ছবি: প্রতীকী।
রবিবার কালবৈশাখীর পূর্বাভাস কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলায়। এর জন্য হাওয়া দফতর কমলা সতর্কতা জারি করেছে। এ নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টি বইতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইতে পারে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। বজ্রপাতও হতে পারে জানানো হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ একাধিক জেলায়। কলকাতায় ঝির ঝি করে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকেলের দিকে বৃষ্টি এবং ঝড়ের দাপট বাড়তে পারে বলে হাওয়া দফতর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৯৮: মাছচাষে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা প্রয়োজন
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫৭: সাধারণের প্রতি পাণ্ডবদের কৃতজ্ঞতার প্রকাশ কোন মহাভারতীয় শিক্ষা?
আলিপু আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আজকের মতো সোমবারও বাংলার সব জেলায় বৃষ্টি হবে। এখনও পর্যন্ত হাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টি হতে পারে। অন্য জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনোই থাকবে। বৃষ্টির কারণে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার কিছুটা বদলও হবে। ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে আগামী দু’দিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। তার পর থেকে ফের পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে।
আরও পড়ুন:
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৮: মোহিতকুমারী এক মহিলা আত্মজীবনীকার
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪০: মা সারদার নিজবাটি
ইতিমধ্যেই গরমের জেরে দক্ষিণবঙ্গে হাঁসফাঁস অবস্থা। এখনও বৈশাখ মাস পড়েনি। তার আগেই একাধিক জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। অবশেষে রবিবার কিছুটা স্বস্তি মিলল। তবে স্বস্তির বৃষ্টি রাজ্যের কোনও কোনও অংশে দুর্যোগ বয়ে এনেছে। দুর্যোগের কারণে দুই জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন বাজ পড়ে। অন্যদিকে হুগলিতে ঝড়ে এক জনের গায়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে।