শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


পদ্মার গলায় এমন স্বর সে কোনওদিন শোনেনি। কথা বলার সময় একবারও চোখের পলক ফেলেনি পদ্মা। তার জলে ভরা গভীর কালো চোখ দুটো দিয়ে তার ভিতরের উথালপাথাল যন্ত্রণাকে দেখা যাচ্ছিল। পদ্মার গলা কাঁপছিল গলার ভেতরে দলা-পাকানো কান্নায় ভিজে যাচ্ছে তার কথা। পুরুষোত্তমকে দোষারোপ করা দূরের কথা কোনদিন একটু উঁচু স্বরেও কথা বলেনি পদ্মা। এই প্রথম, আর বোধহয় এই শেষ।

পুরুষোত্তম শান্তভাবে পদ্মার কথা শুনল। তারপর খাওয়াদাওয়া করলো একটু বিশ্রাম করে বেরিয়ে গেল। ফিরলো রাতে। এতদিন যে সাংঘাতিক ছটফটানি মানসিক কুণ্ঠা নিয়ে পুরুষোত্তম দিন কাটাচ্ছিল তার লেশমাত্র নেই। এ যেন এক অন্য মানুষ। এঁকে পদ্মা চেনে না। সর্বক্ষণ কি যেন ভাবছে। যখন ফৌজে ছিল তখন ছুটিতে এলেও রোজ ভোরভোর দৌড়ত অন্তত মাইল দুয়েক! বাড়িতে ব্যায়াম করতো। সেসব সরঞ্জাম তারকেশ্বর থেকে ট্রাকে করে বার্নপুরে এসেছে কিন্তু সেগুলো এতদিন পর ছাদের সিঁড়ির নিচের থেকে বের করে নিয়মিত ব্যবহার শুরু হল। শুরু হল ভোরবেলা দৌড়তে যাওয়া আর অন্যমনস্কভাবে কাগজ পেনসিল নিয়ে আঁকিবুকি কাটা। পদ্মা বুঝতে পারল কিছু একটা ঘটছে।

কিন্তু ঠিক কী ঘটছে পদ্মা আঁচ করতে পারেনি। পুরুষোত্তম কিন্তু আর্মির নিখুঁত পেশাদারি দক্ষতায় দোষীদের নাড়ীনক্ষত্র খুঁজে বের করেছে। তাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের ধরণধারণের খোঁজ নিয়েছে। মিলিটারি পরিভাষায় যাকে রেইকি করা বলে। আভিধানিক বাংলায় যাকে গভীর অনুসন্ধান বলা যেতে পারে। ওরা মোট ছ’জন। তবে মূল পাণ্ডা দু’জন চারজন তাদের শাকরেদ। এরা কোলিয়ারি থেকে হপ্তা নেয়। সকালবেলা বাড়ি-জমি বিক্রির দালালি ইস্কোর কন্ট্রাক্ট্ররির নানান অসামাজিক কাজকর্মে ব্যস্ত থাকে- সন্ধ্যের মুখে সারাদিনের রোজগারের কমিশন নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে নিজেদের প্রাপ্য টাকাকড়ি নিয়ে তারা মস্তি করতো। শহরের বাইরে দামোদরের নদীর কাছাকাছি পরিত্যক্ত ভাঙ্গাচোরা একটা বাড়িতে হিন্দি গানের সঙ্গে সস্তায় আনানো মেয়েদের অশ্লীল নাচের আসর বসতো যা একসময় উদ্দাম পাশবিক যৌনাচারে পৌঁছোত যতক্ষণ না এই মহফিলের পাত্রপাত্রীরা মদ আর ড্রাগের নেশায় পুরোপুরি ডুবে প্রায় জ্ঞান হারাচ্ছে। এর খানিক দূরে
পুরুষোত্তম বারবার এসেছে এই পোড়োবাড়ির আশেপাশে। এক দু’দিন নয় টানা পনেরো দিন পুরুষোত্তম ওদের রেইকি করছে। সকালে ওরা যখন শহরে রোজকার কূকর্মে ব্যস্ত তখন এই ফাঁকা বাড়িটার পুঙ্খানুপুঙ্খ ঘুরে দেখেছে যাতে পজিশন নিতে অসুবিধ না হয়। বাড়িটায় কেউ থাকে না তাই তালাচাবির কোনও বালাই নেই। ছাদে যাবার সিঁড়ির পাশ দিয়ে ঢুকেই একতলায় হলঘর- সেখানে একটা দুটো খালি ওলটানো চায়ের বড় বাক্স-হাতলভাঙ্গা চেয়ার একটা। একটা আদ্দেক কাটা প্লাসটিকের ড্রামে রাজ্যের নোংরা- মাছি ভনভন করছে তেল শুকিয়ে দাগলাগা খাবার খালি প্যাকেট, নানা মাপের মদ সোডা কোকের বোতল। একপাশে ছোট্ট রান্নাঘর একটা ঢাউস প্লাস্টিকের বোতলে খানিকটা পড়ে থাকা জল ছাড়া কিছু নেই সে ঘরে। তার পাশেই একটা নোংরা পূতিগন্ধময় কলঘর। হলঘরের অন্যপাশে একটা ঘর তাতে একটা ফোল্ডীং খাট। কালো হয়ে যাওয়া প্লাস্টিকের ফিতে বোনা। বাড়ীর মেনসুইচ সিঁড়ির নিচে। বাড়ির মেনডোর মানে একটা ব্যাঁকাচোরা লোহার দরজা, সেটা টপকালেই বাঁহাতে।

রাতে সে চুপ করে অন্ধকারে বসে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করেছে ওদের কাজকর্ম। জেনেছে এদের কাছে কী কী অস্ত্র আছে? ক’টা করে আছে? খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করেছে এই ছ’জনের কাজকর্ম অভ্যেস। একজন বাঁ পাটা একটু টেনে হাঁটে সে বাঁহাতি। একজন বেঁটে মত। মাথা নজর দুটোই খুব চলে। কোঁকড়াচুল এ ছেলেটা নেশা প্রায় করে না। পান্ডাদের একজনের পেটানো শরীর। অন্যজন থপথপে চর্বির পাহাড়। কালো খসখসে চামড়া ছোটছোট চোখ মাথায় অল্প চুল গলায় মোটা সোনার চেন হাতে বালা আঙ্গুলে বোঝাই আংটি। তাদের সকলের আসা-যাওয়া চলাফেরা- বাঁ হাতি ছেলেটার বাইরে এসে একটা সময়ে এসে কুলকুচো করে মুখ ধোওয়া আর কোঁকড়া চুল বেঁটে ছেলেটার প্রতিরাতে একই সময়ে ঝোপের সামনে দাঁড়িয়ে থুতু ফেলতে ফেলতে বাথরুম করা সব ঘড়ি দেখে সময় মিলিয়ে কাগজে লিখে নিয়েছে পুরুষোত্তম।
আরও পড়ুন:

শারদীয়ার গল্প-১: পুরুষোত্তম/৩

শারদীয়ার গল্প-৩: আঁশ/১

বাড়ি ফেরার আগে সেই জায়গাটায় রোজ গেছে যেখানে তার মেয়েদের শরীর দুটো বেয়াব্রু করে ফেলে দিয়েছিলো এই কলিকালের কীচক-রা। পুরুষোত্তম ওদের অস্ত্র দিয়েই ওদের নিকেশ করবে- আর্মির ভাষায় যাকে “নিউট্রালাইজ” করা বলে।

প্রতিরাতে এইসময় নতুন করে আগুন জ্বলে ওঠে পুরুষোত্তমের মনে তার শরীরের প্রতিটি রক্তকণিকায়। সেই আগুন থেকেই ২২ বছরের ফৌজি জীবনের শেষের ছ’বছর ধরে মার্শাল আর্ট শেখা পুরুষোত্তম “নিনজুৎসু” প্র্যাকটিস করে। এই ঘন অন্ধকারে দামোদরের চরে একা একা। তখন তার দু’ চোখ জ্বলে। সঙ্গে থাকে মেয়েদের লজ্জায় কুঁকড়ে থাকা অপমান, পদ্মার আক্ষেপ আর স্নায়ুতে জড়িয়ে থাকা ফৌজি আত্মসম্মান।

এই সময়টা সন্ধ্যে থেকে প্রায় ঝড়বৃষ্টি চলতে থাকে। চলে মাঝরাত পর্যন্ত। এমনই একটা ঝড়জলের রাতকে বেছে নিলো পুরুষোত্তম। দমবন্ধ করে অন্ধকারের মধ্যে অপেক্ষা করতে লাগলো। তার দু’ হাতে দস্তানা কালো মাঙ্কি টুপিতে মুখ নাক ঢাকা। পুরুষোত্তম জানে সে আজ সফল হবেই একশ শতাংশ নিশ্চিত।

কিন্তু এটা প্ল্যান বি! যদি কোনওভাবে কেউ বেঁচে যায়!! তখন তাকে না নিকেশ করা পর্যন্ত তো ধরা পড়া চলবে না। আর নিজের চেহারাটা চেনা হয়ে গেলে বেঁচে যাওয়া গুন্ডাটা পুরুষোত্তম বা তার পরিবারের ওপর যাতে কোনওভাবেই প্রতিশোধ নিতে না পারে। তাই নিজের মুখ ঢেকে রেখেছে সে।
অনেকগুলো কাজ দ্রুত করতে হবে। ওরা ছ’জন। সঙ্গে দুটো মেয়ে। মেয়ে দুটোকে পালাবার সময় দিতে হবে কিন্তু কোনরকম ভাবে দূর্বল হওয়া চলবে না। তাহলে ওই মেয়ে দুটোকে হোস্টেজ করে ওরা পালাবে। একটা রিভলবারে চলবে না অন্তত দুটো রিভলবার চাই আর নেশা না করা চটপটে বেঁটেমতো কোঁকড়াচুল ছেলেটাকে প্রথমেই কাবু করতে হবে। এই গুন্ডারা সাধারণ নির্বিরোধী মানুষের অকারণ ভয় পাওয়াকে নিজেদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এদের না আছে শক্তি না আছে ফিটনেস। রাতের পর রাত নেশা আর উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে এরা নড়তে চড়তেও ভুলে গিয়েছে। কিন্তু এ যুদ্ধ বড় কঠিন। ভুল করার কোন সুযোগ নেই। ফৌজের লড়ায়ের মতো সঙ্গে “কভার” করার কেউ নেই। আর্মসের যোগান নেই।

ঊদ্দাম নাচ গান চলছে। সঙ্গে পাশবিক চিৎকার হাসি হল্লা হুল্লোড়। বাঁ পা টেনে টেনে চলা বাঁহাতি ছেলেটা বাইরে এল। এবার ও কুলকুচি করবে। খুব জোরে গান বাজছে। আর সময় নেই। চোখের পলকে পুরুষোত্তম পৌঁছে গিয়েছে ছেলেটার ঠিক পেছনে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৪: কোন সকালে মুক্তির অপেক্ষায় ‘ত্রিযামা’

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৯: সুন্দরবনের জঙ্গল-জননী বিশালাক্ষী

“নিনজুৎসু” যুযুৎসুরই রকমফের। আর্মিতে কিছু লোককে অস্ত্র ছাড়া গরিলা যুদ্ধের উপযোগী করে তুলতে এই ট্রেনিং দেওয়া হয়। পুরুষোত্তম তেমনি এক ট্রেন্ড গেরিলা যোদ্ধা। সেই শারীরিক ক্ষিপ্রতাকে আবার নিজের মধ্যে ফিরিয়ে এনেছে পুরুষোত্তম। সেই এক নিমেষের তীব্র আঘাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অনায়াস দক্ষতা।

“মট” করে একটা শব্দ। নিনজুৎসুর একটা আর্ম-লকিং টেকনিকে পিছন থেকে বাঁহাতি ছেলেটার বাঁ-কাঁধের হাড়টা ভেঙে বাঁ-হাতটা ঝুলে পড়ল। মানে কাঁধের হাড়ের যে গোল খোপের মধ্যে হাতের হাড়ের গোল বলটা ঢোকানো থাকে সেটা ভাঙল। ছেলেটার আর্ত চিৎকার শোনা গেল না উদ্দাম মিউজিকের আড়ালে। পরের মুহুর্তে পুরুষোত্তম দুহাতের আঙুলগুলো সাপের ছোবলের মতো ছুঁচলো করে ছেলেটার দুচোখের শেষে দুই রগের ঠিক মাঝখান বরাবর একই সঙ্গে ধাক্কা দিতেই ছেলেটা জ্ঞান হারালো। আমাদের মাথার খুলিটা একটা গোল হাড় নয়। তিনটে নারকোল মালার টুকরোর মতো বাঁকানো হাড়ের জিগজ্যাগ জোড়া লাগিয়ে বানানো। আর এই তিনটে হাড়ের শেষ অংশটা দু চোখের দুপাশে টেম্পল বা রগের ঠিক নিচেই জুড়েছে। এটা খুবই দূর্বল জায়গা। আর ঠিক এর নিচেই একটা করে ধমনী রয়েছে যারা গলার দুপাশ বেয়ে উঠেছে। চোয়ালের ঠিক পিছন দিয়ে ছোট্ট বাঁক নিয়ে দু’ কান ঘেঁষে রগের তলা দিয়ে ব্রেনে রক্ত জোগায় এরা। ঠিক এখানে পরিমিত ধাক্কা দিলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাবে আর জোরালো ধাক্কায় জীবন শেষ। গেরিলা ট্রেনিংয়ের সময় এ সব ব্ল্যাকবোর্ডে এঁকে এঁকে শেখানো হতো।
কোমরে গোঁজা রিভলবারটা নিয়ে নিমেষে নিকশ অন্ধকারে মিশে গেল পুরুষোত্তম। আরো অপেক্ষা করতে হবে। কোঁকড়াচুল বেঁটে ছেলেটাকে আরো সাবধানে সামলাতে হবে। সে নেশা করে না। মাথা চোখ দুটোই সমান সজাগ। ফৌজে নিঃশব্দে চলাফেরা করতে শেখানো হয়। সঠিক মূহুর্তের জন্যে ধৈর্য্য ধরতে শেখানো হয়। আর সঠিক মূহুর্তটা নিজস্ব রিফ্লেক্সই বলে দেয়। যেটা কঠিন অনুশীলনে অর্জন করতে হয়।

কোঁকড়াচুল ছেলেটা আজ শিস দিতে দিতে আসছে। ফুর্তিতে আছে। রোজকার অভ্যেস মতো সে পাশের ঝোপের সামনে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ শুরু করার আগে থমকে পিছনে ঘুরে তাকায়। পুরুষোত্তম এরকম কিছুই আশা করেছিলো। সে-ও তৈরি ছিল। ছেলেটা কিছু আন্দাজ করার আগেই কোণাকুণি মাথা বাঁচিয়ে কাঁধের ওপরে ভর করে রোল করে নিঃশব্দে সামনে ডিগবাজি দিয়ে পুরুষোত্তম পৌঁছল ছেলেটার ঠিক পেছনে। আর তারপর বিদ্যুৎ গতিতে “সোকুশি গেরী” খুব অমানবিক একটা আঘাত। ধুনুকের ছিলার মতো একটা প্রচণ্ড লাথি মারল ছেলেটির দু’ পায়ের ফাঁকে সরাসরি তার নিম্নাঙ্গে। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে তলপেটে হাত দিয়ে সামনে ঝুঁকে পড়ল কোঁকড়াচুল। কিন্তু পুরুষোত্তম আজ নির্দয়। অপ্রতিরোধ্য। এক মুহুর্তে লাফিয়ে উঠে পেশাদার ফুটবলারের মতো শূন্যে ভেসে ফ্লাইং সাইডভলির দু’পা চালিয়ে সাংঘাতিক আঘাত করলো কোঁকড়াচুলের মাথার ঠিক পিছনে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শরীরটা। একটু নিচু হয়ে ছেলেটার কোমরের কাছে গেঞ্জিটা আলগা করে দেখল তার কাছে কোনও আর্মস আছে কিনা? না, নেই! কোঁকড়াচুল হয়ত খবরাখবর জোগাড় করে।
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২০: তোমরা যা বলো, তাই বলো…

রাক্ষসের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ঢুকে গেলেন বেতারকেন্দ্রে

এখনও আর্মস পাবার পর্যায়ে পোঁছোয়নি। কিন্তু তাতে পুরুষোত্তমের লাভ কিছু হল না আরেকটা আর্মস না পেলে লড়াইটা একটু ডিফিকাল্ট হবে। ভেতরে এখনও চারজন আর তাদের প্রত্যেকের কাছেই আর্মস থাকবে। একটা ছেলে আসছে। সে কিছু একটা সন্দেহ করেছে। হাতে ছোট একটা রিভলবার। পয়েন্ট টু টু বোরের, কাঠের বাঁট আটঘরা। ছেলেটা ভয় পেলেই গুলি চালিয়ে দেবে সেরকম কিছু করা চলবে না। আচমকা ওর মুখোমুখি হয়ে চকিৎ আক্রমণে ওকে রাস্তা থেকে সরাতে হবে। একটা সাইড ভল্ট করে ওঠার মুখে হতচকিত ছেলেটার হাতে ধরা বন্দুকটা একহাতে ছোঁ মেরে নিল পুরুষোত্তম অন্যহাতটা হাতুড়ির মতো করে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে ছেলেটার ব্রহ্মতালুতে। লুটিয়ে পড়ে ছেলেটা।

দু’ হাতে দুটো বন্দুক ওরা বাকি তিনজন- একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে সিঁড়ির কাছাকাছি পৌঁছে প্রথমেই নিঃশব্দে মেনসুইচ নিভিয়ে দিল। আচমকা আলো চলে যেতে বেসামাল হয়ে যায় পাশবিক হুল্লোড়। অন্ধকারে ওরা দেখতে না পেলেও পুরুষোত্তম দেখতে পায়।—চলবে।
* বসুন্ধরা এবং… দ্বিতীয় খণ্ড (Basundhara Ebong-Novel Part-2) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content