বুধবার ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪


রাজ্যের ডিএ মামলা শীর্ষ আদালতের শুনানির তালিকায় উঠছে। প্রায় তিন মাস পরে সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে। রাজ্যের ডিএ মামলা এর আগে মামলাটি ১১ বার শুনানির জন্য উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, ৬ নম্বর কোর্টের যে মামলার তালিকা তৈরি হয়েছে ডিএ মামলা তার ৬০ নম্বরে রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট শেষ বার শুনানিতে ডিএ মামলা দীর্ঘ শুনানির করার কথা জানিয়েছিল। এদিকে, মামলাকারীদের আশা, এ বার হয়ত শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সোমবারে ডিএ মামলায় কোনও ভালো খবর পাওয়া যেতে পারে! সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে রাজ্যের ডিএ মামলা উঠেছিল ২০২২ সালে ১৮ নভেম্বরে।
আরও পড়ুন:

মুভি রিভিউ: ‘সজনী শিন্ডে কা ভাইরাল ভিডিয়ো’ সামাজিক বার্তা দেয়

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় জেরবার? ডায়েটে বদল আনলেই হবে মুশকিল আসান

মামলাটি শেষ বার শুনানি হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, মামলাটি এখনও পর্যন্ত ১১ বার শুনানি হয়েছে। শীর্ষ আদালত মনে করছে, ডিএ মামলায় আরও বিস্তারিত শুনানি রয়েছে। গত বছর ৩ নভেম্বর বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে জানায়, ডিএ মামলার আরও বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন আছে। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে আবার রাজ্যের ডিএ মামলাটি শুনানির জন্য আসবে। সেই মতো অনুযায়ী সোমবার শুনানির তালিকায় এসেছে মামলাটি।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩৪: সুন্দরবনের মৃত ও মৃতপ্রায় নদী

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৪৮: রামায়ণে বনবাসযাপন সিদ্ধান্তে অনমনীয়া সীতার কণ্ঠে কী আধুনিকতার সুর?

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। ২০২২ সালের ২০ মে উচ্চ আদালত ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আদালত তার নির্দেশে জানিয়েছিল, রাজ্যকে কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। শেষমেশ ডিএ মামলায় সরকারি কর্মীদের কনফেডারেশন, ইউনিটি ফোরাম এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদের জয় হয়।
যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। ২৮ নভেম্বর প্রথম শুনানি হয়। রাজ্য সরকারের হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙঘভি। সিঙঘভি শীর্ষ আদালতে জানান, কলকাতা হাই কোর্টের রায় মেনে রাজ্য সরকারকে ডিএ বাবদ প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের পক্ষে এই আর্থিক বোঝা বহন করা কষ্টকর। রর পর থেকে শীর্ষ আদালতে একের পর এক তারিখ দেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়।

Skip to content