ছবি: প্রতীকী।
প্যাকেটবন্দি খাবারে আরও পরিষ্কার করে লিখতে হবে তাতে কতটা পরিমাণ চিনি, নুন এবং ফ্যাট ব্যবহার করা হয়েছে। এ বার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফএসএসএআই। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে সম্প্রতি সায় দিল ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বা এফএসএসএআই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন এফএসএসএআই জানিয়েছে, সব ধরণের প্যাকেটবন্দি খাবারের ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারক সংস্থাকে তার পুষ্টিগুণ বড় এবং মোটা হরফে প্যাকেটে উল্লেখ করতে হবে। গ্রাহকেরা যাতে খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আরও বেশি করে সচেতন হন, তাই এফএসএসএআই-এর কাছে এই প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। শেষমেশ ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বা এফএসএসএআই সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন।
গ্রাহকেরা সাধারণত কোন খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কত বা ওই খাবারে চিনি কতটা রয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা না জেনে কিনে ফেলেন। মুশকিল হল খাবারের প্যাকেটে নাম, দাম এবং ছাড়ের কথা যতটা পরিষ্কার করে লেখা থাকে, ততটা তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তথ্যগুলি সে ভাবে উল্লেখ থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেটে সেই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছোট করে লেখা হয়। তাই সেই সব তথ্য সহজে গ্রাহকদের চোখে পড়ে না। ফলস্বরূপ সাধারণ মানুষের মধ্যে অসংক্রামক বিভিন্ন অসুখের পরিমাণও ক্রমশ বাড়ছে। তাই গ্রাহকরা যাতে প্যাকেটবন্দি খাবার কেনার সময়ে ভাল করে তার পুষ্টিগুণ বিবেচনা করতে পারেন এবং সেই খাবার নিয়ে যাতে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে (এফএসএসএআই)।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৫: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— আমুর ও গোশিঙা
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭০: পিতার সমালোচক রাম শুধুই মানুষ, তবু তিনি কেন পুরুষোত্তম?
ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (এফএসএসএআই)-এর চেয়ারপার্সন অপূর্ব চন্দ্রের সভাপতিত্বে খাদ্য কর্তৃপক্ষের ৪৪তম বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, বাণিজ্য ও উপভোক্তা মন্ত্রক, খাদ্য মন্ত্রক, আইন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্যাকেটবন্দি খাবারের প্যাকেটে চিনি, নুন, ফ্যাট, সোডিয়াম ইত্যাদির মাত্রা আগের আরও মোটা, বড় এবং স্পষ্ট হরফে উল্লেখ করতে হবে। যাতে প্যাকেটবন্দি খাবার কেনার সময়ে সহজে গ্রাহকদের চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৩: মহীয়সী গৃহস্থনারী মা সারদা
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৪: জোড়াসাঁকোয় পাগল-যাচাই
এফএসএসএআই দীর্ঘদিন ধরে খাবারের প্যাকেটে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাপানোর বিরোধিতা করে আসছে। সম্প্রতি নির্দিষ্ট পানীয়কে ‘পুষ্টিকর পানীয়’ (হেল্থ ড্রিংক)-এর তকমা দেওয়ায় এক জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এফএসএসএআই। ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ যে কোনও ফলের রসের বিজ্ঞাপন থেকে ‘১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ’ তকমাও সরিয়ে দিতে বলেছে। কারণ, এফএসএসএআ তাদের সিদ্ধান্তে জানায়, শুধু ফল ছাড়াও অনেক রকম জিনিস দিয়ে ফলের রস তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন:
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-২: যতই দেখি তারে, ততই দহি…
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭৩: জোর কা ঝটকা
অবশেষে খাবারের প্যাকেটে তার পুষ্টিগুণের উল্লেখ নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হল এফএসএসএআই-এর ৪৪তম বৈঠক হয়।। এফএসএসএআই-এর এই সিদ্ধান্তটিকে প্রস্তাব আকারে গণমাধ্যমে প্রথমে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষও তাদের পরামর্শ এবং অভিযোগ জানাতে পারবেন। সব শেষে
এই প্রস্তাব এটি নির্দেশ হিসাবে কার্যকর করা হবে।
এই প্রস্তাব এটি নির্দেশ হিসাবে কার্যকর করা হবে।