মুক্তির তারিখ : ০৯/০৩/১৯৫৬
প্রেক্ষাগৃহ : দর্পণা,পূরবী ও আলোছায়া
পরিচালনা : কার্তিক চট্টোপাধ্যায়
উত্তম অভিনীত চরিত্রের নাম : ভূতনাথ
ছবিটির নামকরণ প্রথমেই জানান দেয় যে, বড় একটা ক্যানভাসে অনেক চরিত্রের মেলবন্ধনে নিজেকে প্রকাশ করার তাগিদ। তারকা নামক উপাদানটি চলচ্চিত্রবিদ্যায় যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়ে থাকে তারকা প্রথাকে শুধুমাত্র বিনোদনের কিছুটা স্থূল উপায় হিসেবে দেখা হয় না, তারকার মধ্য দিয়ে পরিচয়, আত্মপরিচয় গঠন এক ছবি থেকে অন্য ছবিতে চিহ্নের সংবহন ‘ফিল্ম টেক্সট’-এর সঙ্গে বৃহত্তর প্রাতিষ্ঠানিক অর্থ উৎপাদন পদ্ধতির সম্পর্ক বহু গবেষণার জন্ম দিয়েছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী নাগরিক ইতিহাসের দিকে যদি আমরা আলোকপাত করি তাহলে ওই যাত্রার কথা মোটেই সরলরেখায় বলা হয়নি। আজ যখন ৫০-৬০ দশকের ছবিকে আমরা পুনরাবিষ্কার করে নিজের পুরানো সত্তাটাকে খুঁজি সেখানে দেখতে পাই যা কিছু খুঁজে পাওয়া তা আমাদের হারিয়ে যাওয়া আধুনিক সত্তা।
স্বাধীনতা পরবর্তী নাগরিক ইতিহাসের দিকে যদি আমরা আলোকপাত করি তাহলে ওই যাত্রার কথা মোটেই সরলরেখায় বলা হয়নি। আজ যখন ৫০-৬০ দশকের ছবিকে আমরা পুনরাবিষ্কার করে নিজের পুরানো সত্তাটাকে খুঁজি সেখানে দেখতে পাই যা কিছু খুঁজে পাওয়া তা আমাদের হারিয়ে যাওয়া আধুনিক সত্তা।
সামাজিক ভাগ্য সন্ধানের ওই যাত্রায় শহর সবসময়েই কোনও না কোনও কেন্দ্রে অবস্থিত। গ্রাম শহরের দ্বৈত নিয়ে নৈতিক বৈপরীত্য রচনা করার প্রবণতা বিশ্বের সমস্ত জনপ্রিয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে বর্তমান। লক্ষ্য করবার মতো বিষয় পঞ্চাশের নব্য মেলড্রামার শহরকে ঘিরে নতুন উত্তেজনার সঞ্চার, নতুন এক রোমাঞ্চ। যেখানে ওই নৈতিক রূপকথা বেশ কিছুটা অবান্তর হয়ে যায়।
এই জিনিসটা হিন্দি ছবিতে আরও স্পষ্ট সেখানে মুম্বই শহরের সঙ্গে সিনেমার একটা নতুন আত্মীয়তা তৈরি হচ্ছে এই সময়, যা শুধু ছবির পর্দায় নগর জীবনের প্রতিফলনের প্রশ্ন নয়। ছবির শরীর আর শহরের শরীরের মধ্যে এক নতুন সংযোগের প্রশ্ন।
যার ফলে অভিনয়বাচন থেকে ক্যামেরা-চালানো, সম্পাদনার ভঙ্গি সম্পূর্ণ বদলে যায়। রাজ কাপুর, গুরু দত্ত, চেতন আনন্দ, রাজ খোসলা প্রভৃতিদের ছবিতে এই সংযোগ যেভাবে ঘটেছে তা বাংলা ছবির ক্ষেত্রে ঘটবে আরেকটু পরে ষাটের দশকে।
এই জিনিসটা হিন্দি ছবিতে আরও স্পষ্ট সেখানে মুম্বই শহরের সঙ্গে সিনেমার একটা নতুন আত্মীয়তা তৈরি হচ্ছে এই সময়, যা শুধু ছবির পর্দায় নগর জীবনের প্রতিফলনের প্রশ্ন নয়। ছবির শরীর আর শহরের শরীরের মধ্যে এক নতুন সংযোগের প্রশ্ন।
যার ফলে অভিনয়বাচন থেকে ক্যামেরা-চালানো, সম্পাদনার ভঙ্গি সম্পূর্ণ বদলে যায়। রাজ কাপুর, গুরু দত্ত, চেতন আনন্দ, রাজ খোসলা প্রভৃতিদের ছবিতে এই সংযোগ যেভাবে ঘটেছে তা বাংলা ছবির ক্ষেত্রে ঘটবে আরেকটু পরে ষাটের দশকে।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৭: স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা ‘সাগরিকা’
লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-১: কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়…
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৫: পঞ্চমের অনবদ্য সৃষ্টির মধ্যে একটি কিশোরের গাওয়া জনপ্রিয় ‘নদিয়া সে দরিয়া’ গানটি
এখানেই তারকা উত্তম কুমারের উপর মনোনিবেশ করা বিশেষ প্রয়োজন। অভিনয়ে নতুন পরীক্ষার সুযোগ ঘটেছে বলেই উত্তম কুমারকে নানা ভূমিকায় দেখতে পাবো। কিন্তু পঞ্চাশের বেশিরভাগ ছবিতে উত্তম কুমার গ্রাম থেকে বা মফস্বল থেকে ভাগ্য সন্ধানে শহরে আগত কিংবা শহরের সীমান্তবর্তী জীবনের অংশীদার।
এরকম একটা প্রেক্ষিতকে নিয়েই ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ছবির আত্মপ্রকাশ। পরিচালক হিসেবে কার্তিক চট্টোপাধ্যায়ের ষষ্ঠ ছবি ছিল ‘সাহেব বিবি গোলাম’। এর আগে ‘মহাপ্রস্থানের পথে’ ছবি তৈরি করে তিনি নিউ থিয়েটার্সের তরফে সারা ভারতে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। আগামী দিনে আবার ‘চন্দ্রনাথ’ ছবি তৈরির মাধ্যমে শুধু উত্তমকুমার নন, উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে একবারে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেবেন।
এরকম একটা প্রেক্ষিতকে নিয়েই ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ছবির আত্মপ্রকাশ। পরিচালক হিসেবে কার্তিক চট্টোপাধ্যায়ের ষষ্ঠ ছবি ছিল ‘সাহেব বিবি গোলাম’। এর আগে ‘মহাপ্রস্থানের পথে’ ছবি তৈরি করে তিনি নিউ থিয়েটার্সের তরফে সারা ভারতে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। আগামী দিনে আবার ‘চন্দ্রনাথ’ ছবি তৈরির মাধ্যমে শুধু উত্তমকুমার নন, উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে একবারে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেবেন।
সাধারণভাবে কাহিনিকার বিমল মিত্রের এই বিপুল আয়োজন চলচ্চিত্রায়িত করা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। কারণ এই ছবিতেই আমরা দেখতে পাবো পঞ্চাশের দশকের সেই এক ঝাঁক শিল্পীগোষ্ঠীকে যারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে মহান।
কে ছিলেন না পুরুষদের মধ্যে! উত্তম কুমার, ছবি বিশ্বাস নীতীশ মুখোপাধ্যায়, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, কানু বন্দ্যোপাধ্যায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যাম লাহা হরিধন মুখোপাধ্যায়, পাহাড়ি সান্যাল, (এক এবং অদ্বিতীয়) তুলসী চক্রবর্তী, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, নবদ্বীপ হালদার, জহর রায়, অজিত বন্দোপাধ্যায়, ধীরাজ দাস। এছাড়াও স্বল্প-বিস্তর খ্যাত বহু পরিচিত মুখ। শুধুমাত্র কমল মিত্র এ ছবিতে সুযোগ পাননি। মহিলাদের মধ্যে ছায়া দেবী, সুমিত্রা দেবী, অনুভা গুপ্তা, রাজলক্ষ্মী দেবী প্রমূখ।
কে ছিলেন না পুরুষদের মধ্যে! উত্তম কুমার, ছবি বিশ্বাস নীতীশ মুখোপাধ্যায়, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, কানু বন্দ্যোপাধ্যায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যাম লাহা হরিধন মুখোপাধ্যায়, পাহাড়ি সান্যাল, (এক এবং অদ্বিতীয়) তুলসী চক্রবর্তী, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, নবদ্বীপ হালদার, জহর রায়, অজিত বন্দোপাধ্যায়, ধীরাজ দাস। এছাড়াও স্বল্প-বিস্তর খ্যাত বহু পরিচিত মুখ। শুধুমাত্র কমল মিত্র এ ছবিতে সুযোগ পাননি। মহিলাদের মধ্যে ছায়া দেবী, সুমিত্রা দেবী, অনুভা গুপ্তা, রাজলক্ষ্মী দেবী প্রমূখ।
আরও পড়ুন:
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫৯: হ্যাচারিকে কাজে লাগিয়ে বছরভর মাছ চাষ করে আয় সুনিশ্চিত করা সম্ভব
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৪: গরম পড়েছে, যত পারুন ঠান্ডা খান! কী হচ্ছে এর ফলে?
বাস্তুবিজ্ঞান, পর্ব-১৮: বাস্তু মতে আপনার বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার কোন দিকে হওয়া উচিত?
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৯: যোগ্য বা অযোগ্য—যে মানুষই রাজার আশেপাশে থাকেন, রাজা তারই কথায় ওঠেন-বসেন
সময়টা এমনই ছিল যে উত্তম কুমার নামক একজন তারকার উত্থানে বাংলা ছবির কলাকুশলীরা কীভাবে নিজেদের ভিতর আনন্দ বিতরণ করতেন তার একটা সফল দলিল ছিল এ ছবির প্রতিটি ফ্রেম। যেকোনও অংশেই যদি আমরা দেখি উত্তম কুমারের সঙ্গে অন্য অভিনেতা বা অভিনেত্রীর মুখোমুখি সিকোয়েন্স তৈরি হচ্ছে সে ফ্রেমটাই অন্য মাত্রা পেয়ে যাচ্ছে।
চিত্রনাট্যের দাবি অনুযায়ী, উত্তম কুমারকে বেশিরভাগ সময় মুখোমুখি হতে হয়েছে বড় বাড়ির বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা ভূতনাথের চরিত্রে উত্তম বাবুর সেই অসাধারণ রূপায়ণ বাঙালিকে আবার উপনিবেশিক ব্যবস্থার বাবু কালচারে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
আজকের বিশ্লেষণের প্রথম অংশে যে তথ্যগুলো পরস্পর গলা জড়াজড়ি করে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্দরমহল কে প্রকাশ করেছে তার একটা নতুন সুর কোথায় যেন এ কাহিনির প্রতিটি গলিতে অলিতে বেজে চলেছে।
চিত্রনাট্যের দাবি অনুযায়ী, উত্তম কুমারকে বেশিরভাগ সময় মুখোমুখি হতে হয়েছে বড় বাড়ির বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা ভূতনাথের চরিত্রে উত্তম বাবুর সেই অসাধারণ রূপায়ণ বাঙালিকে আবার উপনিবেশিক ব্যবস্থার বাবু কালচারে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
আজকের বিশ্লেষণের প্রথম অংশে যে তথ্যগুলো পরস্পর গলা জড়াজড়ি করে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্দরমহল কে প্রকাশ করেছে তার একটা নতুন সুর কোথায় যেন এ কাহিনির প্রতিটি গলিতে অলিতে বেজে চলেছে।
প্রাচুর্যের দম্ভ, ও তার স্মৃতিচারণ এবং একটা সময় তার ধুলিসাৎ হয়ে যাওয়ার বেদনাবহুল কাহিনি এ ছবির প্রতি পরতে পরতে। কাহিনিকার যেভাবে নির্মাণপর্ব কে গড়ে তুলেছেন পরিচালক কার্তিক চট্টোপাধ্যায় ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই সুরটাকে অবিকল বজায় রেখেছেন।
বহু হিতৈষী উত্তম কুমারকে বারণ করেছিলেন কার্তিক চট্টোপাধ্যায়ের এ ধরনের ছবিতে না অংশগ্রহণ করতে। কিন্তু দেশ পত্রিকায় যখন ধারাবাহিকভাবে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ প্রকাশিত হয়েছে উত্তম ছিলেন তার একনিষ্ঠ পাঠক এবং মনে মনে দুর্বল ছিলেন ভূতনাথ চরিত্রটি রূপায়ণের ব্যাপারে। কাজেই কার্তিকবাবু যখন বাড়ি বয়ে এসে তাঁর ছবির কথা জানালেন উত্তম হাতে চাঁদ পেয়েছিলেন।
বহু হিতৈষী উত্তম কুমারকে বারণ করেছিলেন কার্তিক চট্টোপাধ্যায়ের এ ধরনের ছবিতে না অংশগ্রহণ করতে। কিন্তু দেশ পত্রিকায় যখন ধারাবাহিকভাবে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ প্রকাশিত হয়েছে উত্তম ছিলেন তার একনিষ্ঠ পাঠক এবং মনে মনে দুর্বল ছিলেন ভূতনাথ চরিত্রটি রূপায়ণের ব্যাপারে। কাজেই কার্তিকবাবু যখন বাড়ি বয়ে এসে তাঁর ছবির কথা জানালেন উত্তম হাতে চাঁদ পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৫: গায়ের জামা হাওয়ায় উড়বে বলে দেহের সঙ্গে ফিতে দিয়ে বেঁধে রাখতেন
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৪৯: রাবণ-মারীচ সংবাদ এগোল কোন পথে?
দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৯: আমাজন যেন স্বর্গের নন্দনকানন, একঝলক দেখে বোঝাই সম্ভব নয় এর ভয়াবহতা
আমরা সালতামামির দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখতে পাবো। ‘সাগরিকা’ ছবি মুক্তির মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ রিলিজ করছে এবং পাশাপাশি হলে ‘সাগরিকা’ তারও কিছুদিন আগের ‘সবার উপরে’ তখন রমরমিয়ে চলছে। সে রকম একটি তৈরি সিচুয়েশনে এ ধরনের গতানুগতিক রীতি থেকে বেরিয়ে আসা একটি ছবির বাজার করে নেওয়া খুব একটা সহজ কাজ ছিল না।
কিন্তু উত্তম কুমারের অভিনয়গুণে সে অসাধ্যসাধন হয়েছিল যে সমস্ত চলচ্চিত্র বোদ্ধারা উত্তম কুমারকে মেনস্ট্রিম বাণিজ্যিক ছবির বাইরে ভাবতে চান না বা পেরে উঠেন না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে যদি এ ধরনের ছবিগুলো তারা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখেন তাহলে বোধহয় একথা বলা অত্যুক্তি হবে না বাংলা চলচ্চিত্রে সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন এবং ঋত্বিকের মতো পরিচালকের আবির্ভাব না হলেও উত্তম কুমার উত্তম কুমারই থাকতেন।
কিন্তু উত্তম কুমারের অভিনয়গুণে সে অসাধ্যসাধন হয়েছিল যে সমস্ত চলচ্চিত্র বোদ্ধারা উত্তম কুমারকে মেনস্ট্রিম বাণিজ্যিক ছবির বাইরে ভাবতে চান না বা পেরে উঠেন না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে যদি এ ধরনের ছবিগুলো তারা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখেন তাহলে বোধহয় একথা বলা অত্যুক্তি হবে না বাংলা চলচ্চিত্রে সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন এবং ঋত্বিকের মতো পরিচালকের আবির্ভাব না হলেও উত্তম কুমার উত্তম কুমারই থাকতেন।
আগামী দিনে ‘নায়ক’ ছবিতে বা ‘জত গৃহ’ বা ‘বিচারক’ ছবিতে, উত্তমবাবু যে মানের অভিনয় করেছেন তার প্রস্তুতি পর্ব ছিল ‘সাহেব বিবি গোলাম’ বা আরও কিছুদিন পর চিরকুমার সভা ছবির অভিনয়।
শুধুমাত্র ক্যারিয়ারের শেষের দিকে সন্ন্যাসী রাজা, অগ্নীশ্বর এই ধরনের চরিত্রে উনি সাবলীল অভিনয় করেননি কেরিয়ারের শুরু থেকেই উনি চরিত্রাভিনয়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন। তাই যারা রোম্যান্টিক হিরো হিসাবে একটি বিশেষ শ্রেণি বিভাজন করে উত্তম কুমারকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান তাদের আত্মিক উন্নতির প্রয়োজনে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ছবিটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।—চলবে
শুধুমাত্র ক্যারিয়ারের শেষের দিকে সন্ন্যাসী রাজা, অগ্নীশ্বর এই ধরনের চরিত্রে উনি সাবলীল অভিনয় করেননি কেরিয়ারের শুরু থেকেই উনি চরিত্রাভিনয়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন। তাই যারা রোম্যান্টিক হিরো হিসাবে একটি বিশেষ শ্রেণি বিভাজন করে উত্তম কুমারকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান তাদের আত্মিক উন্নতির প্রয়োজনে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ছবিটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।—চলবে
* উত্তম কথাচিত্র (Uttam Kumar – Mahanayak – Actor) : ড. সুশান্তকুমার বাগ (Sushanta Kumar Bag), অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, মহারানি কাশীশ্বরী কলেজ, কলকাতা।