ছবি প্রতীকী
ভূমি পরীক্ষণ
বাস্তুশাস্ত্রে ভূমি পরীক্ষণের ৯টি প্রধান বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে৷
জমির আনুপূর্বিক ইতিহাস
বাড়ি করার জমি বাছাইয়ের সময় জমির আনুপূর্বিক ইতিহাস সম্বন্ধে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে৷ তা না হলে বসবাসের জায়গায় সম্পূর্ণ সুফল লাভ করতে সমর্থ হওয়া যাবে না৷ যেমন, পৌরাণিক গ্রন্থ ‘শিল্পরত্ন’ অনুযায়ী যে সব জমিতে ‘দাহকার্য’ হয়েছে বা যে জমি আগে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বা যে জমিতে সাপ বাস করে বা যে সব জমিতে পশুনিধন কার্যাদি হয়েছে, সে সব জমিতে বাড়ি তৈরি না করাই মঙ্গল৷ এ ছাড়া যে জমিতে খুন, আত্মহত্যা, দলবদ্ধভাবে নারী নিগ্রহ ইত্যাদি হয়েছে, সে সব জমিও বাড়ি তৈরির পক্ষে অনুকূল নয়৷
যে জমিতে আগে কোনও মন্দির ইত্যাদির অবস্থান ছিল কিন্তু পরে বাস্তুজমিতে রূপান্তরিত হয়েছে অথবা গ্রামাঞ্চলে ‘গ্রাম দেবতার’ অধিষ্ঠানের জায়গা বা যে জমি ‘ঘোড়ার আস্তাবল’ কিংবা যে জমি ভূমিকম্প ও বজ্রপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমনকী যে জমিতে আগে ইটভাটা ছিল, সেই জমিও বাড়ি তৈরি করার পক্ষে একান্তভাবেই অনুপযুক্ত৷ ফলে বাড়ি তৈরি না করাই শ্রেয়৷ কিন্তু যে জমিতে আগে চাষাবাদ হত বা যে জমিতে আগে খেলার মাঠ, ফলের বাগান, গোশালা বা যেখানে জনগণের মিলনস্থান, রাস্তা বা রেলপথ হিসেবে ব্যবহৃত হত সে সিব জমি গৃহনির্মাণের পক্ষে আদর্শ৷
জমির আকার
জমিতে পাঁচটি তত্ত্বের গুণাবলি বর্তমান৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানটি পরীক্ষার সময় মাটির গুণাবলি, মাটির শক্তি বা ধারণ ক্ষমতা, শব্দ, স্পর্শ, প্রকৃতি স্বাদ ও গন্ধ প্রভৃতি বিশেষভাবে বিচার্য৷ জমির কেন্দ্রস্থল বা ব্রহ্মস্থল এবং চারটি কোণ থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করে এই পরীক্ষা করতে হবে৷ জমিতে যে পাঞ্চভৌতিক তত্ত্ব বিদ্যমান তা পরবর্তীতে বিশ্লেষিত হয়েছে৷
জমির মাটির শক্তি
জমির মাটির পাঁচটি গুণ আছে৷ যথা: মাটি স্পর্শের (আকাশ) সময় তার শীতল বা উষ্ণতার সমতা
(বায়ু), তার সাধারণ কৃষ্ণাভ ধূসর বর্ণ (অগ্নি), এর স্বাদ (জল) এবং গন্ধ৷ এই পাঞ্চভৌতিক তত্ত্ব যে জমিতে বর্তমান, সে জিমি বাড়ি তৈরির পক্ষে বিশেষভাবে আদর্শ৷ —চলবে