শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

জমি বা প্লট আকারে বড় হলে ভালো কিন্তু বর্তমান যুগে জমিও দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছে৷ শুধু শহর নয়, গ্রামেরও জমির দাম আকাশছোঁয়া৷ সুতরাং, বাধ্য হয়েই বেশিরভাগ মানুষকে মাঝারি বা ছোট জমি সংগ্রহ করতে হচ্ছে৷ মানুষের যেমন বিভিন্ন আকৃতি হয়, জমিও তেমনই বিভিন্ন আকারের হয়৷

আয়তাকার জমি
জমি যদি চৌকো না হয়ে আয়তাকার হয় এবং উত্তর-দক্ষিণ দিকের চেয়ে পূর্ব-পশ্চিম দিকটা বেশি প্রসারিত হয় (যেমনটি চিত্রে দেখানো হয়েছে), এ ধরনের জমি ভালো৷ তবে আয়তাকার জমিতে চওড়া ও লম্বার অনুপাত ১ : ২-এর সীমা যেন ছড়িয়ে না যায়৷ যে জমির চারটি কোণই ৯০ ডিগ্রির সমান সে জমিকেও ভালো মনে করা হয়৷ এ কথা মনে রাখা উচিত, আয়তাকার জমির উভয় বিপরীত দিকই মাপে যেন সমান থাকে৷ চিত্রে যেমন ক ও খ উভয়ই সমান এবং গ ও ঘ এক রকম সমান৷ এই ধরনের জমি হয় পৈতৃক অথবা মাতৃক৷
লম্বাকৃতি জমি
চওড়ার তুলনায় বেশি লম্বা জমিও ভালো নয়৷ এই ধরনের জমিতে যদি গবাদি পশুর বাসস্থান করা হয় তা হলে পশু মারা যাবে অথবা নষ্ট হয়ে যাবে৷
বিষমবাহ জমি
এরকম জমি উপযুক্ত নয়৷ এরকম জমির সংশোধনও সম্ভব নয়৷ এ ধরনের জমি মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটায় এবং বাসিন্দাদের মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে ফেলে৷ তারা দরিদ্র হতে বাধ্য হয়৷ এর বাসিন্দাদের কখনওই সমৃদ্ধি ঘটে না৷
ডমরু আকারের জমি
অনেকটা বাদ্যযন্ত্র ডম্বরুর মতো দেখতে, উভয়দিকের মধ্যস্থান কিছুটা তলার দিকে ঝুঁকে থাকে৷ এ ধরনের মাঝখানে বেঁকে যাওয়া জমির বাসিন্দাদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দেবে৷ সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যা৷ এ জমি কিন্তু উপযুক্ত নয়৷—চলবে
* বাস্তুবিজ্ঞান (Vastu Shastra): সুরেন্দ্র কাপুর (Surendra Kapoor), বিশিষ্ট বাস্তুবিদ।

Skip to content