বুধবার ৩ জুলাই, ২০২৪


চন্দ্রাবতী অমর হলেন, তাঁর কষ্ট অমর হল।

আজ আলাপ পর্ব। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের একটি বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা শুরু করি। অনালোচিত ঠিক নয়, তুলনায় অল্প আলোচিত! ‘সরস্বতীর লীলাকমল’ একটি বিশেষ বিভাগ যেখানে মেয়েদের লেখিকা নয়, লেখক হওয়ার গল্প বলে যাব ধারাবাহিক ভাবে। আসলে সাহিত্যে বেশিরভাগ সময় মেয়েদের ‘বিষয়’ হিসেবে দেখা হয়েছে। মেয়েদের কষ্ট, নারী সৌন্দর্য, মেয়েদের ঘিরে ঘরে বাইরে যুদ্ধ ইত্যাদি।

কিন্তু আমরা বলব অন্য কথা। আমরা বাংলা সাহিত্যে নারীদের কলমগুলিকে চিহ্নিত করব এবং তাঁদের লেখকজীবনের গল্পকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। একটি মেয়েকে আমরা ‘লেখিকা’ বলে সংরক্ষিত ক্ষুদ্রায়তনের মধ্যে রাখব না। বাংলা সাহিত্যের বিরাট প্রাঙ্গণে— চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে শুরু করে জীবনানন্দ, সুনীল, শক্তি, শঙ্খ ঘোষের লেখক সাম্রাজ্যে যে চন্দ্রাবতী, রাসসুন্দরী, কামিনী রায়, লীলা মজুমদার, নবনীতা দেবসেনরাও রয়েছেন সে-কথা উচ্চারণ করব। এইসব লেখকরা কেউ লিখেছেন, কেউ লিখছেন! এখন তাঁদের লেখার গল্প আর লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার গল্পটা খুব সহজ নয়। সত্যিই নয়!

পুরুষ কবি লিখেছেন, ‘ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে, ঘৃণা করি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে’— কিন্তু ‘মেয়েমানুষ’ও ভালোবাসা ও ঘৃণা দুটি অনুভূতির মধ্য দিয়ে চলেছে সেই মাতৃতন্ত্র থেকে পুরুষতন্ত্র হয়ে! তাঁদের নিজেদের প্রকাশের ক্ষেত্র তৈরি হল অনেক ধীর লয়ে, লক্ষ্মীমন্ত পা ফেলে ফেলে। সাহসী প্রকাশ আরও অনেক অনেক পরে। তার আগে তাঁরা পুরুষের তৈরি চরিত্র হয়ে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। তাও বেশ সন্তর্পণে। নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে পুরুষের সৌন্দর্য দেখার প্রচলন মনসামঙ্গল চণ্ডীমঙ্গল হয়ে চৈতন্যচরিতামৃতেও দেখা যায়। কিন্ত লেখক? সেই পুরুষ! বৈষ্ণবদের মধ্যে সীতাদেবী, বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী, জাহ্নবাদেবী দীক্ষাদানের মতো গুরুত্ব পেলেও লেখক হিসেবে চন্দ্রাবতীর কথাই মনে পড়ছে প্রথম। রামভক্তিবাদের প্রতিকূলে দাঁড়িয়ে রামায়ণ লিখলেন চন্দ্রাবতী! বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি এবং প্রথম মহিলা রামায়ণের রচয়িতা। আজকের কথকতা তাঁকে নিয়েই।
গল্প করতে বসেছি তো, সেই জন্যই চন্দ্রাবতীর কথা আলোচনা করতে বসে মনে পড়ে যাচ্ছে আধুনিক কবি দেবারতি মিত্রের ‘দিগন্তের নীল’ কবিতার কয়েকটি শব্দ—‘আমাকে খাদের ধারে নিয়ে যাও—/ তারা দেখতে দেখতে যদি পড়ে যাই/ ভেঙেচুরে দিগন্তরেখার মতো উপচে উঠব।/ একটিমাত্র নীলে তুমি/ তুমিই সম্পূর্ণ হও।’ শব্দগুলির কেন্দ্রে একনিষ্ঠ প্রেম। অন্য পক্ষ একনিষ্ঠ নয় জেনেও স্বীকারোক্তির মতো এই উচ্চারণ। যদি বলি চন্দ্রাবতীর লেখক জীবনের অন্তরালেও সেই প্রেমের দাপট। মানবেন হয়তো। কারণ চন্দ্রাবতীর জীবনের গল্প অনেকেরই জানা। বাবা লেখক দ্বিজ বংশীদাস। মনসামঙ্গলের রচয়িতা। বাবার লেখার প্রতিভা মেয়েটি পেয়েছিলেন। এই হল বিজ্ঞানসম্মত সত্য। প্রতিভা থাকলেও মধ্যযুগে একটি মেয়ের লেখক হওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। সময়টা খেয়াল রাখুন— ষোড়শ শতক! মেয়েদের জন্য শিক্ষার আলো তখন সোনার পাথরবাটির মতোই দুর্লভ। দ্বিজ বংশীদাস কিন্তু মেয়েকে বড় করেছেন সরস্বতীর বরপুত্রী হিসেবেই। অক্ষরের সম্পদ মনের সিন্দুকে ভরাট ছিল বলেই চন্দ্রাবতী লেখক হলেন।

এছাড়াও চন্দ্রাবতীর জন্য জীবন আরেকটি অনুভূতি রেখে দিয়েছিল—কষ্ট! প্রেমিকের থেকে তীব্র আঘাত। নিজের বুকের ভিতর কষ্টপাখি ডানা না ঝাপটালে, ষোড়শ শতকের চন্দ্রাবতী কেমন করে আরও অনেক যুগ আগের অজানা অচেনা মেয়ের কষ্ট বুঝবে কেমন করে? চন্দ্রাবতীর রামায়ণ কিন্তু রামের থেকেও সীতার গল্প বেশি। নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা চন্দ্রাবতীর রামায়ণ সেইসময় নারী মনস্তত্ত্বের এক আশ্চর্য দলিল। রামায়ণ ছাড়াও চন্দ্রাবতী ‘দস্যু কেনারাম’ আর ‘মলুয়া’ পালা লিখেছিলেন। দুটি কাব্যই ময়মনসিংহ গীতিকায় খুঁজে পাওয়া যায়। চন্দ্রাবতী নাকি তাঁর বাবার লেখা মনসামঙ্গলের বেশ খানিকটাও লিখেছিলেন। চন্দ্রাবতীর রামায়ণ এখন পাওয়া যায় পূর্ববঙ্গগীতিকায়। তখনকার প্রখ্যাত গীতিকার নয়ানচাঁদ ঘোষ আবার চন্দ্রাবতীর জীবন নিয়ে একটি পালা লিখেছিলেন — ‘চন্দ্রাবতী’ নামে। অর্থাৎ চন্দ্রাবতী সেই সময়কার বেশ আলোচিত লেখক এবং চরিত্র।’
আরও পড়ুন:

দশভুজা: আমি আর কখনওই ফিরে আসার প্রত্যাশা করি না…

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২৫: মন বলে আমি মনের কথা জানি না!

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের শিক্ষিত পরিবারের একটি মেয়ে জীবনে একটিই ভুল করেছিল! জয়ানন্দ নামের এক তরুণকে ভালোবেসে। খুব সুন্দরী ও বিদুষী এই মেয়েটি তাঁর বাবা দ্বিজ বংশীদাসকে লেখার কাজে সাহায্য করতেন। রোম্যান্টিক মনের এই মেয়েটির মনে একজনই জায়গা করে নিলেন— জয়ানন্দ! একটি অনাথ যুবক, একই এলাকায় থাকতেন। ছোটবেলার দোসর, ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন মনের দোসর। প্রথমে চন্দ্রাবতীর জীবনের গল্পটা রূপকথার মতোই তরতরিয়ে এগোচ্ছিল। দ্বিজ বংশীদাস সেই আমলে মেয়ের প্রণয়ঘটিত বিয়েতে খুশি মনে মত দিয়েছিলেন।

চন্দ্রাবতী বিশ্বাস করেছিলেন তাঁর প্রেমিককে, যিনি বিশ্বাস শব্দটির অর্থই জানতেন না। জয়ানন্দ চন্দ্রাবতীর সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালীন একটি মুসলিম মেয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন এবং সেকথা চন্দ্রাবতীর কাছে গোপন করে যান। জয়ানন্দ ধর্মান্তরিত হন এবং চন্দ্রাবতীর মনে তীব্র কষ্ট দিয়ে মুসলিম মেয়েটিকে বিয়ে করেন। ঠিক এইখান থেকে শুরু হয় চন্দ্রাবতীর লেখক জীবন। বাবা মেয়ের সম্পর্কটিও দেখার মতো! বংশীদাস মেয়েকে কোনো দোষারোপ করলেন না। সময় নষ্ট না করে মেয়েকে দিলেন বিরাট এক কাজ! রামায়ণ লেখার কাজ। শিব পুজো এবং রামায়ণ লেখা এই দুটি কাজে মগ্ন হয়ে গেলেন চন্দ্রাবতী। জয়ানন্দের জন্য জীবনের সময় নষ্ট করলেন না। আজ এত বছর পরে মনে হয়, অক্ষরে মগ্ন হওয়া এেবং পুজোর কাজ সবচেয়ে বড় মেডিটেশন। বাবা মেয়েকে দুঃখ ভুলতে বললেন না, দুঃখকে কাজে লাগাতে বললেন। চন্দ্রাবতী অমর হলেন, তাঁর কষ্ট অমর হল।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭৪: চাঁদ ঢাকার কৌশল

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২১: শ্রীমার ঠাকুরের প্রতি যত্ন

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে এখনও সেই মন্দিরটি আছে। ফুলেশ্বরী নদীর তীরে এই মন্দিরটি এখনও বাংলার প্রথম মহিলা কবির জীবনের সাধনার স্মৃতি ধারণ করে আছে। এই মন্দিরে বসেই রামায়ণ লিখতেন চন্দ্রাবতী। রামায়ণ লিখতে বসে হয়তো নিজের মনের বেদনাও মিলিয়ে দিতেন। চন্দ্রাবতী ছদ্মবেশে নিজের জীবনের গল্পই বলতেন। অবিরল বয়ে চলা ফুলেশ্বরী নদী চন্দ্রাবতীর জীবন, যৌবন, প্রেম, প্রেম ও ব্যর্থতার গল্প জানে। সংসারে দারিদ্র্য ছিল, বাবা পালাগান গেয়ে বেড়াতেন গ্রামে গ্রামে। চন্দ্রাবতী নিজেকে ‘চন্দ্রা অভাগিনী’ বলে সম্বোধন করেছেন। আমরা বলব, দরিদ্র ঘরে জন্ম হয়েছিল বলে নয়, প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই চন্দ্রাবতী নিজেকে ‘অভাগিনী’ বলেছেন। ফুল তুলতে গিয়ে জয়ানন্দের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল চন্দ্রাবতীর। প্রথমে আড়াই অক্ষরের প্রেমপত্র দিয়েছিলেন জয়ানন্দ। যেমন হয় যুগে যুগে! যে মেয়েটিকে একসময় দেখে মনে হয় প্রেমিক পুরুষ তাকে ছাড়া বাঁচবেন না, একসময় তাঁকেই সম্পূর্ণ বিস্মৃত হতেও সময় লাগে না। চন্দ্রাবতীও পৃথিবীর অন্যসব মেয়েদের মতোই আবেগে ভেসে গেল।

তোমারে দেখিব আমি নয়ন ভরিয়া।
তোমারে লইব আমি হৃদয়ে তুলিয়া। ।
বাড়ির আগে ফুট্যারইছে মল্লিকা মালতী।
জন্মে জন্মে পাই যেন তোমার মতন পতি।
আরও পড়ুন:

চলো যাই ঘুরে আসি, অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পের পথে, পর্ব-২: দু’ চোখ ভরে স্বপ্ন পূরণের আনন্দাশ্রু, অদূরেই যে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প!

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৩: ‘সুরের পরশে’ তুমি-ই যে শুকতারা

তবে চন্দ্রাবতী জয়ানন্দের মতো অধৈর্য্য ছিলেন না। পিতার অনুমতি নিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি নেন। বিয়ের লোকাচার যখন শুরু হয়ে যায়, তখন খবর আসে জয়ানন্দ আশমানি নামে এক মুসলিম মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। জয়ানন্দের নাম হয়েছে জয়নাল। এই দুঃখ, এই অপমানটা চন্দ্রাবতীর একেবারেই প্রাপ্য ছিল না। শূন্য আঙিনায় প্রেম ও বিরহের আঘাতে অপমানিত, ক্ষুব্ধ একটি মেয়ে লিখতে শুরু করলেন। চোখের জলের মতো নির্গত হল অক্ষর। অক্ষর আর সময় তাঁর জ্বালা একটু জুড়ালো। শুধু চন্দ্রাবতী একটিই অনুরোধ করেছিলেন বাবার কাছে! চিরকাল কুমারী থাকার অনুরোধ। তখনই তৈরি হল শিবমন্দির। চন্দ্রাবতীর নিভৃতে লেখার জায়গা। চন্দ্রাবতীর রামায়ণ বেশ অন্যরকম। রাম সেখানে নরচন্দ্রমা অথবা বিষ্ণুর অবতার ঠিক নন। সীতা বরং কেন্দ্রীয় চরিত্র। এখানে সীতা আবার মন্দোদরীর সন্তান। সেই দিক থেকে রাবণ তাঁর পিতৃতুল্য।

সীতার জন্মবৃত্তান্ত দিয়েই চন্দ্রাবতীর রামায়ণের শুরু। তারপর সীতার বারোমাস্যার মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়েছে। চন্দ্রাবতীর লক্ষ্য ছিল সীতার বেদনার উপর। অগ্নিপরীক্ষার অপমানের থেকে পাতাল প্রবেশ বেশি সম্মানের মনে করেছেন সীতা। ওই মরণ রে তুঁহু মম শ্যামসমানের মতো ভাবনা। রাবণের রাজপ্রাসাদের বর্ণনা, সীতার গুরুত্ব, সরমার উল্লেখ পরে মাইকেল মধুসূদনের মেঘনাদ বধ কাব্যে পাওয়া যাবে। নবনীতা দেবসেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণকে সীতায়ণ বলেছিলেন। এই রামায়ণ ইংরেজিতে অনুবাদও করেছিলে। সাহিত্যিক কিন্তু সাহিত্য ছদ্মবেশে চরিত্র তৈরি করেন। চন্দ্রাবতী রামচরিত্রটিকে প্রেমিক, প্রতারক এবং কুটিল রাজনীতিজ্ঞ হিসাবে দেখিয়েছেন। তাহলে কি রামের আড়ালে মিশে রয়েছেন বিশ্বাসঘাতক জয়ানন্দ? মেয়েদের বিশ্বাস কিন্তু একবার ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগে না। জয়ানন্দকে স্বামী হিসেবেই মেনে নিয়েছিলেন চন্দ্রাবতী। তাই তাঁর সীতা যখন বলেন—

জনমদুখিনী সীতা গো দুঃখে গেল কাল।
রামের মতন পতি পাইয়া গো দুঃখেরই কপাল।।
তখন মনে হয় সীতা নয়, চন্দ্রাবতীই কথা বলছেন। রাম এখানে খল চরিত্র। সীতা ত্যাগের পর রামকে অভিশাপ দিচ্ছেন কবি চন্দ্রাবতী। হয়তো জয়ানন্দকে যা বলতে চাইতেন রামায়ণে তাই লিখেছিলেন। চন্দ্রাবতী রামায়ণে একটি বলিষ্ঠ নারীকণ্ঠ শোনা যায়। তথাকথিত দেবভক্তিবাদও দেখা যায় না। পুরুষ ব্রাহ্মণদের রামায়ণ কথনকে স্তম্ভিত হতে হয় চন্দ্রাবতীর কথনের কাছে।

কিন্তু চন্দ্রাবতীর জীবনের কাহিনির মতোই তাঁর রামায়ণও অসমাপ্ত। তার কারণও ওই নারী মন। জয়ানন্দ নাকি ভুল বুঝে ফিরে আসে। চন্দ্রাবতীর কাছে ফেরার আকুতি নিয়ে। চন্দ্রাবতী সারারাত মন্দিরের দরজা খোলেন না। জয়ানন্দ মন্দিরের দরজায় চিঠি লিখে যায়। ক্ষমা চায় আর বিদায় নেয় জন্মের মতো। তখন জয়ানন্দ বদ্ধ উন্মাদ। চন্দ্রাবতীর অভিমানও তীব্র। মন্দিরে মুসলমানের ছোঁয়াচ লেগেছে বলে মন্দির ধোয়ার জন্য নদীতে জল আনতে যান চন্দ্রাবতী। সেখানে গিয়ে দেখেন প্রেমিকের দেহ ভাসছে। চন্দ্রাবতী নাকি আত্মহত্যা করেন। মেয়েরা বুঝি হৃদয়ের আবেগের কাছেই নত থাকে। তাই রইল পড়ে অক্ষরের জপমালা, রইল রামায়ণ লেখার গৌরব এবং মূল্যবান জীবন! চন্দ্রাবতী মৃত্যুকেই বরণ করেন। ঠিক সীতা বা মলুয়ার মতো। তবু চন্দ্রাবতী বাংলার প্রথম মহিলা কবি এবং রামায়ণের প্রথম লেখক যিনি রামকে উপেক্ষা করে সীতায়ণ তৈরি করার সাহস দেখিয়েছিলেন। বেশিরভাগ পুরুষ কবি রামায়ণ লিখলেও বিভিন্ন অঞ্চলে মেয়েরা উৎসবে পার্ফবণে নিজেদের মতো করে রামায়ণের গল্প বলত। সেই সব গল্পে কিন্তু নারী প্রাধান্য। চন্দ্রাবতী যেন অগুনতি মেয়েদর মুখপাত্র হয়ে রামায়ণ রিক্রিয়েট করেছেন।—চলবে।

ছবি: লেখক ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

সহায়ক লেখা
প্রথম বাঙালি মহিলা কবি: চন্দ্রাবতী রামায়ণ ও জীবনকথা, লিপিকা ঘোষ
চন্দ্রাবতী —বাংলার প্রথম মহিলা কবি, বঙ্গদর্শন ইনফরমেশন ডেস্ক

সহায়ক বই
দেবীপক্ষ, ঈশা দেবপাল (সম্পাদনা)
দেবারতি মিত্রর শ্রেষ্ঠ কবিতা
* ড. মহুয়া দাশগুপ্ত (Mahua Dasgupta) শিক্ষক এবং লেখক। রবীন্দ্রনাথের দেবলোক, জোড়াসাঁকোর জার্নাল, আমি নারী আমি মহীয়সী, কথানদীর কূলে, লেডিজ স্পেশাল, পথে পুরুষ বিবর্জিত এবং পরীক্ষায় আসবে না তাঁর লেখা একক বই। বাংলা কথকতা নিয়ে একক ভাবে কাজ করছেন।

Skip to content