শেষ চৈত্রে তীব্র দহনে জেরবার সারা রাজ্য। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সব জায়গায় তাপমাত্রার পারদ গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে গরম থেকে মুক্তি মিলবে না। এও বলা হয়েছে, রাজ্যের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে পারে! এই পরিস্থিতিতে গরম থেকে বাঁচতে নবান্ন একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে। বুধবার রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গরম থেকে বাঁচতে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়।
কী করবেন, কী করবেন না?
●রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে হয়, তাঁদের দুপরের মধ্যেই সব কাজ সেরে ফেলার কথা বলা হয়েছে।
●এ সময় শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই সমস্যা এড়াতে বার বার জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট মিশ্রিত পানীয় খাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
●এ সময় সানস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা রোদে কাজ করেন, তাঁদের কিছু সময় অন্তর ছায়ায় বিশ্রাম নেওয়ার কথাও এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
●রোদে বেরনোর পরে কারও যদি মাথা ঘোরে বা বমি পায় তাহলে দ্রুত ছায়ায় যেতে হবে। খানিক বিশ্রাম নিতে হবে এবং জল খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
●নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রবল গরমে অনেক সময় দহজম বা এই জাতীয় সমস্যা হয়। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে চা বা কফির মতো পানীয় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
●মদ্যপান না করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
●রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তি বয়স্ক, পোষ্য এবং শিশুদের রাখতে মানা করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
●এ সময় শরীরে জলের জোগান স্বাভাবিক রাখতে হবে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অল্প মিষ্টি দেওয়া শরবত, মরসুমি ফল, লস্যি এবং নুন-চিনি-লেবু মেশানো জল খাওয়ার কথা।
●তীব্র গরমে আচমকা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর পোশাক আলগা করে দিতে হবে। তারপর মাটিতে শোয়াতে হবে।
●অসুস্থ ব্যক্তি জ্ঞান হারালে দ্রুত হাসপাতাল বা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
●আগাম সতর্কতা হিসাবে হালকা রঙের সুতির পোশাক পড়তে হবে। ব্যবহার করতে হবে রোদ চশমা। আর বিশেষ ক্ষেত্রে দস্তানা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।