শনিবার ৬ জুলাই, ২০২৪


জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে মিলল ‘কুবেরের ধন’! বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা, গুজাম এবং চালকল থেকে। গতকাল বুধবার থেকে আয়কর দফতর জাকিরের বিড়ি কারখানা-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, এখন পর্যন্ত তল্লাশি অভিযানে ১৫ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে আয়কর দফতর সূত্রে। আয়কর দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১৫ কোটি টাকার মধ্যে ৯ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে কেবলমাত্র একটি জায়গা থেকেই। বাকি ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে গোডাউনে হানা দিয়ে।
আরও পড়ুন:

সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, সোমবার বিচারপতি রায় ও বিচারপতি মাহেশ্বরীর বেঞ্চে শুনানি

জমাটি শীত কি এখনই উধাও! উত্তুরে হাওয়ার দাপটও ক্রমশ কমছে, পারদপতন নিয়ে হাওয়া দফতর কী বলল?

আয়কর দফতর সূত্রে এও খবর, তল্লাশি চলছে কলকাতা এবং মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে মোট ২৮টি জায়গায়। বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও জানানো হয়েছে। আয়কর হানা নিয়ে বুধবার জাকির বলেছিলেন, ‘‘আয়কর দফতর আসতেই পারে। তবে আসার পদ্ধতিটা অন্যরকম হওয়া প্রয়োজন ছিল। এ ভাবে অভিযান হবে আমরা আশা করিনি। এখানে আধাসেনাও নিয়ে আসা হয়েছে। আমি তো আর অপরাধী নই। আমি এক জন ব্যবসায়ী এবং বিধায়ক। গত ২৩ বছর ধরে আয়কর দিয়ে আসছি।তাঁরা সামাজিক ভাবে আসতে পারতেন। আমাকে সময় পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমাদের সর্বক্ষণের জন্য হিসাবরক্ষক থাকেন না। এটা হেনস্থা করা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’
ব্যবসায়ীর বাড়িতে নানা কারণে নগদ অর্থের দরকার পড়ে। তাঁকে আগে থেকে আয়কর দফতর জানালে তিনি সব হিসাব দিতে পারতেন। আয়কর হানা এরকম ব্যাখ্যাই দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন:

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-২: অনন্তের সন্ধান আর সেই দরজার তালা ও চাবি তো তাঁর কাছেই রাখা আছে

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৩৭: মাছ বাজারের বর্জ্যই এখন মূল্যবান সামগ্রী প্রস্তুতের অন্যতম সেরা উপাদান হতে চলেছে

আয়কর দফতরের আধিকারিকরা বুধবার দুপুর নাগাদ জাকিরের সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি কারখানা, শিব বিড়ি এবং বিজলি বিড়ি কারখানায় হানা দেন। কারখানার চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে বিএসএফ জওয়ানরা। তার পর তল্লাশি অভিযান চলে। আধিকারিকরা বিড়ি কারখানাগুলির নথিপত্র খতিয়ে দেখেন।

Skip to content