কাদের ভয় বেশি?
কো-মর্বিডিটি থাকলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে এই রোগে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। যেহেতু করোনার কারণে শিশুরা প্রায় দুই বছর ঘরবন্দি ছিল, তাই বাইরে আলো বাতাস বা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলা তাদের মধ্যে খুব একটা গড়ে ওঠেনি। এক কথায় বলা যেতে পারে, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালোভাবে তৈরি হয়নি। আর সেই কারণেই তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি হল ওদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা। অ্যাডিনোভাইরাস খুব সাধারণ একটি ভাইরাস। এই রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই খুব সহজেই সেরে ওঠেন। তবে এর প্রকটতাও কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুব বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, যে শিশুদের বয়স দু’বছরের কম, তাদের ক্ষেত্রে ভয় বেশি। বয়স এক বছরের কম হলে আরও বেশি ঝুঁকি। ভীষণ সাবধানে রাখতে হবে। বড়দের জ্বর-সর্দি-কাশি, গলাব্যথা হলে শিশুদের থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ, বড়দের থেকেই অ্যাডিনোভাইরাস শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস শিশুদের মূলত ফুসফুস এবং শ্বাসনালি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আরও ভয়ের হল সাধারণ সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্টে বদলে যে সময় লাগছে দু’দিনও। তাই এ সময়ে ছোট থেকে বড় সকলেই প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। খাওয়ার পাতে কী কী রাখতেই হবে?
আলোচনা করেছেন সুতনুকা পাল, পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।