শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী। সংগৃহীত।

কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার রাত থেকেই। আজ বুধবারও আকাশের মুখ ভার। ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। তবে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে হাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, কলকাতা-সহ হাওড়া এবং নদিয়া জেলার বিক্ষিপ্ত এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় সারা দিন জুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির জেরে নিচু এলাকায় জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে রাস্তার যানজটের সম্ভাবনাও থাকছে।
পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে বাংলায় আরও কয়েক দিন দুর্যোগ চলবে বলে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া দফতর এও জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। কোনও কোনও এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’ দিনই বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সমুদ্রে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবার মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৪: সারদা মায়ের বিশ্বাসে জাগ্রতা হল দেবী সিংহবাহিনী

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৯: যত সুর সবই তোমার…

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
আরও পড়ুন:

১০ বছর বয়সেই পর্নোগ্রাফি সাইটে ফাঁস শ্রীদেবী-কন্যা জাহ্নবীর ছবি, স্কুলেও চরম হেনস্থার শিকার হন নায়িকা

ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন? এর ফলে শরীরে কি কোনও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে?

একটানা বৃষ্টির এবং জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার জন্যে সাতটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, হাওড়া এবং হুগলির জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার নবান্ন বিবৃতিতে জারি করে বলেছে, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় বৃষ্টি হয়েছে। ৩৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলায়। এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৪৬৭টি ত্রিপল বিলি করা হয়ে গিয়েছে।

Skip to content