শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


চন্দ্রাবতীর জন্য জীবন আরেকটি অনুভূতি রেখে দিয়েছিল—কষ্ট! প্রেমিকের থেকে তীব্র আঘাত। নিজের বুকের ভিতর কষ্টপাখি ডানা না ঝাপটালে, ষোড়শ শতকের চন্দ্রাবতী কেমন করে আরও অনেক যুগ আগের অজানা অচেনা মেয়ের কষ্ট বুঝবে কেমন করে? চন্দ্রাবতীর রামায়ণ কিন্তু রামের থেকেও সীতার গল্প বেশি। নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা চন্দ্রাবতীর রামায়ণ সেইসময় নারী মনস্তত্ত্বের এক আশ্চর্য দলিল। রামায়ণ ছাড়াও চন্দ্রাবতী ‘দস্যু কেনারাম’ আর ‘মলুয়া’ পালা লিখেছিলেন। দুটি কাব্যই ময়মনসিংহ গীতিকায় খুঁজে পাওয়া যায়। চন্দ্রাবতী নাকি তাঁর বাবার লেখা মনসামঙ্গলের বেশ খানিকটাও লিখেছিলেন। চন্দ্রাবতীর রামায়ণ এখন পাওয়া যায় পূর্ববঙ্গগীতিকায়। তখনকার প্রখ্যাত গীতিকার নয়ানচাঁদ ঘোষ আবার চন্দ্রাবতীর জীবন নিয়ে একটি পালা লিখেছিলেন — ‘চন্দ্রাবতী’ নামে। অর্থাৎ চন্দ্রাবতী সেই সময়কার বেশ আলোচিত লেখক এবং চরিত্র।’

Skip to content