বুধবার ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বয়স বাড়বে। আর ধরা দেবে বার্ধক্য। এটাই স্বাভাবিক। বয়স কেবল সংখ্যা মাত্র। সে নিজের মতো বেড়ে চলে। শৈশব থেকে যৌবনের এই পর্যায়ে আমাদের শরীরের একটা লাবণ্য থাকে। এই লাবণ্যকে কোনও ভাবে ধরে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। মুশকিলটা হয়, যৌবন ছাড়িয়ে বার্ধক্যের দিকে এগলে। ওই লাবণ্য ক্রমশ হারিয়ে যায়। সেই সঙ্গে শুরু হয় নানা শারীরিক সমস্যা। সে সময় আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক থাকে না। সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকে সজীব কোষের সংখ্যা কমতে শুরু করে। তবে জীবনের চিরন্তন সত্য বার্ধক্যকে হারিয়ে চির যৌবন ধরে রাখতে এই তিনটি যোগাসনে ভরসা করতে পারেন।
 

পশ্চিমোত্তনাসন

চিত হয়ে শুয়ে দুহাত তুলে মাথার দু’ পাশে ওপরের দিকে রাখুন। আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুকে দুহাত দিয়ে জোড়া পায়ের পুরো আঙুল ধরুন। কপাল দুটি পায়ের মাঝখানে ঠেকান এবং বুক ও পেট ঊরুতে লাগান হাঁটু ভাজ হবে না এই অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে মনে মনে ১০ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে ৩০ গুনুন। পূর্বের অবস্থায় এসে হাত মাথার পাশ দিয়ে নামিয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এইভাবে তিনবার অভ্যাস করুন।
 

আর যা যা উপকার হয়

অম্বল হুদামান্ডো আমাশয় ডায়াবেটিস কোলাইটিস অলসতা দূর করে হজম শক্তি বাড়ায় এবং লম্বা হতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

কনট্যাক্ট লেন্স পরতে ইচ্ছে করে? লেন্স ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি জানেন কি

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৯: পাকা আম খাবেন, নাকি কাঁচা আম?

 

হলাসন

● প্রথম পদ্ধতি: চিত হয়ে শুয়ে হাত দুটি পাশে রাখুন। পা দুটি জোড়া অবস্থায় মাখি থেকে তুলে আস্তে আস্তে মাথার পেছনে নিয়ে যান এবং পায়ের আঙুলগুলি মাটিতে ঠেকান। দুটি হাঁটু যেন না বাঁকে। চিবুক বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে।

● দ্বিতীয় পদ্ধতি: কেউ কেউ হাত দুটি মাথার উপর মাটিতে রেখে ডান হাত দিয়ে বাঁ কনুই এবং বাঁ হাত দিয়ে ডান কনুই ধরুন। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে এই অবস্থায় মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে ৩০ গুনুন। এভাবে তিনবার অভ্যাস করুন। প্রতিবারের পর শবাসনে বিশ্রাম নিন হলাসনের পর মৎসাসন বা উষ্টাসণ অবশ্য করণীয়।
 

আর যা যা উপকার হয়

এই আসনে সর্দি-কাশি এবং ব্রঙ্কাইটিস, কানের যন্ত্রণা প্রভৃতি কমে যায়। তাছাড়া স্বপ্নদোষ, লো ব্লাড প্রেশার, মৃগী রোগ, কানে কম শোনা প্রভৃতিতে এই আসন বিশেষ উপকারী।

আরও পড়ুন:

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-১৯: ভক্তিতে তন্ময় ভক্তকে ভগবান মানব শরীর ধারণ করে তার ভক্তিরস আস্বাদন করেন

সকালে নাকি সন্ধ্যায়, ঠিক কোন সময়ে ব্যায়াম করলে সর্বাধিক সুফল মিলবে?

 

চক্রাসন

অর্ধচন্দ্রাসন করে আরও বেঁকে দু’হাত মাটিতে ঠেকালে চক্রাসন হয়। অথবা চিৎ হয়ে শুয়ে দু’ হাত ভেঙে হাতের চেটো মাথার পাশে রাখুন। হাঁটু মোড়ে পায়ের গোড়ালি কোমর পিঠ নিতম্ব মাটি থেকে ঠেলে তুলুন। হাতের আঙুল যতটা সম্ভব গোড়ালির কাছে আনুন। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গুনে শবাসন করুন। এভাবে তিনবার অভ্যাস করুন।
 

আর যা যা উপকার হয়

কোমরে ব্যথা বুকের খাচা গঠনের দোষ কোষ্ঠকাঠিন্য, মৃগী, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, লো ব্লাড প্রেশার, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং লম্বা হতে সাহায্য করে।


Skip to content