রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

কয়েক মাস ধরে আপনি হয়তো জিমে যাচ্ছেন, কিন্তু জিমে গিয়ে কসরত করা সত্ত্বেও আপনার ওজন প্রায় একই থেকে যাচ্ছে। তাই আপনি জিমে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ ওজন কমাতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পরমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন। তবে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ হল, এগুলি কোনওভাবেই আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে না। বরং এই হঠোকরি সিদ্ধান্তের ফলে শরীরের উপকারের বদলে অপকারীই বেশি হয়।
রোজদিন কিছু কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন না আনলে ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আসুন একঝলকে জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাসে বদল আনতে হবে।
 

প্রাতরাশ না করা

সকালের প্রাতরাশ করা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতরাশ যথাযথ পরিমাণে এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের পরিপূর্ণ হলে আপনার সারাদিনের পুষ্টির প্রায় অর্ধেক অংশই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়ে থাকে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, ওজন কমানোর প্রথম ধাপই হল সকালে ভারী জলখাবার খাওয়া।
 

মন ভালো খাওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ হল ‘স্ট্রেস ইটিং’। মন ভালো রাখতে যখন তখন যা খুশি খেয়ে ফেলার অভ্যাস চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন:

পরকীয়া ও প্রেম, সব দোষ হরমোনের

আগামী মাসেই গত ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস গ্রহণ, কবে, কত ক্ষণ চাঁদের আড়ালে থাকবে সূর্য?

 

শরীরচর্চা

ওজন কমানোর জন্য দীর্ঘস্থায়ী একটি অভ্যাস হল, নিয়মিত শরীরচর্চা। নিয়মিত শরীর চর্চা না করলে বিপাকহার কমতে থাকে। এই অভ্যাসের ফলে দেহের ওজন ক্রমশ বাড়তে থাকে। তাই আমরা যদি বাড়তি ওজন কমিয়ে শরীরকে ঝরঝরে রাখতে চাই, তাহলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা অত্যন্ত জরুরি।
 

খালি পেটে থাকা

আমাদের অনেকের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা থাকে যে দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকলেই ওজন কম হবে। কিন্তু খালি পেটে থাকলে বিপাকহার কমে যায়। তাই খালি পেটে না থেকে সময় মতো অল্প অল্প করে খেতে থাকুন।

আরও পড়ুন:

রাতে কি মুখ ধুয়েই ঘুমোতে যান? এই ৫ ভুল করলেই কিন্তু বারোটা বাজবে ত্বকের

‘তুমি খুব খারাপ অভিনয় করো’! মনীষাকে কেন বলেছিলেন বিধু বিনোদ চোপড়া?

 

ঘুম

আমাদের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রায় প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে হয় না। ফলে কম ঘুমোলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই সময়ে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।


Skip to content