সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


জানুয়ারি মাসের শেষ মানেই মনে একটা ফুরফুরে আমেজ। স্কুলের পাশের মাঠে সাজো সাজো রব। চারিদিকে রাশি রাশি বাঁশ, আর সেই দৃশ্যই মন ভালো করে দেয়! মেলার মাঠের স্টল তৈরির শুরু যে! বাণীপুর মেলা! পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা! আর আমার স্কুল প্রায় সেই মেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত!
কর্মসুত্রে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বৃহত্তম মেলাটি দেখার সৌভাগ্যও কিন্তু আমার হয়েছে —কোচবিহারের রাসমেলা। কিন্তু এই রকমভাবে প্রায় মেলার কেন্দ্রস্থলে থাকার সৌভাগ্য কিন্তু কোচবিহারে হয়নি। মাইকে মেলার অনুষ্ঠানের ঘোষণায় শুধু ছাত্রছাত্রীদেরই নয়, আমাদেরও মন যেন উচাটন হয়ে যায়!
আরও পড়ুন:

মাধ্যমিক ২০২৩: একটু সতর্ক হলেই অঙ্কে লিখিত পরীক্ষায় ৯০তে ৯০ পাওয়া সম্ভব

মাধ্যমিক ২০২৩: ইতিহাসে বেশি নম্বর পেতে অবশ্যই এই প্রশ্নগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দাও

এই মেলা কিন্তু নিজস্ব বৈশিষ্টে স্বকীয়। সার্বিক বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে এই মেলায় থাকে নানারকম খেলা, ব্রতচারী, ছাত্রদের তৈরি মডেল প্রদর্শনী, কৃষি প্রদর্শনী, ক্যুইজ এবং নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হস্তশিল্পের সম্ভার তো রয়েছেই, এছাড়াও আছে নানান বাসনপত্র, খেলনা, শাড়ি, আচার, বড়ি এমনকি কাঠের আসবাবপত্র থেকে সোনার গয়না পর্যন্ত। জিভে জল আনা ফুচকা, ভেলপুরি, ঘুঘনি, চাউমিন, চিকেন পকোড়া থেকে শুরু করে জিলিপি, গজা, ল্যাংচা — সবই আছে মেলার মেনুতে।
এই বছর বাণীপুর লোক উৎসব ৬৭ এ পা দিয়েছে। গত দু’বছর কোভিডের করাল গ্রাস গিলে নিয়েছিল মেলাকে। দু’বছরের বিরতির পরে আবার নব কলেবরে সেজে উঠেছে লোক উৎসব। মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়। দোকানীদের মুখে তৃপ্তির হাসি, অবশেষে মন্দা কাটিয়ে আবার বিকিকিনির দিন ফিরে এসেছে যে!
* ক্লাসরুম-ইংলিশ টিংলিশ (Classroom-English Tinglish) : পর্ণা চৌধুরী (Parna Chowdhury) ইংরেজির শিক্ষিকা, গভঃ বেসিক কাম মাল্টিপারপাস স্কুল, বাণীপুর

Skip to content