শীত পড়েছে আর পিকনিক না হলে কি চলে! কিন্ত্য কাছে পিঠে কোথায় বা যাওয়া যেতে পারে? জানেন কি? হাওড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক। শুধু হাওড়া নয়, প্রতি বছরই পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলি থেকেও বহু পর্যটক ভিড় জমান হাওড়ার এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। হুগলি নদী ও দামোদর নদের সংযোগস্থলের কাছে প্রায় ১০৬ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র। প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এখানে পিকনিক করতে। পর্যটন কেন্দ্রের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড। রাস্তার পূর্ব দিকে নদীর ধারে খোলা জায়গায় পিকনিকের আসর বসে। পশ্চিম দিকে আছে পার্ক এবং চিড়িয়াখানা।
শেষ ৩ বছরে করোনা, আমপান ঝড়ের মতো বিভিন্ন কারণে বছরের অনেকটা সময়ে পার্ক ও চিড়িয়াখানা বন্ধ ছিল। চলতি মাসের ১৫ তারিখ পার্ক ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। এত দিন পার্কটির দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া ছিল জেলা পরিষদের ওপর। সম্প্রতি পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারাই পার্কটিকে আরও নতুন করে সাজাচ্ছে। নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে বসার ও বোটিং করার জায়গা।
আরও পড়ুন:
এই ৪৯টি ফোনে আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ, দেখে নিন তালিকায় আপনার স্মার্টফোনটি রয়েছে কিনা?
পাহাড়ের উপর ছবির মতো সুন্দর শ্রবণবেলাগোলা— চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের এক অজানা অধ্যায়
কী করে যাবেন
হাওড়া থেকে উলুবেড়িয়াগামী যে কোনও বাসে উঠে উলুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে নামুন। তার পর সেখান থেকে বাস বা ট্রেকারে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায়। হাওড়া থেকে উলুবেড়িয়া ৪৫ মিনিটের পথ। ধর্মতলা থেকে গড়চুমুক আটান্ন গেট বাসস্টপ ৬০ কিলোমিটার। পৌঁছতে সময় লাগবে প্রায় সওয়া ২ ঘণ্টা। মুম্বই রোড ধরে গাড়ি চালিয়ে উলুবেড়িয়া এসে শহরের ভিতরে ঢুকে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৩৬: পাতে নিয়মিত মাছ থাকলে রোগ থাকবে দূরে, শরীর হবে তরতাজা, কীভাবে খেলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে?
একই হেয়ার স্টাইলে একঘেয়েমি? ফ্যাশনে চুলের বাহার আনতে জেনে নিন কোনটা আপনার?
থাকার জায়গা
এটা জানা থাকলে ভালো, পিকনিক করার জন্য গড়চুমুক নির্বাচন করলে সকালে গিয়ে বিকেলের মধ্যেই ফিরে আসা যায়। তবে থাকতে চাইলে এখানে কয়েকটি বেসরকারি গেস্ট হাউস আছে। জেলা পরিষদের লজেও থাকা যায়।