বুধবার ৩ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

এখনই মিলবে না স্বস্তি। জানিয়ে দিলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এমনকি, হাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আগামী কয়েকটা দিন তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে আবহবিদেরা সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার বেসজ কিছু জেলায় আগামী ৫ দিন তীব্র দাবদাহ চলতে পারে।

আবহবিদেরা এও জানিয়েছেন, তীব্র দহন জ্বালা থেকে রক্ষা পেতে ওই ৫ দিন আমাদের ঠিক কী কী করতে হবে। সোমবার বাংলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি। এই তাপমাত্রা ছড়েছিল পুরুলিয়াতে। সোমবার বিকেলে হাওয়া দফতর বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করে। সেই বুলেটিনে বলা হয় উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় ৫ জুন সোমবার থেকে ১০ জুন শনিবার পর্যন্ত তীব্র দাবদাহ চলবে। এও বলা হয়েছে, সে সময় তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে শুষ্ক গরম হাওয়া বইবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, সোমবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ চলতে পারে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৭ জুন অর্থাৎ বুধবার থেকে ১০ জুন অর্থাৎ শনিবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের সঙ্গে হাওড়া এবং হুগলিতেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা না থাকলেও অস্বস্তিকর গরম থাকবে।

যদিও কলকাতায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। বুধ এবং বৃহস্পতিবার নাগাদ শহরে বৃষ্টি হতে পারে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, কলকাতায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমবে না। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রি ছিল। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও দু’-এক ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে হাওয়া দফতর জানিয়েছে।

আজকের বুলেটিনে সোমবার থেকে শনিবার অবধি আলিপুর আবহাওয়া দফতর রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:

দশভুজা: তিনি ‘অরণ্যের বিশ্বকোষ’, ৭৯ বছর বয়সেও পরিবেশ সংরক্ষণে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন তুলসী

বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: কাশিতে জেরবার? আয়ুর্বেদে রয়েছে কাশি থেকে বাঁচার সহজ উপায়

 

কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?

অসহনীয় তাপমাত্রার পারদ বাড়তে পারে।
সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাইরে বা রোদে থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত গরমের জন্য শরীরে ব্যথা, গায়ে র্যামশও বেরোতে পারে
আট থেকে আশি যাঁদের দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগছেন তাঁদের সমস্যা হতে পারে।
যাঁদের একটানা দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থেকে ভারী কাজ করতে হয়, তাঁদের নানা সমস্যা হতে পারেন।
এই অসহনীয় গরম সাধারণ মানুষ হয়তো সহ্য করতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হবে যাঁদের বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। অথবা এম্ন অনেকে রয়েছেন যাঁরা গরম সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের সমস্যা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:

অমিতাভ-দিলীপ কুমার-রাজেশ খান্নার পর্দার মা পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত অভিনেত্রী সুলোচনা লাতকর প্রয়াত

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৮: জীবনে উন্নতি করতে হলে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গেই আপনাকে থাকতে হবে

 

কী ভাবে সমস্যা এড়াবেন?

দুপুরের দিকে, চড়া রোদে ভারী কাজ করার দরকার নেই। বরং ভারী কাজ দিনের যে সময়ে কম তাপমাত্রা থাকে, সেই সময়ে করে নিলে ভালো হয়।
হালকা রং ও হালকা কাপড়ের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরতে হবে।
ওআরএস প্রয়োজন মতো খান। অথবা বাড়িতে তৈরি পানীয় যেমন লস্যি, লেবু জল, ঘোল ইত্যাদি এ সময় খাওয়া যেতে পারে।
যাঁদের বাইরে বেরিয়ে কাজ করতেই হ্যম তাঁদের বিশ্রামের সময় বাড়াতে হবে। তেমন প্রয়োজনে হলে কিছু ক্ষণ অন্তর বিশ্রাম নিয়ে তাপ পরে কাজ করতে হবে।
যখনই বাইরে বেরোবেন, তখন অবশ্যই কাপড়, টুপি, ছাতা দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।
একটানা অনেকক্ষণ রোদে থেকে কিছুক্ষণ অন্তর বিশ্রাম নিন।
যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা এমন কর্মীদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।
আপনার যদি তেষ্টা নাও পায়, তাহলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান করুন।
সব সময়ই চেষ্টা করতে হবে যাতে সরাসরি রোদে না থাকতে হয়।
সতর্কতার সঙ্গে বুঝতে হবে হিট ক্র্যাম্প, হিট স্ট্রোক অথবা হিট র্যা শের উপসর্গকে। এক্ষেত্রে সাধারণত, দুর্বলবোধ হতে পারে। কারও কারও মাথা ঘুরতে পারে। হতে পারে মাথায় যন্ত্রণাও। সঙ্গে প্রবল ঘাম, গা-বমি ভাব, ফিট হওয়ার মতো লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে। এমন উপসর্গ দেখা দিলেই সময় নষ্ট না করে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


Skip to content