা তাই। নিজে সবটাকা পয়সা সরিয়েছে; উল্টে ধর্মবুদ্ধিকে সে রাজার কাছে নালিশ জানানোর ভয় দেখাচ্ছে। ধর্মবুদ্ধি রেগে গিয়ে বলল, ওরে দুরাত্মা! ভুলে যাস না যে আমি ধর্মবুদ্ধি! কোনও রকম উঁচুনিচু কাজ আমি করি না। আমি ধর্ম মতে চলি, শাস্ত্রবচনকে উপেক্ষা করি না। শাস্ত্রে বলে—

মাতৃবৎপরদারাণি পরদ্রব্যাণি লোষ্ট্রবৎ।
আত্মবত্সর্বভূতানি বীক্ষন্তে ধর্মবুদ্ধযঃ।। (মিত্রভেদ ৪৩৫)


যাঁরা ধর্মবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তাঁরা অন্যের স্ত্রীকে মায়ের মতো দেখেন। কোনও রকম কুমানসিকতা তাঁদের মনে থাকে না। মায়ের প্রতি যে শ্রদ্ধা ও ভক্তি সন্তানের থাকে ধর্মবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ সেই মন নিয়েই পরস্ত্রীকে দেখেন। তেমনই অন্যের দ্রব্য বা সম্পদকে তাঁরা মাটির ঢেলার ন্যায় তুচ্ছ দ্রব্য মনে করেন। পরদ্রব্য হরণ করার মতো মানসিকতা তাঁদের মধ্যে থাকে না। ঠিক তেমনই সমস্ত প্রাণীবর্গকে আপন অনুভূতি দিয়ে দেখে। সকল ভূতবর্গের ব্যথা-বেদনাকে তাঁর নিজের ব্যথা-বেদনা মনে করেন। জ্ঞানতঃ কাউকে তাঁরা কোনও হানি পৌঁছন না। আমি সেই রকমই একজন ধর্মবুদ্ধি —পরদ্রব্য হরণে আমার কোনও আকর্ষণই নেই।

এ ভাবে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হল। দু’জনেই তখন এসে উপস্থিত হল ধর্মাধিকারীর কাছে। ধর্মাধিকারী হলেন আজকের দিনে যাকে আমরা বিচারপতি বলি তিনি। তিনি কিন্তু রাজা নন। বলা যেতে পারে নিকটস্থ কোর্ট। সেই ধর্মাধিকারীর দপ্তর ছিল ধর্মাধিকরণ। ধর্মাধিকরণে কোনও মামলার যথাযথ বিচার না হলে রাজদরবারে আবেদন করা যেতো। তখন সেই মামলা রাজা দেখতেন। সাধারণত যে কোনও মামলা নিয়ে সরাসরি রাজার কাছে যাওয়া যেত না। যাইহোক, দু’জনে একে অপরকে দোষ দিতে দিতে ধর্মাধিকরণে গিয়ে যখন ধর্মাধিকারীকে সবটা বলল তখন ধর্মাধিকরণে অধিষ্ঠিত পুরুষেরা তাঁদের দু’জনকেই দিব্য প্রমাণ দিতে বলল।
এই দিব্যপ্রমাণ নিয়ে এখানে দু-চার কথা বলা প্রয়োজন। সংস্কৃত সাহিত্যে ধর্মশাস্ত্র বলে যে বিশাল একশ্রেণীর সাহিত্য দেখা যায় সেখানে বহু বিষয়ের সঙ্গে আইন-আদালত নিয়েও আলোচনা দেখা যায়। সেখানে পদ্ধতিগত আইন নিয়েও (বা Procedural Law) বহু আলোচনা করা হয়েছে। সম্ভবত সেই পদ্ধতি মেনেই প্রাচীনকালে ভারতে মামলার নিষ্পত্তি করা হত। যিনি অভিযোগ করেন তাকে বলা হয় বাদী আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তিনি বলা হয় প্রতিবাদী। বাদী-প্রতিবাদীর বাদ-প্রতিবাদ বিচার করে তার সত্যাসত্য পরীক্ষার জন্য দু’রকম প্রমাণের ব্যবস্থা ছিল সে আমলে একটি ছিল মানুষ প্রমাণ আর অপরটি ছিল দৈব প্রমাণ। মানুষ প্রমাণ ছিল তিন রকমের— [১] সাক্ষী (বা Witness), [২] লেখ্য (বা Written Evidence), আর [৩] ভুক্তি (বা Possession)। এই তিন প্রকারের প্রমাণ যদি পাওয়া না যায় তখন দৈব্য (বা divine testimony)-এর উপর নির্ভর করতেন বিচারকরা।

ধর্মবুদ্ধি আর পাপবুদ্ধি পরস্পর পরস্পর দোষারোপ করছে। কিন্তু কোনও কে আসলে চুরি করেছে সে সংক্রান্ত কোনও সাক্ষী নেই। ফলে বাধ্য হয়েই ধর্মাধিকরণে যুক্ত পুরুষেরা দৈব বা দিব্যপ্রমাণের ব্যবস্থা দিলেন। পাঠকদের মনে করতে বলবো যে, দিব্যপ্রমাণের কথা আপনাদের একেবারে অজানা নয়। রামায়ণে লঙ্কা থেকে ফিরে আসার পরে যখন সীতার চারিত্রিক বিশুদ্ধতা সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল তখন সাক্ষীর অভাবে তাঁকে অগ্নিতে প্রবেশ করে দিব্যপ্রমাণই দিতে হয়েছিল। অগ্নিদেব স্বয়ং তাঁকে ফিরিয়ে প্রমাণ করেছিলেন সীতাদেবী নিষ্কলঙ্কা। এ সব তো না হয় গল্প কথা। কিন্তু দিব্যপ্রমাণ জিনিষটি সত্যিই ভয়ানক।
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৯: হাতের কাছে টাকা-পয়সা দেখলে মুনি-ঋষিদের মনও চঞ্চল হয়

এই দেশ এই মাটি, পর্ব-১৯: বিজেপি’র উত্থান, বামফ্রন্টের পতন

বাস্তবে কোনও মানুষ দোষী যদি নাও বা হন, তবুও তাকে যদি দিব্যপ্রমাণ হিসেবে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয় তাহলেও সে দগ্ধ হবে, একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজাটা হল দিব্যপ্রমাণ যেহেতু বাদী-প্রতিবাদী দু’জনকেই দিতে হয় ফলে যে প্রকৃত অপরাধী সে স্বাভাবিকভাবে ভয় পায় এমন প্রতিবাদীও দিব্যপ্রমাণে ভয় পায়। ফলে অধিকাংশ সময়েই দোষী দোষ স্বীকার করে নেয় কিংবা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বাদী-প্রতিবাদী উভয়েই মামলার নিষ্পত্তি ঘটিয়ে নেয়। কারণ রামায়ণে কাহিনিতে নিষ্কলঙ্কা সীতাদেবীকে অগ্নিদেব স্বয়ং ফিরিয়ে দিলেও বাস্তব জগতে কিন্তু অগ্নিদেবের দেখা পাওয়া যায় না। অগ্নির লেহিহান জিহ্বার সামনে সকলঙ্কা-নিষ্কলঙ্কা সকলেই সমান। ফলে দিব্যপ্রমাণ ছিল এমনই যেখানে সত্যিই ভগবানই ভরসা। আর ভগবানের উপর আদৌ ভরসা করা যায় কি যায় না সেটা আজকের মতো সেকালের মানুষরাও দিব্যিই জানতেন। গল্পের পরবর্তী অংশ আপনাকে ব্যাপারটা স্পষ্ট করে দেবে।

দিব্যপ্রমাণের কথা শুনে পাপবুদ্ধি কিছুটা আপত্তি করে তারপর বলল—এই বিচারটা কিন্তু যথার্থ হল না “ন সম্যক্‌দৃষ্টোঽযং ন্যাযঃ”। রাজনীতিজ্ঞরা বলেন, কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ শুরু হলে প্রথমে কোনও সাক্ষী পাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে খোঁজ করা উচিত; না পেলে তখন উচিত লেখপত্র কিছু আছে কিনা সে-সবের খোঁজ নেওয়া। যখনও কোনও প্রকার প্রমাণই পাওয়া যায় না তখনই দিব্যপ্রমাণের উপর ভরসা করা উচিত।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৪: লোকশিক্ষক মা সারদা

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩০: নলিনী দাশ— গণ্ডালুর সৃজনশিল্পী

পাপবুদ্ধি প্রস্তাব দিল, আমরা যে বৃক্ষের নিচে গর্ত করে সমস্ত সম্পদ পুঁতে রেখেছিলাম সেই বৃক্ষদেবতাই আমাদের হয়ে সাক্ষী দেবেন। সেই নিশ্চিত করবে আমাদের মধ্যে কে প্রকৃত সাধু আর কে চোর।

ধর্মাধিকারের মানুষেরা বলল, বেশ তাই হোক। “যুক্তমুক্তং ভবতা”, আপনি যুক্তিযুক্তই বলেছেন। কারণ ন্যায়শাস্ত্রে আছে—
অন্ত্যজোঽপি যদা সাক্ষী বিবাদে সম্প্রজাযতে।
ন তত্র বিদ্যতে দিব্যং কিং পুনর্যত্র দেবতা।। (ঐ, ৪৩৭)


অর্থাৎ, যদি কোনও বিবাদের ক্ষেত্রে অন্ত্যজ শ্রেণির কোনও লোককেও সাক্ষী হিসেবে পাওয়া যায় তাহলেও দিব্যপ্রমাণের প্রয়োজনীয়তা নেই। আর এখানে যখন স্বয়ং বৃক্ষরূপী দেবতাই সাক্ষী দেবেন তখন তো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কোনো প্রশ্নই আসে না।

ধর্মাধিকরণের লোকেরা বলল, “তদস্মাকমপ্যত্র বিষযে মহৎকৌতূহলং বর্ততে”, আমাদের সকলেরও ব্যাপারটাতে এবার বেশ কৌতূকল লাগছে। আগামীকাল সকাল-সকাল তোমাদের দু’জনের সঙ্গে আমরাও সেই বনে গিয়ে ব্যাপারটা দেখবো।

ধর্মাধিকরণে নিযুক্ত পুরুষদের কৌতূহল থাকাটা অস্বাভাবিক নয়, বৃক্ষ-দেবতা স্বয়ং সাক্ষী দেবেন একথা আজকের দিনেও যদি কেউ বলেন তাহলে তো লোকজনের মেলা বসে যাবে। টিভি-মিডিয়াও এসে যাবে। আপনিও দেখবেন ঘরে বসে বসে সাংবাদিকদের সরাসরি সম্প্রচারণ দেখতে বসে গিয়েছেন। ফলে আজ থেকে দু’হাজার বছর আগে এই ঘটনাটার প্রভাব যে ধর্মাধিকরণে নিযুক্ত মানুষজনের উপর কেমন পড়েছিল নিশ্চয়ই আন্দজ করতেই পারছেন। সম্ভবত গোটা ধর্মাধিকরণই মজা দেখতে সেই জঙ্গলে যাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়েছিল।

বৃক্ষদেবতাকে সাক্ষী হিসেবে প্রস্তাব দেওয়ার সময়েই পাপবুদ্ধির মাথায় যে কোনও একটা দুষ্টবুদ্ধি খেলেছিল সেটা হয়তো আমাদের মতন ধর্মাধিকারের লোকেরাও কিছুটা আন্দাজ করেছিল। তাই হয়তো তাদের এতো উত্সাহ ছিল মজা দেখবার।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৬: স্রোতস্বিনী পদ্মায় লাফিয়ে কবির কটকি চটি-উদ্ধার

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৬: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসাসা— নুনিয়া ও সিঙ্গরা

পাপবুদ্ধি এর মধ্যে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়ে তার বাবাকে গিয়ে বলল, হে তাত! আমি ধর্মবুদ্ধির অনেক অর্থ চুরি করেছি। শুধু তোমার কথায় ওর সবটা ধনসম্পদ চিরকালের মতো আমার হয়ে যেতে পারে। তুমি যদি সহায় না হও তাহলে আমি হয়তো আর প্রাণে বাঁচবো না।

পুত্র যদি এসে তার পিতাকে বলে প্রাণে বাঁচবো না তাহলে স্বাভাবিকভাবেই পিতা বিচলিত হবেন। অধিকাংশ পিতাই পুত্রস্নেহে ধৃতরাষ্ট্রের মতন অন্ধ হন, তাদের ভালোমন্দ অধিকাংশ সময়েই তারা দেখতে পান না। ফলে পুত্রের কারণে দুর্দশা তাদেরকেও ভোগ করতে হয়।

পুত্রের মুখে তাঁর প্রাণহানির সম্ভাবনার কথা শুনে পাপবুদ্ধির পিতা বিচলিত হয়ে বললে, “বত্স! দ্রুতং বদ, যেন প্রোচ্য তদ্দ্রব্যং স্থিরতাং নযামি?”—ওরে বাছা! চট্‌ করে আমাকে বলে দে যে কি বললে ধর্মবুদ্ধির সব ধনসম্পত্তি চিরতরে তোর কাছে থেকে যাবে; আমি তাই করবো।

পাপবুদ্ধি বললে, হে তাত! বনের মধ্যে এক বিশাল শমীবৃক্ষ আছে। তার মাঝে এক বিশাল কোটর আছে, মানুষ ঢুকে যেতে পারে। তুমি তার মধ্যে লুকিয়ে থাকো। তারপর সকালে যখন শমীবৃক্ষের কাছে আমরা সকলে গিয়ে সত্য জানতে চাইবো তখন তুমি ভিতর থেকে বলবে “ধর্মবুদ্ধিশ্চৌরঃ”, সকলে ভাববে বৃক্ষদেবতা সাক্ষী দিলেন।

পাঠক নিশ্চয় আশ্চর্য হচ্ছেন যে আজ থেকে দু’হাজার বছর আগেও লোকে কেমন দেবতার দোহাই দিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধি করার চেষ্টা করতো!
আরও পড়ুন:

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১: ভাঙনের জয়গান গাও

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-২: যতই দেখি তারে, ততই দহি…

যাইহোক, পরদিন সকালে পাপবুদ্ধি স্নান করে ধোয়া নতুন শুভ্র কাপড় পরে ধর্মবুদ্ধিকে সঙ্গে নিয়ে সেই শমীবৃক্ষের কাছে এসে উপস্থিত হল। ধর্মাধিকরণের লোকেরাও সকলে উপস্থিত। পাপবুদ্ধি তখন সেই শমীবৃক্ষের কাছে গিয়ে তারস্বরে বল? ভগবান আদিত্য, চন্দ্রমা, বায়ু, অগ্নি, আকাশ, জল, হৃদয়, যম, দিন-রাত্রি, দুই সন্ধ্যা এবং ধর্ম মানুষের চরিত্র সবটা জানেন, তাঁরা সকলেই সাক্ষীদেবতা। হে ভগবতি বনদেবতা! আমাদের দু’জনের মধ্যে কে চোর আপনিই বলুন।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাপবুদ্ধির পিতা আগে থেকেই সেই শমীবৃক্ষের কোটরের মধ্যে বসে ছিলো। পাপবুদ্ধির আর্তি শুনে সেই শমীবৃক্ষের ভিতর থেকে সে বলল, “ভো শৃণতু শৃণতু। ধর্মবুদ্ধিনা অপহৃতমেতদ্ধনম্‌।” সকলে শুনুন। ধর্মবুদ্ধিই এই ধন অপহরণ করেছে।

শমীবৃক্ষের ভিতর থেকে বৃক্ষদেবতার কথা শুনে ধর্মাধিকরণের সকলে এবং রাজপুরুষেরা সবাই খুবই হতচকিত হয়ে গেলো। ধর্মবুদ্ধি হয়তো ব্যাপারটা আগে থেকেই কিছুটা আন্দাজ করেছিল। সকল ধনসম্পদ চুরি করার জন্য ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী ধর্মবুদ্ধির কি কি শাস্তি হতে পারে সে সব নিয়ে যখন তারা সবে আলোচনা শুরু করেছে ঠিক সেই সময়েই ধর্মবুদ্ধি সেই শমীবৃক্ষের আশেপাশে পড়ে থাকা কিছু শুকনো কাঠ-কুটো আর ঘাস-পাতা জোগাড় করে শমীবৃক্ষের গোড়ায় আগুন জ্বালিয়ে দিল।

স্বাভাবিকভাবেই সেই আগুন কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই বৃক্ষের কোটরে পৌঁছল। ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় সেই কোটর যখন ভরে উঠলো তখন পাপবুদ্ধির পিতা আর সহ্য করতে না পেরে কাশতে কাশতে করুণস্বরে বিলাপ করতে করতে অর্ধসিদ্ধ হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলো। রাজপুরুষেরা আশ্চর্য হয়ে যখন তাকে জিজ্ঞেস করলো সে তখন কোনো রকমে বলল, এই সব কুকর্মের কারণ একমাত্র পাপবুদ্ধি। এইটুকু কোনও ক্রমে বলে পাপবুদ্ধির পিতা সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল।—চলবে।
* পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি (Panchatantra politics diplomacy): ড. অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় (Anindya Bandyopadhyay) সংস্কৃতের অধ্যাপক, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।

Skip to content