সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

আমাদের প্রত্যেকের কর্মজীবনের টানা ২০-৩০ বছর একই রকম রুটিনে থাকার পর হঠাৎ অবসর নেবার পর শরীর এবং মনের উপর অত্যন্ত চাপ পড়ে। অনেকেই সেই চাপ সামলে উঠতে পারেন না। এর ফলে দিনে দিনে শরীর খারাপ হতে শুরু করে দেয়। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে থাকলে চিকিৎসক এবং ওষুধ ছাড়া বেঁচে থাকার কোনও উপায় থাকে না।
মনোবিদেরা বলছেন, অবসর জীবনের কাছাকাছি পৌঁছনোর আগে থেকেই যদি প্রতি দিনের রুটিনে একটু একটু করে কিছু কাজ আমরা যোগ করতে পারি, তা হলে জীবনের গতি অনেকটা সাবলীল হয়। এর ফলে হঠাৎ অবসর শরীর এবং মনের উপর তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। কী কী কাজ করা যেতে পারে?
 

বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা

অনেক মনোবিদ পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সারা দিনে অন্তত মিনিট দশেক এমন কোনও এক জনের সঙ্গে কথা বলা উচিত যার সঙ্গে সহজে দেখা হয় না।

আরও পড়ুন:

পাকা বেদানা চেনতে জহুরি হওয়ার দরকার নেই, এই সব টিপস জানলেই হল

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৪: উদয়পুর অভিযানে মগ সৈন্যরা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের চূড়া ভেঙে দিয়েছিল

 

শরীরচর্চা

রোজ অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করলেই অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাস ছয়েক টানা শরীরচর্চা করলে ক্যানসারের মতো মারণরোগও ঠেকিয়ে রাখা সম্ভবপর হয়।
 

বাদাম খাওয়া

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন এক মুঠো করে বাদাম খেলে অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন-ই, কে, ম্যাগনেশিয়াম, কপারের মতো বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান। এগুলি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাওয়া রোগগুলিকে বশে রাখতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৯: ইন্দুমতী ও সুরবালা

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩১: আমার মতে, তোর মতো কেউ নেই

 

গাছে জল দেওয়া

অনেকে বলেন, দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসরের পর বাগানচর্চা করে সময় কাটাবেন। মনোবিদেরা বলছেন, মন ভালো রাখতে এখন গাছপালার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য উপায় বলে দেওয়া হয়। দেখা গিয়েছে এই অভ্যাস ভীষণ ভাবে উপকারী।
 

শোয়ার আগে বই পড়া

ফোনের স্ক্রিন চোখ থেকে সরিয়ে প্রতি দিন অন্তত একটি পাতা করে বই পড়ার চেষ্টা কর উচিত। বয়স বাড়লে মানুষের ধৈর্য কমে আসে। এমনকি, মনোযোগের অভাবও হয়। স্মৃতিশক্তি ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে একমাত্র বই পড়ার অভ্যাস।


Skip to content