নারায়ণের বক্ষ বিলাসিনী দেবী লক্ষীর আসন যেমন এই পদ্মফুল তেমনই পদ্মেরই বিভিন্ন প্রতিশব্দে ভেসে ওঠে বিষ্ণুপত্নীর বর্ণনা। ঋকবেদে পদ্মদেবী শ্রী বা লক্ষ্মীকে ‘পদ্মসম্ভব’, পদস্থিতা, পদ্মবর্ণা, পদ্মাক্ষী, পুষ্করিণী, পদ্ম মালিনী, মাধবী, হিরন্ময়ী, কমলা, কমলাসনা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
বৈদিক যুগ থেকেই ভারতবর্ষে দেবী পদ্মাকে মাতৃরূপে পুজো করা হতো। কিন্তু এদেশে আর্যদের অনুপ্রবেশের পর থেকে দেবতার আধিপত্যে দেবী পদ্মাকে দেখা যায় সেবিকা হিসাবে যিনি ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর পদসেবা করছেন। তবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে আজও দেবী পদ্মা ভগবান বিষ্ণুর মতোই দৈবশক্তি সম্পন্ন।
কিন্তু নিরুপায় ব্রহ্মা জানালেন, দুর্বাসা মুনির অভিশাপে তার আর কিছুই করার নেই। অগত্যা সকল দেবতা বৈকুণ্ঠধাম গমন করলেন। পালনকর্তা বৃষ্ণুর নির্দেশে তখন দেবী লক্ষ্মী ক্ষীরসাগরে লিন হয়ে কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করলেন। ভগবান বিষ্ণুর কথা মতো দেবতারা ক্ষীরসাগর মন্থন করতে শুরু করলেন। তখন হঠাৎই দেবী মহালক্ষ্মী পদ্ম আসনে বসে এক হাতে পদ্ম নিয়ে মন্থনরত ক্ষীরসাগর থেকে উঠে দেবতাদের আশীর্বাদ করলেন। দেবীর আশীর্বাদে দেবতারা আবার হৃত যৌবন এবং ধন-সম্পত্তি ফিরে পেলেন। তারপর দেবী কমলা পদ্মমালা পরিয়ে ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে আবার একাত্ম হলেন।
শ্রীরামচন্দ্রের অকালবোধন পুজোতে পদ্মের ব্যবহার অনেকেরই জানা কিন্তু জানেন কি পদ্মকে পবিত্র রূপে ভেবে ভগবান বিষ্ণু প্রতিদিন সহস্র পত্র দিয়ে শিব সাধনা অর্থাৎ শিব পুজো করতেন। একদিন তিনি যখন দেখলেন সহস্র পদ্মের মধ্যে একটি পদ্ম কম তখন ভগবান বিষ্ণু নিজের চোখকে পদ্মসম তুলনা করে নিজ চক্ষু দেবাদিদেবকে সম্প্রদান করলেন। তাই প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে পদ্ম ফুলের গাছকে পবিত্র উদ্ভিদ তথা ধর্মীয় উদ্ভিদ হিসাবে স্থান দেওয়া হয়েছে।
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় তুলসী
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৩: বায়োপসি মানেই ক্যানসার?
এক নজরে
লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-১: কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়…
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৭: স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা ‘সাগরিকা’
কী কী উপাদানে ভরপুর?
পদ্ম পাতা, পদ্মমৃণাল এবং পদ্ম ফুলে উপস্থিত বিভিন্ন অ্যালকালয়েডগুলো হল নিলামবাইন, নিউফরাইন, নুসিফেরিন, নুসিফেরিন, অ্যানোনাইন, নেরাটিন, হাইফেরোসাইড, কোয়ারসেটিন, আইসোস্কোয়ারসেটিন, গ্লুকোনিউটিওলিন, নিউটিওলিন। আবার পদ্ম বীজের মধ্যে উপস্থিত থাকে বিটা সিটস্টেরল, পামেটিক অ্যাসিড, গ্লুকোজ ইত্যাদি। আবার পদ্মের রাইজোমের মধ্যে উপস্থিত থাকে গ্লুকোজ, ট্যানিন, রেসিন, ফ্যাট, আলকালয়েড, রেফিনোস, নীলাম্বি ইত্যাদি রাসায়নিক যৌগ।
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১: আমি ‘কেবলই’ স্বপন…
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৭: দু’ মাস আগের এক সন্ধ্যা
চিকিৎসাশাস্ত্রে পদ্মের ব্যবহার
চর্মরোগ নিরাময়ে
অর্শ নিরাময়ে
গর্ভপাত রোধে
গলার সমস্যায়
বহুমূত্র নিরাময়
বমিভাব দূরীকরণে
টনিক তৈরিতে
পেটের অসুখ নিরাময়ে