ছবি: প্রতীকী।
তীব্র তাপে জ্বলছে বাংলা। তার উপরে কাটা ঘায়ে নুন ছিটের মতো দেশের পশ্চিমাংশে ঘূর্ণিঝড় এবং দক্ষিণ-পূর্বে ঘূর্ণাবর্ত হাজির। এ সব কাটিয়ে বর্ষা কবে আসবে তাঁর কোনও ঠিক নেই। কারণ সব সম্ভাবনায় জল ঢালছে আরব সাগর এবং মায়ানমার সংলগ্ন সমুদ্র।
মঙ্গলবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, আরব সাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে তার নাম ‘বিপর্যয়’। এই নামকরণ করেছে বাংলাদেশের দেওয়া। ‘বিপর্যয়’ কোথায় কখন তাণ্ডব চালাবে, তা এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে আবহবিদরা আশঙ্কা করছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ বর্ষার উপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। যেমনটা বাংলায় বর্ষার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে মায়ানমারের উপকূলে থাকা একটি ঘূর্ণাবর্ত।
মঙ্গলবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, আরব সাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে তার নাম ‘বিপর্যয়’। এই নামকরণ করেছে বাংলাদেশের দেওয়া। ‘বিপর্যয়’ কোথায় কখন তাণ্ডব চালাবে, তা এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে আবহবিদরা আশঙ্কা করছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ বর্ষার উপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। যেমনটা বাংলায় বর্ষার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে মায়ানমারের উপকূলে থাকা একটি ঘূর্ণাবর্ত।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘মায়ানমারের ঘূর্ণাবর্ত অথবা আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় বাংলার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করবে না।’’ এদিকে মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জানান, পশ্চিমবঙ্গে আগামী শনিবার অবধি এরকম তীব্র গরম থাকবে। উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সে শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
‘আদিপুরুষ’-এর টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে, তবুও প্রেক্ষাগৃহে একটি বিশেষ আসন বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত, কিন্তু কেন?
অল্প দিনের আলাপে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই কেন পর্দার আনন্দ রাজেশকে বিয়ে করেন ডিম্পল?
স্বাভাবিক নিয়মে কেরলে বৃষ্টি ঢোকার কথা ১ জুন। সেখানে গতকাল পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। মৌসম ভবনের ইঙ্গিত অনুযায়ী, কেরলে আগামী দিন দুয়েকের মধ্যেও সেখানে বর্ষা শুরু হবে না। সাধারণত কেরলে মৌসুমি বায়ু প্রবেশের পর থেকে পূর্ব ভারতে পৌঁছতে খুব কম হলেও সপ্তাহখানেক সময় লাগে। তাই এই মুহূর্তের হিসেব বলছে বাংলায় অন্তত জুনের তৃতীয় সপ্তাহের আগে বর্ষা ধুকবে না।
আরও পড়ুন:
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১৪: অনন্তপ্রবাহিনী গঙ্গা, আকাশগঙ্গা, সুরলোক, হিমালয়— কোনটি তাঁর উৎস?
অজানার সন্ধানে: পাচার হয়েছিল টন টন সোনা ও দামি ধাতু! ৮৫ বছরের সেই ভূতুড়ে রেলস্টেশন এখন অভিজাত হোটেল
সময়ে বর্ষা না-হওয়ায় বাংলায় অসহনীয় গরম পড়েছে। তাপপ্রবাহ চলছে গাঙ্গেয় বঙ্গ এবং গৌড়বঙ্গের একাধিক জেলায়। ডুয়ার্স এবং উপকূলবর্তী এলাকাতেও প্রছণ্ড গরম। বাংলায় মঙ্গলবার সব থেকে বেশি তাপমাত্রার পারদ ছিল বাঁকুড়ায়। এদিন বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে মঙ্গলবার হুগলির আরামবাগ-সহ জেলার কোনও কোনও অংশে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে সল্টলেকেও। আবহবিদদে বক্তব্য, এ ভাবে স্থানীয় ভাবে কোনও কোনও এলাকায় ঝড়বৃষ্টি কারণ হল তীব্র গরম এবং জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে। হাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে এখনই সার্বিক স্বস্তির কোনও সম্ভাবনাই নেই।