৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ কোকোয়া সমৃদ্ধ চকলেটকে ডার্ক চকলেট বলা হয়। ডার্ক চকলেট সত্যি একটি জাদুকরি গুণের অধিকারী। বিশেষ করে ভালো মানের ডাক চকলেটে প্রচুর পুষ্টি উপাদান আছে। এতে মূলত আয়রন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।
ডার্ক চকলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে সক্রিয় জৈব উপাদান আছে। ডার্ক চকলেটে প্রধানত পলিফেনাল ও ফ্ল্যাভানল থাকে, যে সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে রোধ করে ক্যানসার রোধে সাহায্য করে।
চকলেটের ইতিহাস প্রায় ৩০০ বছর পুরোনো। গ্রীষ্মমন্ডলীয় দক্ষিণ আমেরিকার নিম্নভূমির স্থানীয় উদ্ভিদ কোকো অন্তত তিনশো বছর মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোতে চাষ করা হচ্ছে। এর ব্যবহারের সবচেয়ে পুরনো লিখিত প্রমাণ হল ১১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপে চিকলেটের কদর বহুগুণ বেড়ে যায়। ১৮৬৮ সালে প্রথম ক্যাডবেরি চকলেট ইংল্যান্ডের বাজারে আসে।
আলোচনা করেছেন সুতনুকা পাল, পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।