সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


শনিবার থেকে চালু হয়েছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পথ চলা। এই ট্রেনে মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টায় পুরী পৌঁছে যাওয়া যাবে। হাওড়া-পুরীর এই সাড়ে ৬ ঘণ্টার যাত্রায় লোভনীয় খাওয়াদাওয়ার আয়োজন থাকবে। যাত্রীদের পাতে কী কী থাকবে ভারতীয় রেল তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।

রেল জানিয়েছে, বন্দে ভারতে সাধারণ এবং এগজিকিউটিভ ক্লাস — এই দু’টি শ্রেণি থাকবে। বন্দে ভারতে হাওড়া থেকে পুরী যেতে চেয়ার কারে ১২৬৫ টাকা করে খরচ পড়বে। এগজিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া লাগবে ২৪২০ টাকা করে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মোট ১৬টি কামরা থাকবে। হাওড়া থেকে পুরী যাওয়ার পথে এই ট্রেন থামবে খড়্গপুর, বালেশ্বর, ভদ্রক, জাজপুর, কেওনঝড়, কটক, ভুবনেশ্বর এবং খুরদা রোড স্টেশনে। যাত্রীরা আগামীকাল বুধবার থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে পারবেন।
রেল জানিয়ে দিয়েছে, ২২৮৯৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়বে। দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে পুরী পৌঁছবে। বন্দে ভারত ওই দিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুরী থেকে ছাড়বে। হাওড়া রাত ৮টা ৩০ মিনিটে পৌছবে। অর্থাৎ, চাইলে একই দিনে পুরী গিয়ে ঘুরে আসা সম্ভাব। হাওড়া থেকে পুরী মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টাতেই পৌঁছনো যাবে।
আরও পড়ুন:

শম্ভু, শম্ভু, শিব মহাদেব শম্ভু, খুদার ইবাদত যাঁর গলায় তাঁর আর কাকে ভয়?

রেল জানিয়েছে, যাত্রাকালে যাত্রীদের একের পর রকমারি খাবার পরিবেশন করা হবে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মেনুতে প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ বা সন্ধ্যার মুখরোচক খাবারদাবার সবই সাজানো থাকছে।

আইআরসিটিসির অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, এইচআর তথা পিআর মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, একজিকিউটিভ ক্লাসে চার ধরনের মেনু রয়েছে। যাত্রীদের এক এক দিন এক ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে। তবে আইআরসিটিসি-ই ঠিক করবে কী কী খাবার পরিবেশন করা হবে। যাত্রীদের মেনু বাছাইয়ের কোনও রকম সুযোগ থাকছে না। যদিও বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকবে জৈনদের জন্য।

এই ক্লাসে প্রথম মেনুর প্রথমেই রয়েছে চা, কফি, গ্রিন টি বা লেমন টি। সঙ্গে টি ব্যাগও থাকবে। এর সঙ্গে থাকবে দুধ, চিনি বা গুড় বা সুগার ফ্রি, বিস্কুট বা কুকিজের বন্দোবস্ত।

প্রাতরাশে মুসলি বা কর্নফ্লেকস বা ওটস বা চকোস বা রাগি বাইটসের স্বাদ নেওয়া যাবে। এর সঙ্গে চিনি বা গুড় বা মধু এবং গরম বা ঠান্ডা দুধ থাকবে। পাবেন চারটি লুচি, আলুর দম বা ছোলার ডালও। আর আছে, এ সময় ২টি ভেজিটেবল কাটলেট এবং দই-ও যাত্রীদের পরিবেশন করা হবে।
আরও পড়ুন:

গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!

আমিষাশী জন্য পাবেন ভেজ কাটলেটের পরিবর্তে ডিমের অমলেট, আপেল, কলা বা কমলা লেবু। প্রাতরাশের মেনুতে থাকবে একটি ব্রাউনি বা ডিম ছাড়া মাফিন বা ফ্রুট কেক বা ওয়ালনাট কেক। সঙ্গে গরমাগরম চা বা কফি। প্রাতরাশের পর যাত্রীদের টমেটো স্যুপ পরিবেশন করা হবে।

নৈশভোজ বা মধ্যাহ্নভোজে যাত্রীদের পাতে থাকবে একটি পিস পোলাও, বান পাউরুটি বা ক্রোয়াশোঁ, ২টি ত্রিকোণ পরোটা, মটর পনির বা ডালমা, মুগের ডাল, ভেন্ডি কুরকুরি। আমিষাশীদের পনির বা ডালমার বদলে চিকেন কষা দেওয়া হবে। সঙ্গে সাদা বা মিষ্টি দই, আইসক্রিম, ছানা পোড়া বা ক্ষীরকদম থাকবে।

পুরী থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যাবেলা এগজিকিউটিভ যাত্রীদের পাতে থাকবে শিঙারা, চিজ স্যান্ডউইচ, বাদাম বা নারকেলের চিক্কি বা ক্যারামেল পপকর্ন। এছাড়াও থাকবে চানাচুর বা আলুর ভুজিয়া বা ঝালমুড়ির প্যাকেট, চা বা কফি বা লেমন টি বা বা গ্রিন টি।

অন্য ধরনের মেনুতে মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে চিকেন কষার পরিবর্তে চিকেন রোস্ট বা মাছের ঝোল থাকতে পারে। আবার লুচির পরিবর্তে পরোটা থাকতে পারে প্রাতরাশে।

Skip to content