শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


নজরুল।

‘রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘বসন্ত’ নাটক আমাকে উৎসর্গ করেন। তাঁর ‌এই আশীর্বাদ-মাল্য পেয়ে আমি জেলের সর্বজ্বালা-যন্ত্রণা, অনশন-ক্লেশ ভুলে যাই। আমার মতো নগণ্য তরুণ কবিতা-লেখককে কেন তিনি এত অনুগ্রহ ও আনন্দ দিয়েছিলেন, তা তিনিই জানেন।’

বলাই বাহুল্য, এ স্বীকারোক্তি নজরুলের। রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে অপরিসীম স্নেহ করতেন। সেই ভালোবাসা যে বানানো ছিল না,অন্তর থেকে উৎসারিত, তা নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। নজরুল তখন জেলে বন্দি। পরাধীনতার গ্লানি মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর হয়েছিলেন তিনি, কবিতার মধ্য দিয়ে মানুষকে জাগাতে চেয়েছিলেন, জাগরণের গান গেয়েছিলেন। সেই অপরাধেই নজরুল হয়েছিলেন জেলবন্দি।
নজরুলকে উৎসর্গীকৃত রবীন্দ্রনাথের ‘বসন্ত’ গীতিনাট্যটি বসন্তোৎসবের সন্ধ্যায় অভিনীত হয়েছিল, কলকাতার আলফ্রেড থিয়েটারে। শান্তিদেব ঘোষের লেখায় আছে, নাটকটির অভিনয় ঘিরে তাঁর এক অভূতপূর্ব স্মৃতি। এই নাটকের শেষ গানটিতে কবিও নেচেছিলেন। সেই নৃত্যস্মৃতির কথা স্মরণ করতে গিয়ে শান্তিদেব উচ্ছ্বসিত হয়ে লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং গানের দলের সঙ্গে নাচে রঙ্গমঞ্চকে মাতিয়ে তুলেছিলেন।’

নজরুলও নেচেছিলেন। সে বিবরণ আছে পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখায়। জেলবন্দি নজরুল নেচেছিলেন প্রাণের আনন্দে। গুরুদেব তাঁকে বই উৎসর্গ করেছেন, তা জেনে, সে বই দেখে খুবই আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। আনন্দ-প্লাবল্যে নেচে উঠেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ।

পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়ের মারফত বইটি নজরুলের উদ্দেশে পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রেরণকালে পবিত্রকে বলেছিলেন, ‘বোলো, আমি নিজের হাতে তাকে দিতে পারলাম না বলে সে যেন দুঃখ না করে। আমি তাকে সমগ্ৰ অন্তর দিয়ে অকুণ্ঠ আশীর্বাদ জানাচ্ছি। আর বোলো, কবিতা লেখা যেন কোন কারণেই সে বন্ধ না করে। সৈনিক অনেক মিলবে, কিন্তু যুদ্ধে প্রেরণা জাগাবার কবিও তো চাই।’

জেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে দেখা করা সহজ নয়। দেখা করতে হয় নানা নিয়মকানুন মেনে। জেল-কর্তৃপক্ষের কাছে ‘ইন্টারভিউ’র আবেদন করে, অনুমতি পেয়ে তবেই হাজির হতে পেরেছিলেন পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়। নজরুলের বন্ধু তিনি।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৩: গগনেন্দ্রনাথের‌ ঘুড়ি ওড়ানো

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৪৮: অভীষ্ট লাভ নাকি আত্মবিনাশ — লঙ্কাধিপতি কোনটি বেছে নিলেন?

বরণীয় মানুষের স্মরণীয় সঙ্গ: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম

দশভুজা: পিকনিক দল থেকে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু: তাঁর লেন্সের বিস্তৃতি ছিল বিস্ময়কর

জেলে হাজির হয়ে গরাদের সামনে প্যাকেট খুল বইয়ের উৎসর্গপত্রটি দেখানো মাত্র নজরুল আনন্দে উচ্ছ্বাসে লাফিয়ে উঠেছিলেন। হঠাৎ এভাবে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ কেন,ইংরেজ ওয়ার্ডার তা পবিত্রর কাছে জানতে চেয়েছিল। পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘পোয়েট টেগোর ওকে একখানা বই ডেডিকেট করেছেন। সাহেবটির তা বিশ্বাস হয়নি। ভেবেছে পবিত্র ভুল শব্দ ব্যবহার করলেন। তাই বলেছেন, ‘ইউ মিন প্রেজেন্টেড?

পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছিলেন যে, সাহেবের কাছে ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য ঠেকছে। তাই আবারও জানিয়েছিলেন, ‘নো, ডেডিকেটেড।’ বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাহেব, ‘ইউ মিন দি কনভিক্ট ইজ সাচ ইমপর্টান্ট পারসন।’ পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ইয়েস, আওয়ার গ্রেটেস্ট পোয়েট নেক্সট টু টেগোর সাহেব।’ এ কথা শুনে এই বন্দির প্রতি সাহেব বোধহয় সদয় হয়েছিলেন। গরাদের দরজাটা একটু হলেও খুলে দিয়েছিলেন। পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় গরাদে ঢুকতেই নজরুল তাঁকে জড়িয়ে ধরে নাচতে শুরু করে দিয়েছিলেন। নাচতে নাচতেই বইটি কপালে ঠেকিয়ে, বুকে চেপে ধরেছিলেন।

নজরুলকে উৎসর্গ করা রবীন্দ্রনাথের 'বসন্ত'।

নজরুলকে রবীন্দ্রনাথ সত্যিই ভালোবাসতেন। নিখাদ ভালোবাসা। নজরুল তখনও কবি হয়ে ওঠেননি। বাল্য-কৈশোর থেকেই গুরুদেবের প্রতি তাঁর অফুরান শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালোবাসা। পরস্পরের মধ্যে দেখা হয়েছে অনেক পরে। কখনও নজরুল গুরুদেবের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গিয়েছেন জোড়াসাঁকোয়, কখনও বা শান্তিনিকেতনে। সভা সমিতিতেও বারবার দেখা হয়েছে। দিনে দিনে তৈরি হয়েছে শ্রদ্ধা-ভালোবাসার এক আন্তরিক সম্পর্ক। সে সম্পর্কে কখনও চির ধরেনি। নজরুলের লেখায় আছে, ‘বিশ্বকবিকে আমি শুধু শ্রদ্ধা নয়, পূজা করে এসেছি সকল হৃদয়-মন দিয়ে, যেমন করে ভক্ত তার ইষ্টদেবকে পূজা করে। ছেলেবেলা থেকে তাঁর ছবি সামনে রেখে গন্ধ-ধূপ-ফুল-চন্দন দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা বন্দনা করেছি। এ নিয়ে কত লোক কত ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে।’
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৬: গরমে কক্ষনও ডিম খেতে নেই?

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৫: আর্য কোথায়?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৬: যুগে যুগে যা ‘সবার উপরে’

হাত বাড়ালেই বনৌষধি: স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় তুলসী

সেই বাল্য-কৈশোর থেকেই নজরুলের এই আনুগত্য। বলা যায় অন্ধ অনুরাগী ছিলেন তিনি। স্কুলের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র-কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন, সে তথ্যও স্মৃতিচর্চায় আছে। বহু রবীন্দ্র-কবিতাই ছিল তাঁর কণ্ঠস্থ। রবীন্দ্রনাথকে আরাধ্য দেবতার আসনে বসিয়েছিলেন বলে কেউ নিন্দেমন্দ করলে খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়তেন। খেলার মাঠে খেলোয়াড়-বন্ধুদের একজন হঠাৎ একদিন রবীন্দ্রনাথের নিন্দে করেছিল। তা কানে যাওয়া মাত্র নজরুল অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। নিন্দে করার পরিণতি খুব সুখকর হয়নি। খেলোয়াড়-বন্ধুটিকে রীতিমতো খেসারত দিতে হয়েছিল।

নজরুল রেগে গোলপোস্ট উপড়ে তার দিকে চড়াও হয়েছিলেন। উত্তেজিত হয়ে জগৎ রায় নামের সেই খেলোয়াড়-বন্ধুর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। মারাত্মকভাবে আঘাত লাগে তার, অনর্গল রক্তপাত হতে থাকে। মাঠে অনেক লোক জমে যায়। ডাক্তার, ওষুধ—এসবের মাঝে নজরুলকে ধরতে পুলিশও এসে পড়ে। গড়ায় আইন-আদালত পর্যন্ত। বিচারে অবশ্য নজরুলকে তেমন গুরুতর সাজার মুখে পড়তে হয়নি। জুভেনাইল কোর্টে বালক-অপরাধীর বিচার হয়েছিল। বিচারক‌ বালক নজরুলকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। এইটুকুই সাজা হয়েছিল তাঁর।

নজরুলের কবিতা, নজরুলের হস্তাক্ষরে।

পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখায় আছে নজরুলের জোড়াসাঁকোয় আগমনের কথা। নজরুল তাঁর ‘বিশেষ বন্ধু’ জেনে কবি তাঁকে জোড়াসাঁকোয় নিয়ে আসতে বলেছিলেন। পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে গিয়েছিলেন নজরুলকে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে এটাই ছিল নজরুলের প্রথম সাক্ষাৎ। সেদিন কেউই কথা বলতে পারেননি। রবীন্দ্রনাথ নজরুলের দিকে বহুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন। খানিক নীরবতার পর বলেছিলেন, ‘বসো।’

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে নজরুল বেশ কয়েকবার শান্তিনিকেতনেও গিয়েছিলেন। প্রথমবার গিয়েছিলেন অধ্যাপক শহীদুল্লাহকে নিয়ে। তাঁদের দেখাশোনার ভার কবি দিয়েছিলেন তাঁর বিশ্বস্ত সহচর সুধাকান্ত রায়চৌধুরীকে। সুধাকান্ত শুধু রবীন্দ্রনাথের নন, তাঁর অগ্রজ দ্বিজেন্দ্রনাথেরও স্নেহভাজন ছিলেন। নজরুলের ‘মোসলেম ভারত’ নিয়মিত পড়তেন তিনি। নজরুলের প্রতি তাঁর বাড়তি আগ্রহ ছিল। রবীন্দ্রনাথের কথামতো নজরুল ও শহীদুল্লাহকে শান্তিনিকেতনে আনতে তিনি স্টেশনেও গিয়েছিলেন।

শান্তিনিকেতন আগমন, কবির সান্নিধ্যলাভ নজরুলের কাছে বড়ো আনন্দের হয়ে উঠেছিল। আনন্দের সঙ্গে বিস্ময়ও মিশে গিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ শহীদুল্লাহর কাছে জেনে পুলকিত হয়েছিলেন যে ট্রেনে আসার পথে নজরুল ‘গীতাঞ্জলি’-র সবকটা গান তাঁকে শুনিয়েছেন। সব গান নজরুলের কণ্ঠস্থ, শহীদুল্লাহর কাছে তা জেনে রবীন্দ্রনাথ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘অদ্ভুত স্মৃতিশক্তি তো! আমার গীতাঞ্জলির গান সব তো আমারই মনে থাকে না।’
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১২: হঠাৎ স্নানঘর থেকে পঞ্চমের চিৎকার ‘মিল গয়া মিল গয়া’, সৃষ্টি হল সেই জনপ্রিয় গান ‘মুসাফির হুঁ ইয়ারো’

স্বাদে-আহ্লাদে: তপ্ত দিনে প্রাণ জুড়োতে বন্ধুদের জন্য বানিয়ে ফেলুন আমপান্না

প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: জিনই মানুষকে অনন্য করেছে, শতাধিক স্তন্যপায়ীর জিন বিশ্লেষণে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

দীর্ঘ আনন্দময় আলাপচারিতা। কলাভবনের দোতালায় বিকেল পেরিয়ে সন্ধে নেমেছিল। নজরুল রবীন্দ্রনাথের গলায় কবিতা-গান শুনতে চেয়েছিলেন। সে আর্জি শুনে কবি বলেছিলেন, ‘আমি যে তোমার গান-আবৃত্তি শোনার জন্যই প্রতীক্ষা করে আছি, তাড়াতাড়ি শুরু করে দাও।’

কবির অনুরোধ নজরুল ফেলতে পারেননি। শুনিয়েছিলেন তাঁর ‘আগমনী’ কবিতাটি। নজরুল ওপর রবীন্দ্রনাথের কতখানি আস্থা ছিল, ভালোবাসা ছিল, তা একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশেষভাবে বোঝা যায়। রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ উপন্যাসটির অবলম্বনে সিনেমা তৈরি হয়েছিল। পরিচালনা করেছিলেন সুবিখ্যাত অভিনেতা নরেশ মিত্র। নজরুল ছিলেন এ ছবির সংগীত পরিচালক। বিশ্বভারতীর সংগীত-বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে ছবিতে রবীন্দ্রনাথের গান ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গানগুলি শোনেন। শোনার পর তাঁরা ত্রুটিমুক্ত, এমন অভিমত দেননি। ফলে প্রযোজকের মাথায় হাত পড়ে। রিলিজ করা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। শেষে নজরুল ‘গোরা’ সিনেমাটির প্রিন্ট ও প্রোজেকশন মেশিন নিয়ে গাড়িতে শান্তিনিকেতনে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎ করে আগমন। নজরুলকে দেখে গুরুদেব বিস্মিত হয়েছিলেন, আবার আনন্দিতও হয়েছিলেন। নজরুল সব কথা খুলে বলেছিলেন, এ ছবি তাঁকে আজই দেখাতে চান। দেখার পর ব্যবহৃত গানের প্রয়োগ নিয়ে মতামত জানাতে হবে গুরুদেবকে।

নজরুল।

রবীন্দ্রনাথ নজরুলের সব কথা মন দিয়ে শুনলেন। বিশ্বভারতী বোর্ডের অনুমতি না পেলে তৈরি হওয়া ছবি যে আটকে যাবে, তা জানার পর বিচলিতই হয়েছিলেন। তারপর বলেছিলেন, নজরুলের প্রতি তাঁর আস্থা ও নির্ভরতার কথা। কবি বলেছিলেন, ‘কী কাণ্ড বলত! তুমি শিখিয়েছ আমার গান আর ওরা কোন আক্কেলে তার দোষ ধরেন? তোমার চেয়েও আমার গান কি তারা বেশি বুঝবে! আমার গানের মর্যাদা কি ওরা বেশি দিতে পারবে?’ এ কথা বলে রবীন্দ্রনাথ ছবিতে গানের ব্যবহার ঠিকঠাক হয়েছে কিনা, তা না দেখেই বিনাদ্বিধায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সই করে দিয়েছিলেন।

‘গোরা’ রিলিজ নিয়ে জট পাকিয়েছিল, ঝঞ্ঝাট বেঁধেছিল।কবির অনুমতি পাওয়ায় পর তা নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকেনি। যথাসময়ে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এরকমই ছিল নজরুলের প্রতি রবীন্দ্রনাথের ভালোবাসা। কবির কাছে এমন ভালোবাসা সমকালীন তরুণ কবিরা বোধহয় আর কেউ পাননি।
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।

Skip to content