সপ্তপর্ণীর ফুল। ছবি: সংগৃহীত।
২০১২ সালের একটি জার্নালে [IJRP] প্রকাশিত হয়েছিল যে, ছাতিম গাছের বল্কল নিঃসৃত নির্যাস মানব দেহের পেটের অসুখ, ম্যালেরিয়া, ডিসপেপসিয়া, ত্বকের অসুস্থতা, কার্ডিয়াক সমস্যা, কৃমিরোগ এমনকি দুরারোগ্য ক্যানসার নিরাময়েও কার্যকারী ভূমিকা নেয়। এই গাছের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন রকম উপক্ষার থাকে যা নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী ব্যবহার করলে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। এই গাছের কাণ্ডে থাকে এচিটামিন ও টিউবোটাইওয়াইন। মূলের ছালে উপস্থিত থাকে অ্যাকুয়ামাইসিন, আর কাণ্ডের বল্কলে থাকে এচিটামিন। ফুলে থাকে পিকরিনিন ও স্ট্রিকটামিন। পাতায় থাকে পিকরালিনাল ইত্যাদি জাতীয় উপক্ষার।
এক নজরে
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: রোজের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল নেই! এ সব জানলে এমন ভুল আর নয়
প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: লিভার ও মস্তিষ্কের অসুস্থতা কি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়? কীভাবে?
কী কী উপাদানে ভরপুর?
ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-২: রাজাদের স্থাপত্য-কীর্তি ও রাজধানী
গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-১২: ক’দিন ধরে আমি কেমন যেন মাংস পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি
চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহার
কুষ্ঠ রোগ নিরাময়ে
মানসিক অবসাদ দূরীকরণে
দাঁতের সমস্যা দূরীকরণে
ডায়াবেটিস নিরাময়ে
পেটের অসুখ নিরাময়ে
আলসার ও ক্যানসার নিরাময়ে
ফ্রি রেডিক্যাল মুক্ত করতে
হাঁপানি রোগ সারাতে
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫: সুন্দরবন নামরহস্য
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬৪: বাড়ির চৌবাচ্চায় মাছ চাষ করে পরিবারের নিত্যদিনের মাছের চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব
পাইথোরিয়া দূর করতে
ইমিউনোস্টিমুলেন্ট হিসাবে
সর্পদংশনের ওষুধ হিসাবে
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সুবিধার্থে এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছাতিম গাছের চাষ শুরু হয়েছে। ছাতিম গাছের বিভিন্ন অংশের নির্যাস অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-অ্যামিবিক, আন্টি-ডায়রিয়াল, অ্যান্টি-প্লাসমোডিয়াল, হেপাটো প্রটেকটিভ, অ্যান্টি-ক্যানসারাস, অ্যান্টি-অ্যাজমাটিক, অ্যান্টি-আলসার, অ্যান্টি-ফার্টিলিটি হিসেবে কাজ করে। তাই মানবজাতির কল্যাণে আমাদের ছাতিম গাছ রোপন করতে হবে এবং এই গাছকে রক্ষা করতে হবে।