হেলদি ডায়েট: সস্তার কচুশাক আসলে দামি, নিয়মিত খেলে এড়ানো সম্ভব অনেক রোগ

রক্তাল্পতা, ডায়াবিটিস, হৃদরোগ প্রভৃতি কঠিন কঠিন রোগ এড়ানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে অনেক পুষ্টি উপাদান বা খাবারের গুণাগুণ সম্বন্ধে আমরা আগে জেনেছি। তবে আজ আমরা এমন একটা খাবার সম্বন্ধে জানবো, যা অত্যন্ত সহজলভ্য অথচ দামও বেশি নয়। সেটি হল কচুশাক। বাঙালি কচুশাক দিয়ে বিভিন্ন রকম পদের রান্না করে থাকে।

অনেকে হয়তো জানে না, সহজলভ্য এই কচুশাক পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। চিংড়ি, ইলিশ বা মাছের মাথা—যাই দিয়েই হোক না কেন, কচুশাকের পদ আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। কচুর কাণ্ড এবং পাতা পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাছাড়াও এই শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ডিটারেরি ফাইবার, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।

 

অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য

● কচুশাক বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য খুবই উপকারী। কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি এবং সি, ক্যালশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। কচুশাক নিয়মিত খেলে শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর হয়। অন্তঃসত্ত্বারা যদি এই শাক খান, তাহলে তাঁদের শরীরে ভিটামিন এবং আয়রনের চাহিদা সহজে পূরণ হবে।
 

আন্টিঅক্সিডেন্ট

● কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

 

কোলন ক্যানসার

● গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত কচুশাক খেলে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। গবেষণা এও বলছে, এই শাক খেলে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
 

চোখ ভালো রাখতে

● কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে। এ কারণে এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও চোখ সম্পর্কিত নানা জটিলতা অনেকটাই এড়ানো যায়।

 

উচ্চরক্তচাপ

● কচুশাকে থাকা স্যাপোনিনস, টেনিনস, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্লাভোনয়েড উচ্চরক্তচাপের সমস্যা কমায়।
 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

● নিয়মিত কচুশাক খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি আছে, এ কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

 

ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়

● রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে কচুশাক। নিয়মিত এই শাকটি খেলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে। এটি হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
 

রক্তাল্পতা প্রতিরোধে

● যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত কচুশাক খেতে পারেন। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণ আয়রন রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

তবে কচুশাক খেলে অনেক সময় গলা চুলকায়। তবে রান্নার সময় সামান্য লেবুর রস দিলে আর চুলকানির ভয় থাকবে না।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২