রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী।

স্থূলতার হাত ধরে আমাদের দেহে একাধিক অসুস্থতা নিঃশব্দে হানা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা তার টেরও পাই না। আর যখন বোঝা যায়, তখন অনেকটা বেড়ে যায়। এমন অসুস্থতার মধ্যে অন্যতম হল ফ্যাটি লিভার।

খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপক অনিয়মের জন্য তো বটেই, পাশাপাশি মদ্যপানের অভ্যাস থাকলেও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। সময়ে চিকিৎসা না শুরু করলে ‘সিরোসিস অব লিভার’-ও হতে পারে। অনেকেই হয়তো জানেন না— থাইরয়েড, ডায়াবিটিসের মতো হরমোনজনিত রোগেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে। তাই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
ফ্যাটি লিভারের প্রভাব পায়ে সরাসরি না ফেললেও এর উপসর্গ কিন্তু ধরা পড়ে পায়েও। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস বা সিরোসিসের পর্যায় পৌঁছে গেলে, তা আমাদের রক্তসংবহনতন্ত্রকে ভীষণ ভাবে প্রভাবিত করে। তাই দেহে রক্ত সংবহন ব্যহত হয়। স্বাভাবিক ভাবে বাদ পড়ে না পা-ও। অনেক সময়েই লিভার সিরোসিসে ভুগলে পায়ে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় চিকিৎসকরা একে অয়ডিমা বলেন। পাশাপাশি লিভার সিরোসিসের হলে পেটের মধ্যে তরল জমতে শুরু করে, যাকে বলা হয় অ্যাসাইটস।

ফ্যাটি লিভার কিন্তু রোগ কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজিজের আশঙ্কাও অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। হৃদ্ট‌যন্ত্রের সমস্যায় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়ে, তাই পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ-ও হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেহেতু এই রোগে ভুগলে দেহের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে পায়েও রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয় না, তাই অনেক সময় পায়ে তীব্র যন্ত্রণা হয়। পেশিতে টান পড়ে। হাঁটতে গিয়ে পায়ে জোর না পাওয়া যায় না। এমন অনেক সমস্যা শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন:

রাতভর পার্টি, শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে দেখে কী করলেন ব্রাজিলের এই সুন্দরী?

মুভি রিভিউ: মার্ডার মুবারক—অধিক প্রতিভার ভিড়েই কি নষ্ট হইল গাজন?

 

কী কী উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হবেন?

 

অল্পতেই ক্লান্তি

অল্প পরিশ্রমেই কি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? দীর্ঘদিন এমন হলে শারীরিক দুর্বলতা বলে এড়িয়ে যাবে না। কারণ সমস্যা ধীরে ধীরে বড় আকার নিতে পারে।
 

কোলেস্টেরল

কখনও কখনও শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে, তার হাত ধরে দেহে ফ্যাটি লিভার হানা দিতে পারে। তাই খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা বেশি থাকলে ফ্যাটি লিভার হয়েছে কি না পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।
 

ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া

ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ হতে পারে, কোনও কারণ ছাড়া ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া।

আরও পড়ুন:

নুন-চিনির শরবত কি সত্যিই শরীরে জলের অভাব পূরণ করে?

জিম ও ডায়েট না করেও রোগা হওয়া যায়, তবে সকালের এই ৩ অভ্যাস ছাড়তে হবে

 

প্রস্রাবের রং হলুদ

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগলে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যেতে পারে। আসলে ফ্যাটি লিভারের জন্য দেহ থেকে ঠিক মতো টক্সিন বেরোতে পারে না। তাই প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন এমন হলে ফ্যাটি লিভার নিয়ে সচেতন হতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরেও টানা প্রস্রাবের রং হলুদ হলে এবং দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে সচেতন হন।
 

ওজন বৃদ্ধি

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের অন্যতম একটি লক্ষণ হল ওজন বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে শারীরকেও বেশ দুর্বল করে দেয়। তাই এরকম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
 

খিদে বেড়ে যাওয়া

এই সমস্যায় ভুগলে আচমকা খিদে বেড়ে যায়। পাশাপাশি মিষ্টি এবং ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়। হঠাৎ করে এমনটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।


Skip to content