রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই যে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে এমন পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বেলা বাড়তেই বৃষ্টি শুরু হল। আপাতত কলকাতার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যদিও কলকাতার সর্বত্র এক সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সময় বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

এদিকে হাওয়া দফতর এ-ও জানিয়েছে রাজ্যের হুগলি, বাঁকুড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই তিন জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। আবহাওয়া দফতর হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সময় মানুষকে নিরাপদ জায়গায় থাকার কথা বলা হয়েছে।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রতি দিনই তাপপ্রবাহের দাপটে জেরবার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। কলকাতার তাপমাত্রার পারদও ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে সেই পরিস্থিতি বদলেছে। সোমবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দু’দিন ধরে ঝড়বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। এই মুহূর্তে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও নীচে। হাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ পারদ ছিল ৩০.৪ ডিগ্রি, অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। আট দিন আগে কলকাতা ছিল ছলতি মরসুমের সবচেয়ে উষ্ণ দিন। তাপমাত্রা চড়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরও পড়ুন:

‘এত বড় তারকা হয়েও একটুও বদলাননি’, রজনীকান্ত সাক্ষাতে মুগ্ধ অমিতাভ

গরমে সব্জি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সব্জি ভালো রাখার উপায়

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুরো সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টিপাত চলবে। আপাতত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ হবে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাসও রয়েছে। তবে আগামীকাল শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর শুক্রবার কালবৈশাখীর পূর্বাভাসও জানিয়েছে। শুক্রবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলাতে বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। সেই সব জেলায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৭: কবির জন্মদিনে প্রিয়জনের উপহার

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কি না বুঝবেন কী করে? চোখ, পা, ত্বকের এই সব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মূলত ঘূর্ণাবর্তের জন্য। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। ঘূর্ণাবর্তটি এখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ০.৯ কিলোমিটার উপরে রয়েছে। আবার একটি অক্ষরেখা উত্তর-পূর্ব রাজস্থান থেকে দক্ষিণ অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই দুয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছে। আর এতেই রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Skip to content