শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কর্মচারী সংগঠনগুলির মামলা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। এর মধ্য নতুন ইংরেজি বছরে ফের ডিএ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের অর্থ দফতর। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা ডিএ নিয়ে সরকারের এই উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন।
শোনা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কিছুটা ডিএ দেওয়া হতে পারে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হয়েছে। রাজ্য সরকার সে বছর ডিএ দেয়নি। রাজ্য ৩% ডিএ দিয়েছে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারিতে। ২০২২ সালে ডিএ-র কিস্তি ঘোষণা করেনি রাজ্য। আধিকারিকদের কথায়, অতীতের মতো এ বারও জানুয়ারিতে একই পরিমাণ ডিএ দিতে পারে নবান্ন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেউই সরকারি ভাবে মুখ খুলতে চাননি।
আরও পড়ুন:

কিম্ভূতকাণ্ড, পর্ব-১: পোড়া গাছের ডাল থেকে নেমে এল সে! ভাটার মতো সবজে চোখ, ধোঁয়াটে শরীর…

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৩: আশা-যাওয়ার পথের ধারে ‘নবীন যাত্রা’ [১১/০৯/১৯৫৩]

অর্থ দফতরের একাংশের বক্তব্য, নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশ চালুর আগে প্রতি কিস্তি ডিএ দিতে রাজ্য সরকারের মাসে খরচ হতো প্রায় ২৫ কোটি টাকা। এর জন্য বছর সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লাগত। কিন্তু নতুন বেতন-কাঠামোয় প্রায় ৬৪ কোটি টাকা লাগবে মাসে এক শতাংশ ডিএ দিতে। আর বছরে সেই অঙ্কটা দাঁড়াবে ৭৭১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:

ফেসবুক প্রোফাইলে ১ ডিসেম্বর থেকে ব্যবহারকারীদের এই তিনটি তথ্য দেখা যাবে না, কী কী জানেন?

ট্রেনের টিকিট ‘কনফার্ম’ না হলে একেবারে বিনামূল্যে বিমানের টিকিট পাবেন যাত্রীরা! কোন অ্যাপে, কীভাবে পাবেন?

আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজ্যের কোষাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় রাজ্যের পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের মতো বছরে দু’বার করে ডিএ দেওয়া কার্যত সম্ভব নয়। তাই মামলা চলাকালীন রাজ্য ফের কিছুটা ডিএ দিয়ে এমন বার্তা দিতে পারে যে, আর্থিক পরিস্থিতির জন্য সরকার চালু পদ্ধতিতেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে আগ্রহী। এদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে নবান্নের কী অবস্থান হবে, তা এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরেই নির্ভর করছে।
প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের কথায়, এখনই কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া বা বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, শীর্ষ আদালতে চলা মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। সে কারণে এত দিন রাজ্য সরকার যে নিজস্ব পদ্ধতিতে ডিএ দিত, সেই পথে তারা হাঁটতে পারে।

Skip to content