শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


লীলা মজুমদার।

‘বুকের মধ্যে খানিকটা জায়গা ফাঁকা হয়ে যায়, ফোঁপড়া হয়ে যায়, দুনিয়াতে হরেক রকমের ভালো জিনিস আছে, কিন্তু কিচ্ছু দিয়েই আর সে ফাঁকা ভরানো যায় না, বোগিদাদা, ঘর ছেড়ে, ঘরের মানুষ ছেড়ে তাই বেরিয়ে পড়তে হয়।’ হলদে পাখির পালক উপন্যাসে লীলা মজুমদার যখন এমন কথা লিখলেন, তখন মনে হয় শিশু সাহিত্যিকের আড়াল থেকে কোনও এক মনকেমন করা মেয়ে যেন উঁকি দিচ্ছে। পাহাড়িয়া পাকদণ্ডীর পথে পথে, পাইন গাছের আনাচ কানাচের গল্পগুলো মেঘরোদ্দুরের মিশেলে আশ্চর্যসুন্দর। লিখতে বসে মনে হচ্ছে পকেট ভর্তি নুড়ি পাথর নিয়ে যে শৈশব লিখেছিলেন লীলা মজুমদার, সেখানে শব্দের আড়ালে বিষাদ কেন? আজকের কথকতা হোক সেই হর্ষবিষাদের কথাকার লীলা মজুমদারকে নিয়ে।

একসময় কলকাতায় যেমন বিখ্যাত ছিল ঠাকুরবাড়ি, তেমনি গুণী পরিবার ছিল রায় পরিবার। রবীন্দ্রনাথ নিজেই এই পরিবারের সদস্যদের গুণগ্রাহী ছিলেন। কারণ বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে রায় পরিবার নিজেদের প্রতিভার জোরে আপামর বাঙালিকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় এবং সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ ছিল রবীন্দ্রনাথের। উপেন্দ্রকিশোরের সঙ্গে রীতিমতো সখ্য ছিল তাঁর। রায় পরিবারের একটি মেয়ে লীলা, পরে যিনি পরিচিত হবেন শিশুসাহিত্যিক লীলা মজুমদার হিসেবে।

আজকের কথকতার কেন্দ্রে থাক লীলা মজুমদার। দুই লেখকের ভাববিনিময় নিয়েই গাঁথা যাক আজকের কথামালা। শৈশবের এক আশ্চর্য রূপকথা তৈরি হয়েছে লীলা মজুমদারের সাহিত্যে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখা পড়তেন। প্রবীণ অগ্রজ লেখক হিসেবে সেই সময়কার নবীন লেখক লীলা মজুমদারকে দেখেই চিনেছিলেন। বুঝেছিলেন রায়বাড়ির ম্যাজিক কলমটি এই মেয়েটির কাছেও রয়েছে। তারপর স্নেহ ও আশিসের ফুলে ভরাট কথার মালা যেন পরিয়েছেন নবীন লেখককে। তারপর? আবছা আলোর ছায়াঘেরা এক নতুন পৃথিবীতে বসে, পকেট ভর্তি নুড়িপাথরের মতো শৈশবের ঐশ্বর্য নিয়ে লিখে চললেন লীলা মজুমদার।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ছোট ভাই ছিলেন প্রমদারঞ্জন রায়। ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১০০ গড়পার রোডের বাড়িতে জন্ম হল প্রমদারঞ্জন ও সুরমাদেবীর মেয়ে লীলার। অমন সাহিত্যিক পরিবারে জন্মেছিলেন, জীবনদর্শন ছিল সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে। পাহাড়ি পাকদণ্ডীর আনাচকানাচ থেকে যেন হাজির হত লীলার আশ্চর্য নির্মল গল্পের চরিত্ররা। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন লীলা। বিএ এবং এমএ উভয় পরীক্ষাতেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। কিছুদিন অধ্যাপনা করেন, কিছুদিন আকাশবাণীতে প্রযোজনা করেন, সন্দেশ পত্রিকার সম্পাদনাও করেছেন। ড. সুধীরকুমার মজুমদারকে বিয়ে করেছেন লীলা। রবীন্দ্র পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, বিশ্বভারতীর দেশিকোত্তম পুরস্কার সহ অনেক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন লীলা মজুমদার। তাঁর জীবনেও একসময় এসে পড়েছিল রবির আলো। সেই গল্পই বলি।

শিলং পাহাড়ে লীলা পড়তেন সাহেবি স্কুলে। ফলে প্রথমে বাংলাটা একেবারেই ভালো পারতেন না। রবীন্দ্রসাহিত্যের সঙ্গেও পরিচয় ছিল না তাঁর। ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সব পড়েছি, বাদে রবীন্দ্রনাথের বই।’ রবীন্দ্রনাথের নাম প্রথম শোনা নিয়ে একটা মজার গল্প আছে। লীলা মজুমদারের ছোটবেলার বাড়ির সবচেয়ে উঁচু তাকে রাখা ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘খেয়া’ কাব্যগ্রন্থ। ছোট্ট লীলার একবার আচার খাওয়ার জন্য একটুকরো কাগজের দরকার ছিল। তাই বেশি সাতপাঁচ না ভেবে টুলের উপর দাঁড়িয়ে সেই বইয়ের মাঝখান থেকে পাতা ছিঁড়ে নিয়ে আচার রেখেছিলেন। এই নিয়ে বাড়িতে প্রবল বকাবকি হল। এই বিপর্যয়ের মধ্যেই লীলা প্রথম জানলেন বইটির লেখক রবীন্দ্রনাথ। প্রশান্তকুমার মহলানবীশের কণ্ঠে কিছু রবীন্দ্রকবিতার আবৃত্তি শুনেছিলেন ছোট্ট লীলা। কিন্তু বোধগম্য হয় নি বলেই ভালো লাগেনি সহজ সরল লীলার। সাক্ষাৎ রবীন্দ্রদর্শন হল শিলঙ পাহাড়েই। তখন অবশ্য কবিকে বেশ লেগেছিল।
আরও পড়ুন:

সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৯: নিরুপমা দেবী— তাঁকে নিয়েই গল্প হোক!

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২৮: কে আবার বাজায় বাঁশি

সেই দিনের স্মৃতিচারণ করেছিলেন লীলা মজুমদার, ‘রবীন্দ্রনাথ নিজে তাঁর ‘পুরাতন ভৃত্য’ পড়ে শুনিয়েছিলেন। শুনে আমরা মুগ্ধ। এমন মজা করে মজার কবিতা কাউকে কখনও পড়তে শুনিনি। এমনি নির্বোধ ছিলাম তখন যে ওই কবিতার বেদনার দিকটাই বুঝিনি, তা কবিকে বুঝব কি করে!’ লীলা মজুমদারের কাছে সেদিন রবি ঠাকুর এসেছিলেন কনভেন্ট স্কুলের চার্চে দেখা যিশুর মতো হয়ে। এরপর ডায়োসেশান স্কুলে লীলা মজুমদারের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় পূর্ণিমা দেবীর। পূর্ণিমা দেবী ছিলেন দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগ্নি, প্রমথ চৌধুরীর ভাইঝি এবং সুবীরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর লীলা মজুমদারের মধ্যে এক অন্যতম সংযোগ সেতু ছিলেন পূর্ণিমা দেবী।

একবার রবীন্দ্রনাথ দার্জিলিঙে গিয়েছেন। লীলা মজুমদারও তখন দার্জিলিঙে মাসির বাড়ি রয়েছেন। তাঁর মেসোর সঙ্গে তিনি গিয়েছেন রবি ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে। লীলা মজুমদারের ছিল এক অনাবিল শিশুদৃষ্টি। বিশ্বভুবনকে তিনি দেখতেন শৈশবের জড়িবোনা মন দিয়ে। রবীন্দ্রনাথ সেদিন পরেছিলেন গরম জোব্বা, টুপি আর নীল শুঁড়তোলা জুতো। শিশুসাহিত্যিক লীলা মজুমদারের নজরে পড়ল তাঁর খুশি খুশি মুখ। এই দুই খুশি মনের বন্ধুত্ব হল অচিরেই। তবে রবি ঠাকুরের উঁচু পাহাড় ভালো লাগত না বলে তাড়াতাড়ি ফিরে গেলেন। সেই প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য মন কেমন করল লীলা মজুমদারের।

রবীন্দ্রনাথের মনখারাপ হয়েছিল নিশ্চয়ই। সেই কারণেই রাজার চিঠির মতো লীলা মজুমদারের কাছে রবি ঠাকুরের চিঠি এল। রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে লিখে জানালেন, তিনি লীলা মজুমদারের ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পগুলি পড়েন। তিনি শান্তিনিকেতনের শিশুবিভাগের দায়িত্ব একবছরের জন্য দিতে চাইলেন লীলা মজুমদারকে। এই ডাক পেয়ে লীলা মজুমদার সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছলেন শান্তিনিকেতন। সেদিন উত্তরায়ণে চায়ের আসরে মত বদলালেন রবীন্দ্রনাথ। লীলা ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী শুনে তাঁকে দায়িত্ব দিলেন বিশ্বভারতীর স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি পড়ানোর। টানা একবছর শান্তিনিকেতনে ছিলেন লীলা মজুমদার। সেইসময় পূর্ণিমাদেবীও যোগ দিলেন শান্তিনিকেতনে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬১: ‘বন্ধু’ তোমার পথের সাথী

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩৩: সুন্দরবনের এক অনন্য প্রাণীসম্পদ গাড়োল

এই আনন্দের মুহূর্তগুলি নিয়ে লীলা মজুমদার লিখেছিলেন, ‘এক বছরের গল্প’। এই সময় রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে ছিলেন লীলা মজুমদার। উত্তরায়ণের আড্ডা, রবি ঠাকুর লুচি সন্দেশের ভাগ পাওয়া, গুণী মানুষের সঙ্গে পরিচিতি, রবীন্দ্রনাথকে রান্না করে খাওয়ানোর মতো ঘটনার কথা অক্ষরের বাঁধনে বেঁধে রেখেছিলেন লীলা মজুমদার। শান্তিনিকেতনে ‘নটীর পূজা’ নৃত্যনাট্যে লীলা মজুমদার সেজেছিলেন ভিক্ষুণী উৎপলপর্ণা। শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথ লীলা মজুমদারকে গল্পের বই প্রকাশ করার কথা প্রথম বলেছিলেন। এরপর লীলা মজুমদারের আর অধ্যাপনা করতে ভালো লাগলো না। মনে হল অন্য কোনও কাজ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। রবীন্দ্রনাথও তখন পারস্য সফরে। তাঁকে জানিয়ে শান্তিনিকেতন থেকে চলে গেলেন লীলা। রবীন্দ্রনাথ বাধা দিলেন না। চিঠি লিখে অনুমতি দিলেন, সম্মান জানালেন লীলার মতামতকে। সে চিঠির অক্ষরগুলিও সম্পদ।

৭ পৌষ, ১৯৩৯ সালের চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘প্রতিদিনের কাজের টানা-হেঁচড়া গোলমালের মধ্যেআমাদের আশ্রমের আসন অখণ্ড থাকে না। মলিনও হয়, দুঃখও পাই। কিন্তু সেই কাজের বাইরে তুমি যে আসন পেয়েছ সে রইল তোমারি চিরকালের জন্যে। তোমার যখন অবকাশ, যখন খুশি, যদি আসো, দেখবে তোমার জন্য রয়েছে তোমার যথার্থ স্থান। ’শান্তিনিকেতনকে সত্যি ভালোবেসেছিলেন লীলা। অনেক বছর পর ১৯৫৩ সালে শান্তিনিকেতনে বাড়িও করেছিলেন।

লীলা মজুমদারের লেখায় আশ্চর্য মায়া রয়েছে। জাদুকরী মায়া!তাঁর গল্পের ভূতগুলোও অদ্ভুত। শীর্ষেন্দুর ‘ভালো ভূতের আগেই কিন্তু বাংলা সাহিত্যে লীলা মজুমদারের সুবোধ মিষ্টি ভূতেদের আগমন ঘটেছে। সেই আমলের মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের এক নস্টালজিক ছবি আঁকা আছে লীলা মজুমদারের সাহিত্যে। শীতের লেপকম্বলের ওম, ভাইবোনের খুনসুটি, রিহার্সাল, সব মিলিয়ে হইচই ছেলেবেলার বর্ণনা রয়েছে। ছোটবেলার কিছু বিস্মিত ভালোবাসা, অবুঝ ভয়, মনকেমনে ভরা এক দুনিয়া তৈরি করেছিলেন লীলা মজুমদার! যেন ক্যালাইডোস্কোপের ওপারের গল্প। সব ভালোর মনস্তত্ত্ব লীলা মজুমদার অনায়াসে শব্দের তুলিতে এঁকেছেন। শুধু একচিলতে মনখারাপ যেন বিপরীত রঙের শেড তৈরি করে আনন্দটিকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছিল লীলা মজুমদারের লেখায়।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩০: গিরীশচন্দ্রের মা সারদা

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৪৭: পলায়নপর পঞ্চপাণ্ডব-ভীমসেনের গতিময়তায় কোন মহাভারতীয় দিগদর্শন?

বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন লীলা মজুমদার। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এসেছিলেন নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে। সেদিন কলকাতায় প্রবল বর্ষণ, হাঁটুজল! এই প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে লীলা মজুমদার ও ড. সুধীরকুমার মজুমদারের বিয়ে ছিল ব্রাহ্ম হিন্দু বিয়ে। এই কারণে লীলার সঙ্গে সারাজীবনের মতো সম্পর্ক ত্যাগ করেছিলেন তাঁর বাবা প্রমদারঞ্জন রায়। এই বিচ্ছেদ বেদনা আজীবনের মনখারাপ হয়েছিল লীলা মজুমদারের জীবনে। তাঁর লেখাকে অনায়াসে ‘সুইটেসম্ট সঙ্গস’ —বলা যায়। নকিন্তু রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম হয়েও এই বিয়েতে সমর্থন জানিয়েছিলেন। লীলা মজুমদার নিজের ছেলের নাম রেখেছিলেন রঞ্জন।

একবার চন্দননগরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে লীলা মজুমদারের দেখা হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ মজা করেছিলেন, বলেছিলেন, ‘আমাকে নাম রাখতে বললে না?’ তারপর নিজেই প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন, ‘অবশ্য নাম তো আমার বইয়েই আছে। রথীন্দ্রনাথ প্রতিমাদেবীর মেয়ে পুপের বিয়েতে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা হয়েছিল লীলা মজুমদারের। তখন তাঁর গল্পের বইগুলি প্রকাশিত হচ্ছে। শেষ দেখা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুশয্যায়। এরপর ১৯৬১ সালে আকাশবাণীতে রবীন্দ্রশতবর্ষের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন লীলা। ‘এই যা দেখা’ এবং ‘কবিকথা’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬১ তেই। রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা নিয়ে ‘জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি’ নামে একটি বইও প্রকাশ করেছিলেন। ‘কবিকথা’ এবং ‘জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি’ র ইংরেজি অনুবাদও হয়েছিল।

রায়বাড়ির মেয়েটির সেই ম্যাজিক কলম জন্ম দেবে আশ্চর্য সব মজাদার চরিত্রের । তাঁর গল্পের পাকদণ্ডীতে টুপ করে ঝরে পড়বে জীবনদর্শন। হাসি ও কান্নার মেলবন্ধনে তৈরি হবে আধুনিক রূপকথা!শিশু মনে রঙিন প্রজাপতি ডানা ঝাপটাবে আর তার পাখায় পাখায় লেখা থাকবে লীলা মজুমদারের জাদুকরী অক্ষর।

ঋণ স্বীকার
রবীন্দ্রনাথ ও রায় পরিবার, প্রসাদরঞ্জন রায়
বঙ্গদর্শন পোর্টালে প্রকাশিত পিয়ালী বসুর লেখা ফিচার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
* ড. মহুয়া দাশগুপ্ত, শিক্ষক এবং লেখক। রবীন্দ্রনাথের দেবলোক, জোড়াসাঁকোর জার্নাল, আমি নারী আমি মহীয়সী, কথানদীর কূলে, লেডিজ স্পেশাল, পথে পুরুষ বিবর্জিত এবং পরীক্ষায় আসবে না তাঁর লেখা একক বই। বাংলা কথকতা নিয়ে একক ভাবে কাজ করছেন।

Skip to content