শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


লালবিহারী দে ‘ফোক টেলস অফ বেঙ্গল’ নামে একটি গ্রন্থের অনুবাদ করেছিলেন। সেই গ্রন্থ থেকে গিরিশচন্দ্র ঘোষ তাঁর ফণীর মণি গীতিনাট্যের উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম অভিনয় হয়েছিল ১৮৯৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর মিনার্ভা থিয়েটারে।
প্রথম অভিনয় রজনীতে যাঁরা অভিনয় করেছিলেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হরিভূষণ ভট্টাচার্য, অনুকূলচন্দ্র বটব্যাল, গোবর্ধনচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ (দানি বাবু নামে যাঁর পরিচিতি), নৃপেন্দ্রচন্দ্র বসু, ক্ষেত্রমণি, কুসুমকুমারী, হরি সুন্দরী। প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ফণীর মণি দর্শকদের কাছে বিশেষ প্রশংসিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন:

নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব-৩৯: ‘সপ্তমীতে বিসর্জন’ ও ‘বড়দিনের বখশিস’-এর সাফল্যের পরে একাধিক পঞ্চরং লিখেছিলেন গিরিশচন্দ্র

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮: সুন্দরবনের নিশ্চিহ্ন প্রাণী

সুবিখ্যাত নৃত্য শিক্ষক নৃপেন্দ্রচন্দ্র বসু ‘সভ্যতার পান্ডা’য় ভালুকের নাচ গানে দর্শকদের প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এই গীতিনাট্যে ফকরের ভূমিকায় তিনি হাস্যরসের উচ্চতরঙ্গ তুলে সাধারণের কাছে যথেষ্ট বাহবা পান। ধাঙ্গর কন্যা এবং বেদেনির ভূমিকায় কুসুমকুমারী, হরি সুন্দরী নাচে গানে সুখ্যাতি লাভ করেছিলেন। বেদেনির ‘এনেছি ভাতার ধরা ফাঁদ’ গানটি প্রথম রাতেই ৪-৫ বার এনকোর হয়েছিল। ফলে ‘ফণীর মণি’ গীতিনাট্যে শ্রেষ্ঠ প্রশংসা লাভ করেছিলেন এই হরি সুন্দরী।
আরও পড়ুন:

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-২: কাজের আশায়, তারকা অশোককুমারের গাড়িতে নয়, লোকাল ট্রেনে-বাসে ঘুরে বেড়াতেন কিশোর

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১১: দাদা অঙ্ক কী কঠিন!

নাট্যশিল্পী ধর্মদাস বাবু প্রদর্শিত জল টুঙির দৃশ্যে দর্শকগণ মুগ্ধ হয়েছিলেন। রানুবাবু কিছুদিন আগেই থিয়েটার পরিত্যাগ করায় গোবর্ধনচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এই গীতি নৃত্যনাট্যের নৃত্যশিক্ষা দান করে বেশ প্রশংসা লাভ করেন। অভিনয় এবং নৃত্য শিক্ষকতায় গোবর্ধন বাবু কেমন নৈপূণ্য প্রকাশ করেছিলেন সে সম্পর্কে গিরিশচন্দ্রের মন্তব্য ‘রঙ্গালয়ে নেপেন’ গ্রন্থ থেকে আমরা উদ্ধৃত করলাম, ”রানু বাবু মিনার্ভা ত্যাগ করিলেন। রসসাগর অর্ধেন্দু শেখর প্রতিদ্বন্দ্বী থিয়েটার স্থাপন করিয়াছেন।”
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬: গার্হস্থ্য জীবনের প্রারম্ভে ভৈরবী ব্রাহ্মণীর আগমন

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩২: আটার চেয়ে ময়দা ঢের গুণ ভালো?

গিরিশচন্দ্র এও বলেছিলেন, অর্ধেন্দু শেখরের মুকুল মুঞ্জরায় বরুণ চাঁদের ভূমিকা ও আবু হোসেন এ আবু হোসেনের ভূমিকা গ্রহণ করিতে কেহ-ই সাহস করে না। নৃত্য শিক্ষকের স্থান অপূর্ণ। এই সময় নাট্যানুরাগী শ্রীমান গোবর্ধন বন্দ্যোপাধ্যায় রানু বাবুর স্থান পুরাণ ও অর্ধেন্দুর উক্ত দুই অংশগ্রহণ করিয়া যোগ্যতার সঙ্গে মিনার্ভার মান রক্ষা করিলেন। তাহার নৃত্যকলা বিদ্যা বলে ফণীর মণি, পাঁচ কনে প্রভৃতি গীতিনাট্য ও পঞ্চড়ং দর্শক মনোহারি হইয়াছিল।”

ফণীর মণির গীতি নৃত্যনাট্যটির পরবর্তীকালে ক্লাসিক থিয়েটারেও উচ্চ প্রশংসার সঙ্গে অভিনীত হয়েছিল।
* নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে (Girish Chandra Ghosh – Actor – Theatre) : ড. শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh) বিশিষ্ট অধ্যাপক ও অভিনেতা।

আপনার রায়

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে?

Skip to content