কার্তিকাকে দেখে তাঁর অন্য ভাইবোনেরা আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে চান।
কার্তিকা গহলৌত, নামে কোনও অসাধারণত্ব নেই। সাধারণ পরিবারে জন্ম কিন্তু কাজ বিশেষ। ২৩ বছরের এই তরুণী রাজস্থানের জুডিশিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন দিন রাত এক করে। চার ভাই-বোন, বাবা- মাকে নিয়ে তাঁদের সংসার। ছোট থেকেই তিনি তাঁর বাবাকে বিচারপতির গাড়ি চালাতে দেখেছেন। তাই কালো কোটের স্বপ্ন তাঁর আজন্ম লালিত। আর সেই স্বপ্নকে তিনি লক্ষ্যে পরিণত করেন। লক্ষ্যপূরণে বরাবর অবিচল থেকে যান।
আজ তিনি সফল। তাঁর বাবা রাজেন্দ্র গহলৌত বিগত ৩১ বছর ধরে রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির গাড়ি চালান। তাই ছোটবেলা থেকেই বিচারপতিদের কালো কোটের প্রতি তাঁর আকর্ষণ। আর সেই আকর্ষণকে তিনি তাঁর জীবনে বাস্তবায়িত করেছেন। রাজস্থান জুডিসিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষায় তাঁর নজরকাড়া সাফল্য এখন সকলের আলোচ্য।
আরও পড়ুন:
প্যারিস, ইউট্রেকট, আমস্টারডাম হয়ে ব্রাসেলস—স্বপ্নের ভ্রমণ ডেসটিনেশন/১
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ১৯: রাজ্যাভিষেকের অপেক্ষায় অধীর অযোধ্যাবাসী
যোধপুরের সেন্ট অস্টিন স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে সেখানকার জয় নারায়ণ ব্যাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইন পাশ করেন। তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি তাঁর পরিবারকে দিয়েছেন। তাঁকে দেখে তাঁর অন্যান্য ভাইবোনেরা আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে চান বলে তাঁর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।
রাজ্যে কার্তিকার র্যাঙ্ক ৬৬।
দেশের আইন সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য বলে কার্তিকা মনে করেন। তাই স্কুলস্তর থেকে পড়ুয়াদের আইনের পাঠ দেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া মেয়েদের বাবা-মায়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন যে, মেয়েদের এই পেশায় পাঠাতে তাঁরা যেন ভয় না পান। কারণ, মেয়েদের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার জন্য এই পেশা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন।