শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কি শেষমেশ আঘাত হানবে? এর উত্তর দিয়েছে হাওয়া অফিস। এ প্রসঙ্গে বুধবার হাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এলে তার আর খুব বেশি দেরি নেই। সপ্তাহান্তেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি সেরে নিতে হতে।
উপকূল সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবহবিদদের মনে করছেন ওড়িশা, তামিলনাড়ুর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি রয়েছে। বুধবার হাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে, তা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই হতে পারে।
আরও পড়ুন:

দহনকালের দুপুরেও সঙ্গম? শরীরের উষষ্ণতাও তো বাড়ন্ত! সুস্থ থাকতে কী করবেন?

কমবে হতাশা-দুশ্চিন্তা, মন ভালো রাখতে এই ঘরোয়া উপায়গুলি জেনে রাখুন

ঘূর্ণিঝড়ের দিন-ক্ষণ নিয়ে জল্পনা চললে আলিপুর আবহাওয়া দফতর কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও তারিখের কথা জানায়নি। যদিও মনে করা হচ্ছে, আগামী সোম থেকে বুধবার অর্থাৎ ৮ মে থেকে ১০ মে-র মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ শেষ পর্যন্ত আসবে কি না নিয়েই অনিশ্চয়তা আছে।
আরও পড়ুন:

হলুদ ট্যাক্সিচালকের ভূমিকায় দক্ষিণী মহাতারকা চিরঞ্জীবী, কলকাতায় ‘ভোলা শঙ্কর’ ছবির শুটিং?

ইংলিশ টিংলিশ: ‘নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারা’ বা ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’কে ইংরেজিতে কী বলে?

হাওয়া দফতরের বক্তব্য, বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তি সঞ্চার করলে তবেই তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর সেই নিম্নচাপ আদৌ আরও শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, সে দিকে নিরন্তর নজর রাখা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর এও জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বিশেষ মডেলে ওই ঘূর্ণাবর্ত অনেকটা শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আছড়ে পরুক বা না পড়ুক, আগামী শুক্রবার অবধি বাংলা জুড়ে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকবে।
আরও পড়ুন:

হজমশক্তি বাড়াতে রোজ কী ভাবে হলুদ খাবেন, সবথেকে বেশি উপকার পাবেন

স্বাদে-আহ্লাদে: চিকেন প্রিয়? তাহলে এমন হায়দরাবাদি চিকেনে জমিয়ে দিন দুপুর

বিশ্বের জনপ্রিয় এক কফির নামে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে। কেন কফিরে নামে ঘূর্ণিঝড়ের নাম তা নিয়ে বাঙালিদের মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ‘সিত্রং’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছিল তাইল্যান্ড। ঠিক তেমনই আরব সাগরের প্রান্তে অবস্থিত ইয়েমেন ‘মোকা’ নামটি দিয়েছে।

‘মোকা’ শব্দের আক্ষরিক কোনও অর্থ নেই। ইয়েমেনের বন্দর শহর ‘মোখা’ (উচ্চারণ মোকা)-র নামে নামকরণ করা হয়েছে। ১৯ শতক অবধি ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বন্দর ছিল এই মোখা। এখানে বিখ্যাত কফি ‘মোকা’র চাষ হয়। আর ওই কফির নামেই হয়েছে শহরের নাম। এই মোখা বন্দর দিয়ে বহু দেশে ‘মোকা’ কফি রফতানি করে ইয়েমেন।

Skip to content