শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

ঘূর্ণিঝড় মোকা বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে এগিয়েছে। শেষমেশ মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় হয়ে মায়ানমারের সিতওয়াতে আছড়ে পড়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাব পড়েনি। কেন? মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীতমুখী বেগ বা ‘অ্যান্টিসাইক্লোনিক সার্কুলেশন’-ই পশ্চিমবঙ্গের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীতমুখী বেগ বা ‘অ্যান্টিসাইক্লোনিক সার্কুলেশন’ বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। সেই ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীতমুখী বেগই ঘূর্ণিঝড় মোকার পশ্চিমের পথে বড় বাধার প্রাচীর দিয়েছে। তাই মোকা খানিক বাধ্য হয়েই বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে পশ্চিমের বদলে উত্তর এবং উত্তর-পূর্বে অগ্রসর হয়েছে। সে-কারণেই পশ্চিমবঙ্গে মোকার প্রভাব পড়েনি। যদিও সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:

বাস্তুবিজ্ঞান, পর্ব-১৮: বাস্তু মতে আপনার বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার কোন দিকে হওয়া উচিত?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৩: গগনেন্দ্রনাথের‌ ঘুড়ি ওড়ানো

এদিকে মায়ানমার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকা রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সিতওয়ার স্থলভূমিতে আছড়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে মৌসম ভবন জানায়, মায়ানমার উপকূলে রবিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ২টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোকা তাণ্ডব চালিয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:

রং ছাড়াই পাকা চুল হবে কালো, প্রতি দিন পাতে রাখুন এই ৪ খাবার

আলিয়া নন, রণবীর ফের জুটি বাঁধতে চলেছেন প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে! তিনি কে?

মায়ানমারে ঝড়বৃষ্টিতে টেলিকম টাওয়ার-সহ বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। লন্ডভন্ড অবস্থা। বিচ্ছিন্ন সিতওয়াতের বিদ্যুৎ পরিষেবা। মোকার প্রভাবে বাংলাদেশের কক্সবাজারে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Skip to content