ছবি: প্রতীকী।
মাসখানেক আগেই খোলা বাজারে টোম্যাটো দাম ছিল ৩-৫ টাকা কেজি। এখন তা সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। তবে শুধু টোম্যাটো নয়, লঙ্কা ও অন্যান্য আনাজেও আগুন লেগেছে। এখন সহজলভ্য আনাজ-সব্জি কিনতে গিয়েও ছেঁকা লাগছে আমজনতার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সুফল বাংলা বিপণির মাধ্যমে আমজনতার ব্যাগে ৮৯ টাকা কিলো দরে টোম্যাটো ভোরে দিতে উদ্যোগী হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনাজ-সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে আগেই একটি টাস্ক ফোর্স কমিটি তৈরি করেছিলেন। ওই টাস্ক ফোর্স কমিটি কাজ হল আচমকা আনাজ-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগী হওয়া। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে সেই টাস্ক ফোর্স বৈঠকে বসে। সেখানেই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সুফল বাংলা বিপণিতে শনিবার থেকে করলা, টোম্যাটো, ঢেঁড়স, পটল, বেগুন-সহ বিভিন্ন আনাজ কমপক্ষে ২০-২৫ শতাংশ কম দামে বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩: সুন্দরবনে মানুষের আদি বসতি
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-২৪: অর্কের একটা কথায় বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন সানন্দা
সুফল বাংলায় টোম্যাটো মিলবে ৮৯ টাকায়। খুচরো বাজারে করলা বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকায়। এখানে কেজি প্রতি দাম ৬৫ টাকা। বাজারের থেকে কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে পাওয়া যাবে পটল। ৭০ টাকায় মিলবে বেগুন। বাজারে বেগুনের দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি। ঢেঁড়স পাওয়া যাবে ৪৫ টাকায়। খোলা বাজারে দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা করে।
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৮: মনে পড়ে পঞ্চমের কণ্ঠে শোলে ছবির সেই বিখ্যাত ‘মেহবুবা মেহবুবা…’ গানটি?
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৩: ব্যা ব্যা ব্ল্যাক শিপ
সরকারি সূত্রে খবর, এ বছর টোম্যাটোর উৎপাদন বেশ কম হয়েছে। অতিরিক্ত গরম এবং বর্ষা দেরিতে আসাই কম উতপাদনের মূল কারণ। সে-কারণে টোম্যাটোর দাম বেড়েছে। আমাদের রাজ্যে আনাজ আসে মূলত কর্নাটক থেকে। সেই রাজ্যেই আনাজের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। এর জেরে কয়েক দিনের মধ্যেই খোলা বাজারে আনাজের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।